'আমি ভ্যাকসিন নিয়ে ভালো আছি, আপনিও নিন'
সত্তরোর্ধ্ব ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন পেশায় আইনজীবী ও একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। হার্টের রোগী তিনি। প্রতিবছর নিয়ম করে বেঙ্গালুরুর নারায়ণা হাসপাতালে ডা. দেবি শেঠিকে দেখিয়ে আসেন। কিশোরগঞ্জে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বলেন, 'ভালো আছি। সুস্থ্য বোধ করছি। নিজেকে নিরাপদ মনে হচ্ছে।'
চট্টগ্রামে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন অধ্যাপক হোসাইন কবির। পুরো পরিবার থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বললেন, 'সুরক্ষা নেয়া আমরা ব্যক্তিগত ও সামাজিক দায়িত্ব।'
পুরো বাংলাদেশে এখন এমনই চিত্র। শুধু বিশিষ্টজন বা সামনের সারির যোদ্ধারাই নন, সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভ্যাকসিন গ্রহণের পক্ষে ব্যাপক সারা ও উৎসাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাাযোগ মাধ্যমে ভ্যাকসিন গ্রহণের ছবিতে সয়লাব। নিউজ ফিড, ওয়ালে ভাসছে আশাবাদী উক্তি, 'আমি ভ্যাকসিন নিয়ে ভালো আছি, আপনিও নিন।'
দেশে প্রথম দিনেই করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন ও নারী ৭ হাজার ৩০৩ জন। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল থেকে দেশব্যাপী করোনার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ৫টি হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত নিবন্ধিত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, টিকা গ্রহণকারীগণ সবাই ভালো আছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ রয়েছে। উৎসাহের সঙ্গে সবাই অপেক্ষা করছেন টিকা নেওয়ার জন্য।
বিশ্বব্যাপী এখন যে ভ্যাকসিনের যুগ চলছে, তাতে প্রথমে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপর যুক্তরাজ্য ও ভারত। সেসব দেশে জোরকদমে টিকাকরণের কাজ চলছে। উল্লেখযোগ্য হারে কমছে সংক্রমণের হার। কমছে মৃত্য ও আক্রান্তের সংখ্যাও।
আশা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশেও টিকাকরণের ধারা অব্যাহত গতিতে চলে ধাপে ধাপে সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এতে বৈশ্বিক মহামারির প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের গতিবেগ ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষার বিষয়টি বৃদ্ধি পাবে।