জামালপুরে তিন পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চম ধাপে জামালপুরের ৩টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

পঞ্চম ধাপের এ পৌর নির্বাচনে সব পৌরসভাতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। জামালপুর, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএমে ভোট প্রদানে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে।

নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রথম শ্রেণির জামালপুর পৌরসভায় মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭২৭ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫২ হাজার ১৫১ জন ও নারী ভোটার ৫৬ হাজার ৫৭৬ জন। জামালপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু নৌকা প্রতীকে, বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন ধানের শীষ প্রতীকে, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি মোস্তফা কামাল হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার ৪২টি ভোট কেন্দ্রের ৩৪১টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।

নির্বাচনের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৬জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৭৭০জন পুলিশ সদস্য, র‌্যাবের ৫টি টহল টিম, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ৩৩৬ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে প্রথম শ্রেণির ইসলামপুর পৌরসভায় ৩০ হাজার ২৬০ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৭৮৫ জন ও নারী ভোটার ১৫ হাজার ৪৭৫ জন।

ইসলামপুর পৌরসভায় মেয়র পদে চার জন, ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল কাদের শেখ নৌকা প্রতীকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর আলম জগ প্রতীকে, বিএনপি মনোনীত রেজাউল করিম ঢালী ধানের শীষ প্রতীকে, ইসলামী আন্দোলনের আনিছুর রহমান হাতপাখা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পৌরসভার ১৩টি ভোট কেন্দ্রের ৯৮টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২৪৫জন পুলিশ, র‌্যাবের তিনটি টহল টিম, ৩ প্লাটুন বিজিবি ও ১০৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

ছবি: বার্তা২৪.কম

অপরদিকে মাদারগঞ্জ পৌরসভায় ২৫ হাজার ৩৮ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৩৭৮ জন ও নারী ভোটার ১২ হাজার ৬৬০ জন। মাদারগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে তিন জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির নৌকা প্রতীকে, বিএনপি মনোনীত আব্দুল গফুর ধানের শীষ প্রতীকে, জাতীয় পার্টি মনোনীত জাহিদ হাসান লাঙল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পৌরসভার ১০টি ভোট কেন্দ্রের ৮০টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১৮৫ জন পুলিশ সদস্যসহ র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বার্তা২৪.কমকে জানান, জামালপুর, ইসলামপুর ও মাদারগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

   

এমপির দম্ভ, এমপির ঘোষণা দিয়ে দুর্নীতি



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সোয়া কোটি টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে জাতীয় সংসদের একজন সদস্য ঘোষণা দিয়েছেন তিনি তার খরচের এই টাকা তুলবেন। যেভাবেই হোক তুলবেন। মাননীয় সংসদ সদস্য বুঝতে পারছেন এটা অন্যায়, এবং এই অন্যায়টুকু করতে চান তিনি। এটুকু করে এরপর আর কোন অন্যায় না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) যখন উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে অন্যায় করার এই ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন ওই মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন নাটোরের লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেনসহ অনেকেই। এমপির এই ঘোষণা সত্ত্বেও বিব্রত হওয়া ছাড়া তাদের করার কিছু ছিল না। ইউএনও পরে গণমাধ্যমকে নিজের বিব্রত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। মাঠপ্রশাসনের একজন কর্মকর্তা একজন সংসদ সদস্যের প্রটোকলের অনেক নিচে অবস্থান করেন বলে আসলে তার করারও কিছু নেই। একই কথা প্রযোজ্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং অন্যদের ক্ষেত্রেও।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেছেন, ‘আমার পাঁচটা বছরের বেতন–ভাতার টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামী দিনেও আমার থাকবে না। তবে এবার (সংসদ নির্বাচনে) ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এইটা আমি তুলব। যেভাবেই হোক। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।’ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন আবুল কালাম। ওই সময়ের কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্য বলেন, ‘ওই সময় কিন্তু এক টাকাও খরচ হয়ছিল না আমার। শুধু ব্যাংকে ২৫ লাখ টাকা জমা রাখতে হয়, ওটা রেখেছি। এক টাকাও খরচ নাই, ২৫ লাখ টাকা তুললাম। ২৭ লাখ টাকার গাড়ি কিনেছিলাম, ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি। চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। আমার যখন টাকা নাই, তখন ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই যে টাকা, ওই টাকা তুলে নিব আমি। খালি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব।’

সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে এখন বলতে চাইছেন 'মজা করে বলেছেন কথাগুলো'। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি সিরিয়াস কোনো কথা বলিনি। কথার কথা বলেছি। এটা মজা করেও বলা যেতে পারে। আমি নির্বাচনী খরচের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বোঝাতে চেয়েছি, আগামী দিনে আমি টাকার পাহাড় গড়তে চাই না, আমি শুধু খরচের টাকা তুলতে চাই। এটা অন্যায়ভাবে না কিংবা কারও কাছ থেকে অবৈধভাবে না। আমার সম্মানী থেকে উপার্জন করতে চাই। এই কথাকে বিকৃতভাবে চিন্তা করার কোনো কারণ নাই।’

