‘সাফল্য গাঁথা’ রাজবাড়ীর নারী পুলিশ!
আমাদের সমাজে সাধারণত নারী পুলিশের বিষয়টা নেতিবাচক হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু সেই সময় এখন পাল্টেছে। আধুনিক সভ্যতার এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে সেই ধারণা এখন আর নেই। নারী পুলিশ এখন সততা ও দক্ষতার সাথে দেশ সেবার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে পর্যায়ক্রমে চব্বিশ ঘণ্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন রাজবাড়ীর ৬৮ জন নারী পুলিশ সদস্য। এ সকল নারী পুলিশ সদস্য তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের পাশাপাশি সামলাচ্ছেন নিজেদের সংসারও।
নিজ নিজ পদে দায়িত্বরত রাজবাড়ীর ৬৮ জন গর্বিত নারী পুলিশ সদস্য রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা মানুষের সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশি তারাও তাদের কর্মক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন।
সততা, দক্ষতা আর নিজেদের মেধা-মননের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জিং এই পেশায় নারী পুলিশ সদস্যরা ব্যাপক অবদান রাখছেন। তাদের সফলতায় ভরা এই বাহিনী। পুরুষ সহকর্মীদের পাশাপাশি কোন রকম ক্লান্তি ছাড়াই জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বার্তা২৪.কম-কে জানান, রাজবাড়ীতে বর্তমান ৬৮ জন নারী পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এরমধ্যে এসআই (নিরস্ত্র) রয়েছেন ২ জন, এএসআই (নিরস্ত্র) ১০ জন, নায়েক ১ জন ও কনস্টেবল রয়েছেন ৫৮ জন। তারা প্রত্যেকেই যার যার জায়গাতে সফল নারী পুলিশ সদস্য।
এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, রাজবাড়ীতে যে সকল নারী পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন তারা সবাই খুবই ভালো করছেন। সবাই কাজের প্রতি ভীষণ আন্তরিক। রাজবাড়ীর মানুষকে সেবা প্রদানে তারা সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব নারী দিবসে রাজবাড়ীতে কর্মরত সকল নারী পুলিশ সদস্যসহ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল গর্বিত সফল নারী পুলিশ সদস্যেদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশের চ্যালেঞ্জে নারীদের অভাবনীয় সফলতা এসেছে। পুলিশে নারী পুলিশের অভিষেক ঘটে ১৯৭৪ সালে। ৮ জন কনস্টেবল যোগদানের মধ্য দিয়ে। তখন নারী পুলিশ সদস্যরা কাজ করতেন সাদা পোশাকে। ইউনিফর্মধারী নারী পুলিশের যাত্রা শুরু হয় দুই বছর পর ১৯৭৬ সালে। আর বর্তমান পুলিশ বাহিনীর জনবলের মোট ৬ ভাগই নারী। যারা তাদের কর্মক্ষেত্রে নিজ নিজ অভিজ্ঞতার প্রমাণ রাখছেন।
এর আগে রাজবাড়ীতে দীর্ঘদিন সফলতার সাথে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেছেন সালমা বেগম। পরে তাকে রাজবাড়ী থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছিল। তখন তার স্থলে রাজবাড়িতে আসেন আরেক নারী পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি।