ফেরির নাগাল না পেয়ে বাস থেকে নেমে যাচ্ছেন যাত্রীরা!
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও নদী পারের জন্য ফেরির নাগাল না পেয়ে অবশেষে বাস থেকে নেমে যাচ্ছেন যাত্রীরা। সাত থেকে আট ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারছেন না এ সকল যাত্রীরা। সারা রাত জেগে এখনও পর্যন্ত অনেকেই ফেরির দেখা পাননি। ফলে বাস ছেড়ে নদী পার হচ্ছেন শত শত যাত্রী।
ফরিদপুরের আটরশির উরসের অতিরিক্ত বাস এবং টানা তিন দিন সরকারি ছুটি থাকার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নদী পারের জন্য যানবাহনের দীর্ঘ সারি দৌলতদিয়া প্রান্তে। এখনও শত শত যানবাহন নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকাতে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক বাস ও ট্রাক।
অন্যদিকে, গোয়ালন্দ মোড়ে দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ীর দিকে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের ওপর নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
মাগুরা থেকে ছেড়ে আসা সোহাগ পরিবহনের যাত্রী সুমি আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজ ভোরে মাগুরা থেকে রওনা হয়ে ৭টার দিকে গোয়ালন্দ এসেছি। এখন দুপুর। ফেরি তো দূরের কথা ঘাট থেকে এখনও দুই কিলোমিটার দূরে আছি। আমাদের বাসের সামনে এখনও প্রায় শতাধিক গাড়ি রয়েছে। তাই নিরুপায় হয়ে বাস ছেড়ে দিয়েছি। লঞ্চে নদী পার হবো।
মেহেরপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা যাত্রী রাসেল খন্দকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারলাম না। ছোট বাচ্চারা খুবই বিরক্তবোধ করছে। তাই বাস ছেড়ে দিলাম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাব্বী আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আর পারছি না। তাই বাস ছেড়ে দিলাম। বাস ছেড়ে দেওয়ায় এখন আমার আবার অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ্ রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আটরশির উরস ফেরত বাস ও তিন দিন সরকারি ছুটি থাকার কারণে ঘাটে বাড়তি যানবাহনের চাপ রয়েছে। এ সকল যানবাহনগুলোকে নদী পার করার জন্য এই নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিকে যাত্রীবাহী বাস ও কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে নদী পারের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।