বাংলাদেশে ইউনিলিভারের পথচলার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে বই প্রকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশে ইউনিলিভার এর পথচলার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে বই প্রকাশ

বাংলাদেশে ইউনিলিভার এর পথচলার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে বই প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল পথচলা উদযাপনে 'যাত্রা (জার্নি): লাল সবুজের দেশে ইউনিলিভার এর গল্প' শীর্ষক বই প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল)।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শনিবার রাজধানী ঢাকায় রেডিসন ব্লু হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ প্রকাশনা (বিক্রির জন্য নয়) হিসেবে প্রকাশিত এই বইটিতে বাংলাদেশে ব্যবসারত অন্যতম বৃহত্তম ও প্রাচীনতম বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার এর পথচলা ও সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। সাড়ে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগে এই ভূখণ্ডে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করার সময় বহুজাতিক কোম্পানির নাম ছিলো ‘লিভার ব্রাদার্স’, সময়ের বিবর্তনে যা এখন সবার কাছে ‘ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড’ (ইউবিএল) নামে পরিচিত।    

২০১৮ সালে বই প্রকাশের এই উদ্যোগটির কাজ শুরু হয়। কোম্পানিটির বর্তমান ও সাবেক কর্মী, অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের স্মৃতিচারণার ভিত্তিতেই মূলত: বইটি রচিত হয়েছে, যেখানে কোম্পানির শুরুর সময় থেকে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতার গল্প ওঠে এসেছে।

স্মৃতিচারণামূলক গল্পকথার মাধ্যমে বইটিতে বাংলাদেশে ইউনিলিভার এর যাত্রাপথে অর্জিত সফলতা ও মাইলফলক গুলোর গল্প উঠে এসেছে, যেখানে সাবান তৈরির ছোট একটি কারখানা দিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের সবচেয়ে বড় কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস হয়ে ওঠা, ওয়াশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের আচরণগত পরিবর্তনসাধনে কাজ করা, দাঁতের যত্ন ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করা, নতুন নতুন উদ্ভাবন চিন্তা কাজে লাগিয়ে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাবান-শ্যাম্পুর মিনি-প্যাক পৌঁছে দেওয়া এবং জনপ্রিয় করে তোলা, ১৯৯২ সালে ফাইসন্স কোম্পানিকে অধিগ্রহণ এবং ২০২০ সালে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) অধিগ্রহণের মাধ্যমে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডে রূপান্তরের মতো রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। জিএসকে অধিগ্রহণের ঘটনাটি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লেনদেনের ঘটনা। এভাবে বাংলাদেশে ইউনিলিভারের সব ক'টি সাফল্য ও উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া কিভাবে ক্রমাগত ব্যবসায়িক সাফল্যের সুবাদে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) বিশ্বখ্যাত বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারের ধারাবাহিক উৎকর্ষ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের মুকুটে একটি মহামূল্যবান রত্ন হয়ে জ্বলজ্বল করছে, সেই গল্পও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ বইটিতে।

বাংলাদেশে ইউনিলিভারে পথচলার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে বই প্রকাশ

ইউনিলিভার তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম বড় অংশীদার হিসেবে কাজ করে আসছে এবং বেশ কয়েকবার শীর্ষ করতাদা প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার অর্জন করেছে। এছাড়া নিজস্ব জনপ্রিয় ব্র্যান্ড গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশী ভোক্তাদের জীবনযাপনের ধরন পাল্টে দিয়েছে ইউনিলিভার। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারির অনিশ্চয়তাপূর্ণ পরিস্থিতিতেও নতুন স্টার্টআপ বা নবীন উদ্যোক্তাদের নতুন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রেও ব্যাপক সহায়তা করেছে কোম্পানিটি। ট্যালেন্ট বিল্ডার হিসেবে ইউনিলিভার কয়েক প্রজন্ম ধরে খ্যাতনামা অনেক ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব তৈরি করেছে, যারা দেশে-বিদেশে কেবল ইউনিলিভারেই নেতৃত্ব দিচ্ছে না, অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নানান প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কারণে ইউনিলিভার সবার কাছে ‘স্কুল অব লিডারস’ নামেও পরিচিত।  

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার সহ সমমনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইউনিলিভার যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, বইটিতে সেটাও তুলে ধরা হয়েছে। ইউনিলিভার এমন অনেক ব্যবস্থা ও কার্যক্রম চালু করেছে, যেগুলো বাংলাদেশের শিল্পখাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছে।

বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এইচ.ই. রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর এমপিসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ৪০ জন শীর্ষস্থানীয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এইচ.ই. রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, আমি ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর 'যাত্রা' নামক অনুপ্রেরণামূলক বইটির মোড়ক উন্মোচন করতে পেরে ভীষণ আনন্দিত। বইটিতে বাংলাদেশে ইউনিলিভার এর দীর্ঘ পথচলার সময়ের কিছু গৌরবগাঁথা এবং ইতিবাচক নানান প্রভাবের গল্প, ঘটনা ও চিত্র অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এদেশে ইউনিলিভার এর সফলতার ইতিহাস বাংলাদেশের নিজের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্জনেরই বাস্তব প্রতিফলন। কাজেই কোম্পানিটি যে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের উন্নয়নে অনেক অবদান রেখেছে, সেটা বেশ জোর দিয়েই বলা যায়।

স্বনামধন্য অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ''বইটিতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এর ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরেছে, যেটি কেবল ব্যবসায়িক দিক থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সমৃদ্ধি ও ক্রমবিকাশের কাহিনী বর্ণনা করেনি, বরং বিজ্ঞাপন ও মিডিয়ার মত কিছু শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোম্পানিটির অবদানকে প্রতিফলিত করেছে। বইটির কিছু গল্পের সাথে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার অনেক মিল রয়েছে, যা আমাকে নস্টালজিক করে তুলছে।

গৌরবোজ্জ্বল বিশেষ এই মুহূর্তে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলে বলেন, ''ইউনিলিভার এ আমাদের সবার জন্য এটি একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। মহান এই জাতি যখন স্বাধীনতার ৫০-তম বছর উদযাপন করছে, ঠিক সেই সময়ে ঐসব বীর সন্তানদের গৌরবগাঁথা নিয়ে ‘যাত্রা’ নামক বইটি প্রকাশ করা হচ্ছে, যারা এদেশ এবং কোম্পানির সমৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি লাখো মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রেখে চলেছে। ‘যাত্রা’ বইটিতে কর্মীদের স্মৃতিচারণায় ইউবিএল এর পথচলার ইতিহাস থেকে শুরু করে উল্লেখযোগ্য অর্জন সহ সার্বিক কার্যক্রমের চিত্র ওঠে এসেছে, যা অন্যদেরকে দারুণভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতেও সাহায্য করবে। আগামীদিনেও এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

   

এক দশকেও শেষ হয়নি লামায় পানি শোধনাগার নির্মাণের কাজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা পৌরসভার বাসাবাড়িতে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার ১০ বছরেও কাজ শেষ হয়নি।

বান্দরবানের লামা পৌরসভার বাসিন্দারা এখনো নদী, পাহাড়ের ঝিরি, ঝর্ণা ও টিউবেয়েলের পানির উপর নির্ভরশীল। একারণে এলাকায় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রয়ে গেছে। ২০১৩ সালে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মাতামুহুরী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে শোধনের মাধ্যমে সরবরাহের কাজ শুরু করলেও প্রকল্পটি শেষ না হওয়ায় জনদূর্ভোগ এখনো রয়েছ।

এতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠির পানির চাহিদা মেটাতে প্রকল্প নির্মাণে ৬ কোটি টাকা সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়া হলেও নেই কোনো হদিস।

সেসময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নির্মাণ খরচ বেড়ে গিয়েছিলো। রিভাইজ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সথাসময়ে বিল পরিশোধ করার পরও প্রকল্পটির কাজ শেষ করেনি। বর্তমানে আমি চাকুরীতে নেই, ওখানে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি ভালো বলতে পারবেন।

বান্দরবান জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী অনুপম দে জানিয়েছেন, বাস্তবতার আলোকে প্রকল্পটিতে অতিরিক্ত ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয় বেড়ে গেছে। এই পরিমান অর্থের অভাবে প্রকল্পটির কাজ শেষ করা যাচ্ছেনা। ঠিকাদার পুরো টাকা কিভাবে উত্তোলন করছেন, জানতে চাইলে তিনি তা জানেন না বলে জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে লামা পৌরসভায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শুরু করে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় রিভাইজ করে ৭ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়। ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না দেয়ায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটিতে ঘণ্টায় ১০০ ঘনমিটার ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মাণ ও ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে পাইপ লাইন স্থাপন কাজের কার্যাদেশ পান মেসার্স রতন সেন তংঞ্চগ্যা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

