করোনা ভ্যাকসিন: কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক নিবন্ধন আপাতত বন্ধ
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে টিকাদানকেন্দ্রে গিয়ে তাৎক্ষণিক নিবন্ধনের সুবিধা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তিন (গত বুধবারের হিসাব মতে) লাখের বেশি মানুষ ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কিন্তু ভ্যাকসিন কার্যক্রম ঠিকভাবে চালাতেই আপাতত ওই সুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে যারা নিবন্ধন করে কেন্দ্রে যাবেন, শুধু তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে যদি কেন্দ্রে নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ে, তখন আবার জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের দ্বিধা কেটে গেছে। যেসব জায়গায় আগে ভিড় কম ছিল। এখন সেখানে অনেক ভিড়। অনেক লোক যাচ্ছেন, মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। এখন সবাই ভ্যাকসিনের ওপর আস্থা নিয়ে তা নিতে যাচ্ছেন।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সারাদেশে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৫৪০ জন। এর মধ্যে ৬৪ হাজার ৩৮৮ জন নারী। তবে ঢাকা নগরীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে নারী ৮ হাজার ২৯ জন। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত সারা দেশে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ জন।
ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। এখানে ১ হাজার ৭২০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ১ হাজার ৫৭ জনকে, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ হাজার ২৯৯ জনকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ হাজার ১৩৮ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সবচেয়ে কম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতালে। এখানে ৪০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।