২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়তে পারবো: ডেপুটি স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। আমাদের পক্ষ থেকে হয়তো সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে তামাক নিয়ন্ত্রণে সকলে একত্রে কাজ করতে হবে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বার্তা২৪.কম-এর কনফারেন্স রুমে গোলটেবিল বৈঠকে ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, যখন বাজেট প্রণয়ন হয় তখন টোব্যাকো কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সেক্টরের জনগণকে প্রমোট করে। অনেক সময় দেখা যায় পার্লামেন্টের মেম্বারদেরও তারা ইনফুলেন্স করে। যাতে করে টোব্যাকো কোম্পানির পক্ষে তারা কথা বলেন।

তিনি বলেন, ট্যোবাকো কোম্পানিগুলোর পক্ষে ভয়েস ক্রিয়েট করার জন্য তাদের যদি এক মিলিয়ন বা দুই মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। কারণ তারা তো মিলিয়নস অফ মিলিয়নস ডলার রোজগার করে নিয়ে যাচ্ছে এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া

ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আমি মনে করি দশের লাঠি একের বোঝা। বিভিন্ন সেক্টরের লোক একত্রিত করতে হয়ে যে মন্ত্রণালয় এখানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবে সেই মন্ত্রণালয়সহ আরও আমাদের যে সব স্ট্যান্ডিং কমিটি চেয়ারম্যান এবং মেম্বার বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা রয়েছে তাদের সমন্বয়ে একটা সভা যদি করা যায় তাহলে কার্যকর হতে পারে।

ডেপুটি স্পিকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় আপনারা যদি একটা গোলটেবিল বৈঠক করাতে পারেন সেখানে কিন্তু ডিসকাশন করা যেতে পারে। তার সঙ্গে যারা তামাক নিয়ে কাজ করেন ভিন্ন ভিন্ন ফোরাম তাদেরকেও আনা যেতে পারে। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করতে পারলে। আমাদের যে আইনের দুর্বলতা আছে সে দুর্বলতা থেকে রক্ষা পেতে পারি

তিনি বলেন, এখন কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রংপুর ও পার্বত্য অঞ্চলে তামাকের উৎপাদন কিন্তু কম। এখন তামাকের অল্টারনেটিভ হিসেবে ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে।ভুট্টায় অর্থনৈতিক বেনিফিট বেশি হচ্ছে।

সবশেষ এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বার্তা২৪.কমে-কে ধন্যবাদ জানান ডেপুটি স্পিকার। একইসাথে এই ধরনের অনুষ্ঠান আরও প্রসারিত করার আহ্বান জানান তিনি।

‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিলের আয়োজন করে দেশের শীর্ষ মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম। এতে সহযোগিতায় রয়েছে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করছেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

এছাড়া আরও উপস্থিত রয়েছেন- বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং-এর চেয়ারম্যান এবং সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, সংসদ সদস্য বেগম গ্লোরিয়া ঝর্ণা প্রমুখ।

   

‘শিক্ষার প্রসারে কাঙাল হরিনাথ ছিলেন সদা সচেষ্ট’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেছেন, শিক্ষার প্রসারে কাঙাল হরিনাথ ছিলেন সদা সচেষ্ট। দারিদ্র্যের কারণে হরিনাথ পড়াশোনা বেশিদূর চালিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু শিক্ষার প্রসারে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৮তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, অভাব-অনটনের মধ্যে বড় হলেও অবহেলিত সমাজের বৈষম্য এবং জমিদারদের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তোলার জন্য তিনি ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ার প্রথম সংবাদপত্র ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ প্রকাশ করেন। পরে পত্রিকাটি পাক্ষিক ও তার কিছু পরে সাপ্তাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। এক পয়সা মূল্যের এই পত্রিকাটিতে কাঙাল হরিনাথ অবিরাম নীলকর ও জমিদারদের নানা জুলুমের কথা প্রকাশ করতে থাকেন। পত্রিকাটি প্রকাশের সুবিধার্থে তিনি ১৮৭৩ সালে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন।

তিনি বলেন, কাঙাল হরিনাথের পত্রিকাটি সেই সময়ে নির্যাতিত কৃষক ও প্রজাদের পক্ষের একটি পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু সরকারের কঠোর মুদ্রণনীতি ও নানা বিরোধিতায় ১৮ বছর প্রকাশের পর ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেই উনিশ শতকে গ্রামের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এমন একটি পত্রিকা প্রকাশের কারণে কাঙাল হরিনাথ অমর হয়ে রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম।

এরআগে জাদুঘর চত্বরে কাঙাল হরিনাথের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, কাঙাল হরিনাথ ১৮৩৩ সালের ২২ জুলাই কুমারখালীর কুণ্ডুপাড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। শৈশবে স্থানীয় ইংরেজি স্কুলে হরিনাথের লেখাপড়া শুরু হয়। আর্থিক কারণে তা বেশিদূর এগোয়নি। ১৮৫৫ সালে বন্ধুদের সহায়তায় নিজ গ্রামে একটি ভার্নাকুলার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। গ্রামের সাধারণ লোকদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে সেখানে অবৈতনিক শিক্ষকরূপে শিক্ষকতা শুরু করেন হরিনাথ। পরের বছর তারই সাহায্যে কৃষ্ণনাথ মজুমদার কুমারখালীতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।