ঠিকাদার জানায়, পাইপ লাইন স্থাপনে ইতিমধ্য ৮৮ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪ টি প্যাকেজের কাজ শেষ হয়েছে । বরাদ্দ না থাকায় ৪২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকার কার্যাদেশ দেয়া একটি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন করা যায়নি। এছাড়া পানি শোধনাগার প্রকল্পের মেকানিক্যাল, মেশিনারিজ ও ইলেকট্রিক্যাল কোন কাজই করা হয়নি।

লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম জানান, লামা পাহাড়ি জনপদের জন্য নিরাপদ পানিয় জল অত্যান্ত জরুরি। তাই প্রকল্পটি চালু হলে পানির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের লামা উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তৎকালিন দায়িত্বপালন কালে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মন গড়া প্রকল্প কাজ করায় ও উর্ধ্বতন মহলের তদারকির অভাবে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যদি ঢাকা অফিস একাধিক বার প্রকল্পের অবস্থা জানানোর জন্য বান্দরবান প্রকৌশলীকে চিঠি দিয়েছেন তবে কোন উত্তর জানানো হয়নি। যার ফলে এ প্রকল্পটি অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ।

স্থানীয় বাসিন্দা মো, ইব্রাহিম বলেন, লামা পৌরবাসীর নিরাপদ পানীয়জল সরবরাহের উদ্দেশ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটির কাজ শুরু করায় আমরা সীমাহীন আশান্বিত হয়েছিলাম। প্রকল্পটির কিছু কাজ করার পর পরিত্যক্ত হওয়াল ফলে একদিকে সরকারি টাকার অপচয় অন্যদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। নিরাপদ পানীয় জলে দুর্ভোগ থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করার জোর দাবি জানিয়েছে।

;

প্রতীক বরাদ্দে পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারীর ডোমরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সরকার ফারহানা সুমি ও তার সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের সময় তার ও প্রতিপক্ষ তোফায়েল আহমেদের প্রতীক চাহিদা একই থাকায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনায় লটারি অনুষ্ঠিত হয়। সেটি পুরোপুরি পক্ষপাতিত্ব হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এ চেয়ারম্যান প্রার্থী। সেসময় টোকেনে বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সরকার ফারহানা সুমি জানায়, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সরাসরি যোগসাজশে লটারি টোকেনে বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা এবং সেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বদলী দাবি করছি।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের সময় তাদের নিজেদের মধ্যে তর্ক হয়েছে। লটারি হয়ে যাওয়ার পর একজন যখন পেয়েছে তখন একজন অভিযোগ করেছে আর একটা কাগজে ভাজ দেয়া ছিল। আমরা সাক্ষর করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছি।

;

সিলেটে কাউন্সিলরকে গাড়িচাপা, মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
বিশ্বনাথে কাউন্সিলরকে গাড়িচাপা, মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

বিশ্বনাথে কাউন্সিলরকে গাড়িচাপা, মেয়রের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমের উপর হামলার প্রতিবাদে মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে পৌর এলাকার সর্বস্তরের বাসিন্দাদের ব্যানারে পৌর শহরে এই ঝাড়ু মিছিল বের করেন কাউন্সিলরসহ সাধারণ জনতা। মিছিলটি নতুন বাজার থেকে বের হয়ে পুরাতন বাজারসহ পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষ বাসিয়া সেতুর দক্ষিণ মুখে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

যুবলীগ নেতা ফয়জুল ইসলাম জয়ের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- কাউন্সিলর রফিক মিয়া, কাউন্সিলর জহুর আলী ও যুবলীগ নেতা হেলাল আহমদ।

এর আগে দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ মীরেরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে মহিলা কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে চাপা দেয়া হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন স্থানীয়রা।

এদিন বিকেলে মেয়র মুহিবুর রহমান এবং দুই কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন রাসনা বেগম।

এছাড়াও আরও ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- জানাইয়া গ্রামের আজেফর আলীর ছেলে জমির আলী (৪০), পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী (৪০), শরিষপুর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে আমির আলী (৪৫), দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী (৪০), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (৪৪), রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া (৪৫) ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ (৪৮)।

অভিযোগ অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে আরও ৪/৫জন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।

;

নওগাঁর মান্দায় ৮ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মান্দায় অগ্নিকাণ্ডে আটটি বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮টি পরিবার।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- বাবু কবিরাজ, রমজান আলী, গুলজান বিবি,মিঠুন কবিরাজ, , সেলিম কবিরাজ, নুরজাহান বেওয়া, রশিদুল ইসলাম ও ছহির উদ্দিনের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।

এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই রমজান আলীর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তে তা আশপাশের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে যায় আটটি বসতবাড়ি।

মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শফিউর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

;