কুষ্টিয়ায় ১৮৬টি ঘর হস্তান্তর করেছে প্রশাসন
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কোল সম্প্রদায়ের শান্তিবালা। বাঁশ ও বেতের কাজ করে চলে তাদের সংসার। রেললাইনের ধারে খুপড়ি ঘরে তিন ছেলেমেয়ে, স্বামী ও তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে থাকতে হয় কোনরকমে।
মাঝে মাঝে রেললাইনের জায়গা উদ্ধার করার সময় মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় কখনও কখনওবা রেলস্টেশন, গাছতলা, কখনও বা অন্যের বাড়ির বারান্দায় থাকতে হতো।
আবেগে আপ্লুত হয়ে তিনি বলে উঠলেন, আমি কখনো ভাবিনি জীবনে পাকা ঘরে শুতি পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে আমি এখন সন্তান ও আমার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে পাকা ঘরে বসবাস করছি। যেন সুখের রাজ্যে আমাদের বসবাস।
অল্প টাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শামীমা খাতুন। তিনিও তার মেয়েকে নিয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘরে। স্বপ্নে না ভাবলেও, বাস্তবে ঘর পেয়েছেন। তাই খুশিতে আত্মহারা তিনিও।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলায় জমি ও ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ১৮৬ পরিবার।
বছরের পর বছর রাস্তার ধারে, রেললাইনের ধারে ফুটপাত ও গাছতলায় বসবাস করতো সেসব পরিবারগুলো।
কুষ্টিয়ার বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন বলেন, যেসব মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলোনা তাদের পাকা ঘরের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এর মাধ্যমে ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে এই বাংলাদেশ। আর এসব কেবল সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শিতার কারণে।
জেলা প্রশাসক জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলাসহ তিন উপজেলায় ১৮৬টি ঘরের চাবি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। আরো ১৮০টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে আমাদের জেলার ৬টি উপজেলায় ৪ হাজার ৯৯৫টি ঘর নির্মাণ করা হবে। এই উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।