‘যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না তারা আর আ.লীগে আসতে পারবে না’
যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং শেখ হাসিনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে তারা আর কোনদিন আওয়ামী লীগে আসতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নৌকার পক্ষে কয়েকটি নির্বাচনি পথসভায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, ‘নির্বাচন আসলে আমাদের মধ্যে কিছু বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে- যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না তারা আর দলে ফিরতে পারবে না।’
এ সময় তিনি নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে বলেন, ‘ভোট আপনাদের কাছে। এই ভোটের আমানত আপনাদের কাছে। আমানতের খেয়ানত করবেন কিনা- তা আপনাদের বিবেকের ব্যাপার! আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি। এটা আপনাদের কঠিন সিদ্ধান্ত, এই হবিগঞ্জের উন্নয়ন আপনারা চান কি, চান না?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মেয়াদে হবিগঞ্জে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকান্ডের উদাহরণ দিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আমাদের বোর্ড প্রধান ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা আতাউর রহমান সেলিমকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আপনারা সেলিমকে যদি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, আমি আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ধরে হলেও এই হবিগঞ্জের উন্নয়ন করা হবে। আপনারা বিপুল ভোটে সেলিমকে বিজয়ী করেন।’
কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নানক বলেন, ‘নির্বাচন আসলে আমাদের মধ্যে কিছু বিদ্রোহী দাঁড়িয়ে যায়।আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটি আমাদের কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত যারা এই দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না। যারা দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মানবে না। যারা শেখ হাসিনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে তারা আর কোনদিন আওয়ামী লীগে আসতে পারবে না।’
হবিগঞ্জের এসব নির্বাচনি পথসভা ও প্রচারণায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফিক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ডা. মুশফিক চৌধুরী, আজিজুস সামাদ আজাদ ডনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।