দুর্গম চরে দুইপক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, আহত ৮
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর ওপারে দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চারজন।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুর্গম চরের ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামটির অর্ধেক অংশ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মধ্যে পড়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম জানা যায়নি। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাঘার চৌমাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সেলিম দর্জি ও দিদার বেপারীর জমি আছে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার এলাকার মধ্যে। সেলিমের জমিতে কলাবাগান রয়েছে। আর দিদারের জমিতে আছে গম। কয়েকদিন আগে সেলিম আগুন দিয়ে কলাবাগানের ভেতরে থাকা ঘাস পুড়িয়ে ধ্বংস করছিলেন। তখন দিদারের গমক্ষেতে আগুন ধরে যায়। এ নিয়ে সেদিন তাদের হাতাহাতি হয়।
এর জের ধরে গত শুক্রবার দৌলতপুরের বাংলাবাজার মোড়ে তাদের আবারও মারামারি হয়। পরে বিষয়টি সেখানেই মীমাংসা করে দেন স্থানীয়রা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছিলই। রোববার দুপুরে এবার তারা নিজেদের চৌমাদিয়া গ্রামেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুইপক্ষের অন্তত আটজন আহত হন।
ওসি জানান, সেলিমের বাড়িতে তার এক আত্মীয় বেড়াতে এসেছেন কুষ্টিয়া থেকে। তিনিই পিস্তল দিয়ে গুলি ছুঁড়েছেন। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অন্যরা আহত হয়েছেন ধারালো অস্ত্র এবং লাঠির আঘাতে। তবে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি নজরুল ইসলাম আরও জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে অভিযান শুরু হয়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান বাঘা থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।