;

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকিতে ২ সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীন স্বামী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন স্বামী

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন স্বামী

  • Font increase
  • Font Decrease

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক ইমরানের হুমকিতে দুই সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় জীবন-যাপন করছেন সিলেট নগরীর কুয়ারপাড় ইঙ্গুলাল রোডের ফুল মিয়ার ছেলে মো. রাজন। এ নিয়ে তিনি সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) দায়ের করেছেন। জিডিতে দুই শিশুসন্তানসহ নিজের নিরাপত্তা চেয়েছেন রাজন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেও তিনি সন্তানসহ নিজের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজন জানান, ১২ বছর আগে একই এলাকার সুরুজ মিয়ার মেয়ে শাহানা বেগমকে (২৮) তিনি বিয়ে করেছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ১১ বছর।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আমার স্ত্রীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হলে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সে নগরীর লালাদিঘিরপাড়ের ২৭নং বাসার এরশাদ মিয়ার ছেলে ইমরানের (২৮) সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। এ অবস্থায় তার সাথে আমার ঝগড়াঝাঁটি লেগেই ছিল। এক পর্যায়ে গত ১৪ এপ্রিল ইমরান আমার কাছে আসে এবং শাহানাকে তালাক দিতে চাপ দেয়। আমি তা অস্বীকার করলে সে আমার দুই সন্তানসহ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি শঙ্কিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি।

সংবাদ সম্মেলনে রাজন আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীকে গত ১৪ এপ্রিল ইমরান নিয়ে গেছে এবং তার বোনের কাছে রেখেছে। সে তাকে প্ররোচিত করে আমার জিডির বিপরীতে আমার এবং শাহানার ফুফাতো ভাই ফকির এবং তার বন্ধু বদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করে আবার তা প্রত্যাহারও করেছে।

সার্বিক পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত রাজন যখন-তখন ইমরান ও তার পক্ষের লোকজনের হামলার শঙ্কায় শঙ্কিত। তিনি তার নিজের এবং দুই ছেলে-মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলী ও ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব বাবলুসহ পুলিশ প্রশাসন এবং সচেতন এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

;

আশুলিয়ার গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
আশুলিয়ার গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, আহত ২

আশুলিয়ার গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, আহত ২

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি ফ্ল্যাটে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৪ এর উপসহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আশুলিয়ার কুঁরগাও এলাকায় শামসুদ্দিনের মালিকানাধীন ৫ তলা বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ফ্ল্যাটটি তামিম ইলেক্ট্রনিক্স নামে একটি দোকানের গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হত।

দগ্ধরা হলেন, পাবনা জেলা আমিনপুর থানা রাজনারায়ণপুর গ্রামের মতিন মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (৩০)। তিনি তামিম ইলেকট্রনিক্সের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। এবং ওই বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া মাজেদা বেগম (৫৫)।

দগ্ধ সুমনের ভাই সুজন মোল্লা বলেন, আমার ভাইয়ের শরীরের ৪৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আর ওই নারীর কি অবস্থা জানি না। আমার ধারণা তার অবস্থা আরও খারাপ।

তামিম ফার্নিচারের মালিক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ওই ফ্ল্যাটে কোনো সিলিন্ডার ছিল না। ফ্ল্যাটে আমার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুমন কোনো কাজে গিয়েছিল, তখন আগুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত নারী সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় আহত হয়েছে বলে শুনেছি। ৩ রুমের ওই ফ্ল্যাটে কিছু কিচেন র‍্যাক আর ম্যাট্রেস রাখা ছিল।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের খবর পেয়ে জিরাব ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে তার আগেই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় আনুমানিক দেড় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ১০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৪ এর উপসহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা অল্প আগুন পেয়েছি। সেটুকুই নির্বাপণ করা হয়েছে। আমরা পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ধারণা, গ্যাস লিকেজ থেকে এ আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

;

কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও অবমুক্ত করা মাছের পোনার স্বাভাবিক বৃদ্ধির লক্ষে ২৫ এপ্রিল থেকে আগামী তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মৎস্য আহরণ-বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এক জরুরি সভায় হ্রদে মাছ ধরা বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় জানানো হয়, কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও অবমুক্ত করা মাছের পোনার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন মাসের জন্য মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আগামী ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

সভায় জানানো হয়, মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধভাবে মাছ শিকারিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পাশাপাশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।

মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে রাঙামাটির স্থানীয় বরফ কলগুলো বন্ধ রাখার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল প্রায় ২৫ হাজার তালিকাভুক্ত জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।

সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটিস্থ বিএফডিসি ব্যবস্থাপক, জেলার মৎস্য কর্মকর্তা আধির চন্দ্র দাশ, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়াসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

;