অনুষ্ঠানের ব্যানারে ৬৭ বছর বয়স্ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের নামের আগে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' লেখা দেখছি। ১৯৭১ সালের ১৫ বছর বয়েসি এই রাজনীতিক জীবনে দুইবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। প্রথমবার ২০১৪ সালে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি, নির্বাচনও করেননি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন।

তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, এবং এই আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভাই। মমতাজ উদ্দিন আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন, ছিলেন একবারের সংসদ সদস্য। ২০০৩ সালে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ২০২৩ সালে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকপ্রাপ্ত ছিলেন প্রয়াত এই রাজনীতিক। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্যে রাষ্ট্র মরণোত্তর সম্মাননা দেয় প্রয়াত মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে।

আবুল কালাম আজাদ এমপির দুর্নীতি করার প্রকাশ্য ঘোষণার সাহস কোথা থেকে আসে, প্রশ্নটা রাখতে চাই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি না হলেও আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে 'ডামি প্রার্থী' ছিলেন। নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ ছিল, অভিযোগ ছিল সহিংসতার। এছাড়া নির্বাচনের পর এই আসনের ভোট পুনরায় গণনা এবং আসনটিতে বিজয়ী প্রার্থীর নামে গেজেট প্রকাশ বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল। আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর অভিযোগ ছিল, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি, সেইসঙ্গে অন্তত ২১টি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ফলাফল নিজের অনুকূলে নেওয়ার। ৭ জানুয়ারির ওই নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ১ হাজার ৯৯৬ ভোট; যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৯৪৭ ভোট।

অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ যে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা যেকোনো মূল্যে তুলতে চান সেটা তিনি নির্বাচনের সময়ে খরচ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারেন। নাটোরের এই এমপি নিয়মের অন্তত ৫ গুণ বেশি অর্থ খরচ করেছেন নির্বাচনে, এবং নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরাও অভিযোগ করেছেন তিনি টাকা দিয়ে ভোট কেনার। প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিযোগ, নিজের খরচের হিসাব এবং নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দেশনার কিছুই একটার সঙ্গে অন্যটা মেলে না। এখানে পরিস্কার তিনি নির্বাচন করতেও অন্যায় করেছেন, এবং নির্বাচনে জিতে এসে দুর্নীতি করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে দেশের আইনকানুন, রীতিনীতি, শিষ্টাচার, জবাবদিহি সবকিছুকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন।

দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নামের একটি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সরকার-দলের কারো প্রতি ততটা কঠোর না হওয়ার। পুরোপুরি না হলেও কিছুটা হলেও অবিশ্বাস করতে চাই এই অভিযোগকে। এখানে তাই তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে কিছু করার। তিনি সরকার-দল আওয়ামী লীগের সরাসরি এমপি নন বলে কিছুটা সাহস তাদের কাছ থেকে আশা করতেই পারি!

এমনিতেই অনেক রাজনীতিকের সততা নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশ্ন। ব্যবসাবাণিজ্য, সিন্ডিকেট, অর্থ পাচারের নানা গুঞ্জন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি—নেই কী অভিযোগ! এমন অবস্থায় আবুল কালাম আজাদ এমপির অনিয়ম-দুর্নীতি করার প্রকাশ্য ঘোষণা রাজনীতিকদের ভাবমূর্তি সংকটের অন্যতম উদাহরণ হয়ে গেছে। এই ঘোষণা, এবং ঘোষণার পর কোন রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোন বার্তা না আসায় জনমনে জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা জন্মাচ্ছে।

ভাবমূর্তি সংকটে রয়েছেন রাজনীতিকরা, সময়ে-সময়ে আবুল কালাম আজাদরা দিচ্ছেন এর নেতৃত্ব। দুর্নীতির প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়া এই এমপিকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।

;

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। ৬ হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। এ পরীক্ষায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪১৪টি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

এদিকে, শেষ ধাপে ঢাকা বিভাগের যে জেলাগুলোতে পরীক্ষা হবে, সেগুলো হলো—গাজীপুর, ঢাকা, নরসিংদী, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর।

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলো হলো—কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, বান্দরবান।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, এ নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এ অবস্থায় দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করাসহ অনুরোধ করা হলো

কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।

ডিপিই জানিয়েছে, এই দুই বিভাগের মৌখিক পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৫ থেকে ২০ মে, চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন।

;

বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরে ঢাকা ষষ্ঠ, শীর্ষে সিউল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। এদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭২ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বায়ু মানের সূচক ৩৪৩ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন, পাকিস্তানের লাহোর, ভিয়েতনামের চিয়াংমাই ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২১৭, ১৮৭, ১৭৯ ও ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান কারণ হলো, ইটভাটা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া ও নির্মাণ কর্মযজ্ঞের সৃষ্ট ধুলো।

;

ঝোড়ো হাওয়াসহ ৫ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আর শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা শুধু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এদিকে বাগেরহাটের মোংলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, যা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

;