সিংগাইরে ছাত্রলীগ নেতাকে ইয়াবাসহ আটকের পর ছেড়ে দিল র্যাব!
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু ও তার সহযোগী জালাল উদ্দিনকে ১৩৫ পিস ইয়াবাসহ আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জ র্যাবের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার সিঙ্গাইর-সিরাজপুর সড়কের আজিমপুর নয়াডাঙ্গি এলাকা থেকে তাদের আটকের পর ছেড়ে দেন বলে জানান স্থানীয়রা।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী র্যাব ৪ মানিকগঞ্জ কোম্পানী কমান্ডার সিপিসি-৩ এর এএসপি অনু মং ইয়াবাসহ মিরুকে আটকের কথা স্বীকার করেন।
প্রত্যেক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর দুইটার দিকে র্যাব ৪ মানিকগঞ্জ জেলা কোম্পানী কমান্ডার সিপিসি-৩ এর এএসপি অনু মংয়ের নেতৃত্বে একদল র্যাব সদস্য সিংগাইর-সিরাজপুর সড়কের আজিমপুর নয়াডাঙ্গি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগরে সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরু ও তার সহযোগী সোহেল ওরফে জালাল উদ্দিনকে আটক করে র্যাব।
আটকের পর স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে ফারুক হোসেন মিরুর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলের ভিতরে বিশেষ কায়দায় রাখা ১৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন। ঘটনার আধ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া ইয়াবা রেখে মিরু ও তার সহযোগী জালাল উদ্দিনকে ছেড়ে দিয়ে চলে যান র্যাব সদস্যরা।
এ ব্যাপারে ফারুক হোসেন মিরুর সঙ্গে ফোনে আলাপ হলে তিনি বলেন, তার সাথে আজ র্যাবের কারো সাথে কোন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।
র্যাপ ৪ মানিকগঞ্জ জেলা কোম্পানী কমান্ডার সিপিসি-৩ এর এএসপি অনু মং ইয়বা বড়ি উদ্ধারের কথা স্বীকার করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিংগাইর পৌর এলাকার আজিমপুর নয়াডডাঙ্গি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিরুর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলের ভিতরে বিশেষ কায়দা রাখা ১৩৫ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
এ সময় মিরু ও তার সহযোগীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা করা হয়। তাদের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, ইয়াবা বিক্রির সাথে তারা সম্পৃক্ত নন। অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ মিরুর মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলের ভিতর ইয়াবা বড়ি রেখে দিয়েছিলো। এমন ধারণা থেকে মিরু ও তার সহযোগী জালাল উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।