জমে উঠেছে ঝিনাইদহের ফুলের দোকান



শেখ সবুজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝিনাইদহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহে ফুলের নাম  সারা দেশজুড়ে পরিচিত। দেশের চাহিদা মিটিয়ে  বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে  এখানকার ফুল। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ এক বছর ফুলের ব্যবসা মুখ থুবরে পড়ে। তবে এবার পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ব্যবসার আশা করছে ঝিনাইদহে ফুলচাষিরা ও ফুলের দোকানদাররা।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকানে নানা রকমের মালিকা আর ফুলের রিং তৈরিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা।

ঋতু বৈচিত্র্য মাঘ মাস দিয়ে শনিবার শেষ হচ্ছে  শীতকাল, রোববার পহেলা ফাল্গুন দিয়ে শুরু হবে ঋতুরাজ বসন্তের। বাংলা সনের তারিখ পরিবর্তন আনাই পহেলা ফাল্গুনের দিনে পড়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।

প্রতি বছর পহেলা ফাল্গুনে ফুলের ব্যবসা জমজমাট হলেও এবার মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে উৎসব পালনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা আছে। এরপরেও পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে ফুলের বাণিজ্য জমে উঠবে বলে আশা করেছে ঝিনাইদহের ফুল ব্যবসায়ীরা।

দোকান গুলোতে থরে থরে সাজানো হয়েছে নানা রকম ফুলের সাজি। বানানো হচ্ছে মেয়েদের মাথায় পড়ার রিংসহ হাত ও গলার হার। সব মিলিয়ে দেখা গেছে ফুলের ঘাটতি নেই দোকান গুলোতে। ক্রেতার ঘাটতি হবে না বলে আশা করছেন দোকানিরা।

দোকানিরা জানান, এবার পহেলা ফাল্গুন তাদের কাছে একটু ভিন্ন হয়ে হাজির হয়েছে। প্রতিবছর ফুলের ব্যবসা ভালো হলেও এবছর করোনার কারণে এখন পর্যন্ত ক্রেতার সংখ্যা কম। তাই আয়োজন অন্য বারের থেকে একটু কম। তবুও প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখছে না তারা।

তারা আরও জানান, এবার পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস এক দিনেই পড়েছে। এসময় ফুলের দাম একটু বেশি থাকে, দুদিন আগে ফুলের দাম বেড়েছে। গত ফাল্গুনের পর করোনা আসার কারণে ব্যবসার অবস্থা অনেক খারাপ। কিন্তু তারা আশা করছেন এবার তা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

 

   

রংপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

রংপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খাঁন সোহেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রংপুর মহানগর বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্য্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর মহিলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সি ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেনসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এসময় বক্তারা অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খাঁন সোহেলের সব মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানান।

;

চিকিৎসকদের ওপর হামলা, চট্টগ্রামে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিএমএর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের দুই চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। এসময় পলাতক ও জামিনে থাকা সকল আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওয়ায় না আসনে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি সকল হাসপাতালে ২ ঘণ্টা কর্ম বিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) কলেজ হাসপাতালে প্রধান ফটকে বিএমএর উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমএর চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মুজিবুল হক খান।

সমাবেশে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও চট্টগ্রাম চিকিৎসক সমিতিসহ ৯ টির বেশি সংগঠন অংশ নেয়।

সমাবেশে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহীন আক্তার বলেন, গত সাতদিন ধরে আমাদের চিকিৎসকরা নানাভাবে হামলার বিচার চেয়ে আসছি। এ সময়ের মধ্যে আমরা কোনো সন্তোষজনক পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। তাই আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে বিচার সমাবেশ করছি। আমরা চিকিৎসকরা তৈরি হয়েছি মানুষের সেবা করার জন্য। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও আমরা মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। না হয় আমাদের এত মানুষজনের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সেটার জন্য আমরা যদি একটা উপযুক্ত পরিবেশ না পাই, তাহলে সব সময় আমাদের পক্ষে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের সুরক্ষার প্রয়োজন এবং সুস্থ নিরাপদ পরিবেশের প্রয়োজন। আর এটা আমাদের চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকদের দাবি।

তিনি আরও বলেন, আমরা কখনোই রোগীদেরকে জিম্মি করে কর্মসূচি দিতে চায় না। সেজন্য আমরা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেছি। আমরা চাই রোগীদের সেবা করতে, আপনারা আমাদেরকে সুরক্ষা দিন। আমাদের চিকিৎসকদের উপর যারা হামলা করেছে আপনারা তাদের বিচার করুন।

সবশেষে আসামিদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল।

তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে হবে। যদি তাদের গ্রেফতার না করা হয় আগামী শনিবার আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে দুপুর ১২ টায় আয়োজিত সমাবেশে আমরা সকল চিকিৎসক উপস্থিত থেকে একাত্মতা প্রকাশ করব। আগামী ২১ এপ্রিল রোববার চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সরকারি বেসরকারি ক্লিনিকসহ সব জায়গায় সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে। আমরা এই দুই ঘণ্টায় জরুরি সেবা বাদে কোনো প্রকার সেবা দেবো না।

তিনি আরও বলেন, এর ভেতরে যদি আমাদের দাবি মাননা হয়, আগামী মঙ্গলবার সমগ্র চট্টগ্রামে আমরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখবো। সেদিন শুধু বেসরকারি ক্লিনিক এবং হাসপাতালে যে রোগী ভর্তি থাকবে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে কোনো ক্লিনিক বা বেসরকারি হাসপাতাল নতুন করে রোগী ভর্তি নেবে না। এর ভেতরেও যদি আমাদের দাবি মানা না হয় আমরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তিম দাশ ওপর এ হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এর দুই দিন পর ১৪ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে স্বজনদের হামলা শিকার হন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলু।

