ত্রাণ দেওয়ার নাম করে স্ত্রীকে ধর্ষণ, স্বামীর কাছ থেকে সাদা কাগজে সই
ত্রাণ দেওয়ার নাম করে নারী ইউপি সদস্যের স্বামী আবু কালাম হাওলাদার এক নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার নারী ইউপি সদস্যের ভয়ে তার পরিবারসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এদিকে গত ২৫ ফেব্রয়ারি শুক্রবার রাতে ধর্ষক কালামের শ্যালক সেলিম তালুকদার ও তার লোকজন ধর্ষিতার স্বামীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সই নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৩ ফেব্রয়ারি রাতে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামে ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও প্রভাবাশালী ইউপি সদস্যের লোকজনের ভয়ে তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছে না। এ ঘটনার এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোসা. হাফসা বেগমের স্বামী আবু কালাম হাওলাদার ঘোপখালী গ্রামের এক নারীকে ত্রাণ দেয়ার নাম করে তার বাড়িতে যায়। ওই সময়ে তার দিনমজুর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই নারীকে আবু কালাম হাওলাদার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই নারীকে শাসিয়ে বলে- ঘটনা কাউকে জানালে তাকে ও পরিবার সদস্যদের মেরে ফেলবে।
পরবর্তীতে এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নারী ইউপি সদস্যের স্বামী আবু কালাম। নারী ইউপি সদস্যের স্বামী ও তার লোকজনের ভয়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী মুঠোফোনে বলেন, ‘ত্রাণ দেয়ার কথা বলে নারী ইউপি সদস্য মোসা. হাফসা বেগমের স্বামী আবু কালাম হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে আসে। ওই সময় আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। এই সুযোগে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি মান ইজ্জতের ভয়ে কাউকে এ বিষয়টি জানাইনি। কিন্তু বুধবার রাতে আবারও এসে আমাকে ধর্ষণে চেষ্টা করে। এ সময় আমি চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনা কাউকে না জানাতে কামাল আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমনকি কাউকে বিষয়টা জানালে সে আমাকে ও আমার পরিবার সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার সদস্যরা তার ভয়ে বাড়ি ছেড়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে কালামের শ্যালক মো. সেলিম তালুকদার ও তার লোকজন আমাকে তুলে নিয়ে জোরপুর্বক সাদা কাগজে সই নিয়েছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য কালামের পক্ষ নিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।’
অভিযুক্ত আবু কালাম হাওলাদার ধর্ষণের ঘটনা এবং ধর্ষিতার স্বামীকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সই নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’