রাত হলেই এরা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে!
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ পেশাদার ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতরা সাধারণ কাজের আড়ালে রাত হলেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। টার্গেট করে সাধারণ মানুষকে। ডাকাতদের মধ্যে কেউ রাজমিস্ত্রী, কেউ হোটেল কর্মচারী তো কেউ ডেকোরেশনের কর্মী।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শাওন আহমেদ জয়, জাহিদুল ইসলাম, ইয়ামিন, হৃদয় ও বাবুল। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি পিকআপ গাড়ি, ১ চাপাতি, ৩টি ছুরি ও ১১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
হাফিজ আক্তার বলেন, এরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। রাজধানী আশপাশের এলাকা থেকে পিকআপ ছিনতাই করে। ছিনতাইকৃত পিকআপ দিয়ে রাত ১২টা থেকে ৩-৪টা পর্যন্ত মহাখালী, এম ইএস, শাহআলী, মিরপুরের গুদারাঘাট, ভুলতা এলাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে যেখানেই সুযোগ পায় সেখানেই ডাকাতি করে। তারা কিছু দিন পরপর ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি পরিবর্তন করে। যাতে সহজে তাদের ট্রেস করা না যায়।
তিনি বলেন, চকবাজার থানায় রুজুকৃত মামলার ডাকাতির ঘটনায় ৭ জন ডাকাত অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি অভিযুক্ত সহ এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ডাকাতির বাইরে দিনের বেলা রাজমিস্ত্রী, ডেকোরেশন কর্মী ও হোটেল কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আর রাত হলেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে এরা। সাধারণ মানুষকে টার্গেট করেই ডাকাতি করতো গ্রেফতারকৃতরা। তারা বিভিন্ন সময় জেলে গেছে এবং সেখানে বসেই ডাকাতির জন্য সদস্য সংগ্রহ করতো।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে বুয়েট এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে ৭-৮ জন একদল ডাকাত গতিরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইলসহ নগদ অর্থ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় চকবাজার মডেল থানায় মামলা হয়। এরপরেই ডিবি লালবাগ বিভাগ তদন্ত শুরু করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হাফিজ আক্তার বলেন, রাজধানীতে এসব ঘটনা রোধে সেফ সিটি প্রকল্পের কাজ চলছে। আশা করি তখন এ ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণে আসবে।