;

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ শুরুর কদিন আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে সূর্য তার পূর্ণ উত্তাপ দিচ্ছে পৃথিবীতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বৈশাখের শুরু থেকে ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করছে রাজধানী ঢাকায়। যা দাবদাহে রূপ নিয়েছে। তীব্র গরমে নাকাল হয়ে পড়ছে জনজীবন। পাশাপাশি প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের উপর পড়েছে বিরূপ প্রভাব।

তবে গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তরমুজ ও ডাবের বাজার। গরমে পানি স্বল্পতা রোধের সক্ষমতা ও রসালো ফল হিসেবে মানুষের চাহিদার প্রথম পছন্দ হয় তরমুজ। তবে মৌসুম শেষ হওয়ায় তরমুজের সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে। সংকটের সাথে চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে তরমুজের।

রাজধানীর কাওরান বাজার, মগবাজার, মহাখালীসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ টাকার নিচে মিলছে না প্রতি পিস তরমুজ। কেজি দরে হিসেব করলেও প্রতি কেজি তরমুজে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। রোজার মধ্যে কেজি প্রতি তরমুজের ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও, এখন ৬০-৭০ টাকা কেজি দর ধরে রাখছে বিক্রেতারা।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র তাপে প্রচুর তৃষ্ণায় একেবারে নিষ্ক্রিয় হয় ওঠে শরীর। এ সময় প্রচুর পানির চাহিদা তৈরি হয়। পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম ফল তরমুজ। পানি স্বল্পতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফল। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করে, আবার শরীরে পানির চাহিদাও মেটায়। তরমুজে ৯২ শতাংশই পানি, যা সহজেই গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মেটাতে কাজ করে।আর এসব গুণের জন্য তরমুজ মানুষের চাহিদার প্রথম পছন্দ হয় । হঠাৎ অতিরিক্ত গরম পড়ায় সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

আরিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, তরমুজ এখন পেঁয়াজের মত হয়ে গেছে। কখনো আকাশে কখনো মাটিতে। এটা তো ইচ্ছার বলি মাত্র। একটা তরমুজ ৪০০ টাকা নিচে নাই। তাহলে গরিব মানুষ খাবে কীভাবে?

মাহমুদা বেগম নামের এক সমাজ কর্মী বলেন, গরমে তরমুজ সবার প্রিয় খাবার।  আমরা স্বস্তির জন্য কিনিতে আসলেও দামের অস্বস্তিকর অবস্থা আমাদের ভোগায়৷ খেতে হবে তাই কিনছি। এই ইচ্ছার জন্য আমরা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার বাজারে এখন তরমুজের সরবরাহ কম, তাতে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। আড়তে দাম বৃদ্ধিতে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে দাবি বিক্রেতাদের।

কারওয়ান বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, একটা তরমুজের দাম আমাদের হাতে নাই। চাহিদা বেশি কিন্তু সরবরাহ নাই। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তরমুজ শেষের দিকে। দাম কমার কথা থাকলেও গরমের বেড়েছে।


আবির হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ১ হাজার কেজি তরমুজ কিনেছি ৪২ হাজার টাকায়। এখন বলেন কত টাকা লাভ করব? দাম বেশি তো আর আমরা করি না। চাষিরা দাম পায় না আড়ৎদারদের লাভ হয় আমরা তো বলির পাঠা।

অন্য দিকে ডাবের দাম আকাশচুম্বী। ৫০ টাকা মূল্যের ডাব পাওয়া যাচ্ছে না ১০০ টাকায়। গত দুইদিনের ব্যবধানে ডাব প্রতি দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। এতে অতিষ্ঠ গরমে বাধ্য হয়েই ডাব কিনছেন ক্রেতারা।

সুকুমার রায় নামের এক ক্রেতা বলেন, একটা ডাব ঈদের আগেও কিনেছি ৬০ টাকা। একি ডাব আজ ১১০ টাকা। এটা তো মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। কিছু করার নাই আমাদের বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা তীব্র তাপপ্রবাহ বইতে পারে । এছাড়া আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরর।


আবহাওয়াবিদ খোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

;

পটুয়াখালীতে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় জরিমানা, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীতে যাত্রীবাহি বাসে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী পরিবহন করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানার প্রতিবাদে সড়কে বাস করে রেখে অবরোধ করেন বাস মালিক শ্রমিকরা। এতে ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে ঘণ্টা ব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পটুয়াখালীর চৌরাস্তায় যানবাহন চলচল বন্ধ করে রেখেছিলেন পটুয়াখালী বাস মালিক ও শ্রমিকরা।

পরবর্তীতে বাস মালিক ও শ্রমিকদের সাথে জেলা প্রশাসনের আলোচনায় বিষয়টি সমাধান হয়। এ সময় জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে মহাসড়কে যান চলচল নির্বিঘ্ন রাখা ও যাত্রী ভোগান্তি লাগবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিলো। এ সময় রুদ্র-তূর্য পরিবহনের একটি বাসে অধিক যাত্রী পরিবহন করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.এস. নুরুল আখতার নিলয়। তবে বাস শ্রমিকরা জরিমানা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সড়কে বাস আড়াআড়ি করে রেখে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ঈদের সময় হওয়ায় যাত্রী চাপ বেশি, সে কারণে কিছু কিছু বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী যাচ্ছে। যাত্রীদের চাপের কারণে কিছুই করার নেই। কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকাল থেকে প্রতিটি গাড়িকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করছিলেন। পরে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে দেয়।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিব বলেন, কিছু সময় বাস চলাচল বন্ধ ছিলো, তবে বর্তমানে মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম বলেন, একটি বাসকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়ছিলো। পরে বাস মালিক ও শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। তবে বর্তমানে মহাসড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

;