অবশ্যই টিকা নেবো: প্রধানমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি টিকা অবশ্যই নেবো। তবে আগে আমার দেশের মানুষের কত শতাংশ মানুষ নিতে পারল, দিতে পারলাম, সেটা আমি আগে দেখতে চাই। আমার একটা টিকার জন্য যদি আর একজন মানুষের জীবন বাঁচে সেটাই তো সব থেকে বড় কথা।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু পর থেকে এটিই ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাস ভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। অন্যদিকে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও আওয়ামী দলীয় রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি তো আছি ৭৫ বছর বয়সী। আজ আছি কাল নেই। হায়াত মওউত কে বলতে পারে, যে কোন যে কেউ আমরা মারে যেতে পারি। আগে আমি খোঁজ নিচ্ছি, আমাদের একটা টার্গেট করা আছে যে এই সংখ্যা পর্যন্ত আগে নির্দিষ্টভাবে দেব, এটা যখন দেবো তারপর আমারটা আমি নেব। যদি টিকা বাঁচে তখন দেবো।
তিনি বলেন, মহামারী দেখার সাথে সাথে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, আর টিকাগুলি যখন গবেষণা চলে আমরা অগ্রিম টাকা দিয়ে বুক করেছিলাম। যেখানেই পাওয়া যাক আমরা আগে আনব। আমার দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেব এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আজকে সিদ্ধান্ত দিয়েছি একেবারে প্রাইমারি থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষক কর্মচারী যারা আছে তাদের টিকা দিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা হোস্টেলে থাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশমতো যে বয়স পর্যন্ত দেওয়া যাবে তার উপরের বয়স থেকে সকলকে টিকা দিতে হবে। কারণ আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত খুলতে চাই। পড়া শোনার পরিবেশটা ফিরে আনতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা মানুষের জন্য কাজ করে তাদের টিকা দেওয়াটা আগে জরুরি। আমরা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রচারণা চালাচ্ছি যাতে সবাই টিকা নিতে আসে। আজকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি আরো ৩ কোটি ডোজ কেনার জন্য। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে প্রথম ডোজ দেওয়ার সাথে দ্বিতীয় ডোজ শুরু করার। একটা মানুষও যেন টিকা থেকে বাদ না যায় তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। যদি কোন দেশ উৎপাদন না করতে পারে আমরা আমাদের দেশ উৎপাদন করতে পারব। আমাদের বিভিন্ন ফার্মাসিটিউক্যাল কোম্পানীকে ইতোমধ্যে বলেছি কারা কারা এটা করতে পারবে তার জন্য প্রস্তুত থাকতে। মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া এটা আমার কর্তব্য। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে না, আমি জাতির পিতার কন্যা এটা হচ্ছে সব থেকে বড় কথা।