‘মৃত্যু কাম্য না, কিন্তু সেটাকে কেন্দ্র করে অশান্তি সৃষ্টিও উচিত নয়’
ডিজিটাল বাংলাদেশ যেহেতু গড়ে তুলেছি, এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, এই দায়িত্বটা আমাদের পালন করতে হবে কারণ যাতে করে আমাদের শিশুরা বিপথগামী না হয়। কেউ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা অপরিহার্য। সেজন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সাথে সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিচ্ছি। সমালোচনা যারা করছেন তারা করবেনই। কারা সব থেকে বেশি সমালোচনা করছেন, আপনারা জানেন। তারা বাস্তব কথা কি একবারও উপলদ্ধি করছে?
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন-বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ তনয়া শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন।
ডিজিটাল আইন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আজকে দিনে বেশি কথা বলতে চাচ্ছি না। আমার বয়স ৭৫ বছর। সেই স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করছি। কাজেই এ দেশের সবাইকে আমার চেনা আছে। কে কি করতে পারে আমার জানা আছে। কারো মৃত্যু কাম্য না, কিন্তু সেটাকে কেন্দ্র করে অশান্তি সৃষ্টি করা উচিত নয়। জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছিলো। সেরকম কিছু তো ঘটেনি। কেউ অসুস্থ হলে বা এই জিনিসটার কি করার আছে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় এক বছর পর আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । তবুও সরাসরি না, ভার্চুয়ালি। আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল প্রত্যয়নের সুসংবাদ দেয়ার জন্য। বাংলাদেশ গতকাল (শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। এসময় বাংলাদেশের জন্য এই উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছে।