অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে রাজবাড়ীতে পুলিশ-জনতা ঐক্যবদ্ধ
সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে হলে জনগণকে বেশি করে পুলিশের কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। আর এ কাজটিই এখন আমরা রাজবাড়ীতে করছি। সমাজকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করতে হলে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদেরকে সব ধরণের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা নিষ্ঠা ও সততার সাথে তা বাস্তবায়ন করবো।
বার্তা২৪.কম’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।
বিগত ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ীতে পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন তিনি। যোগদান করার পর থেকেই তিনি সমাজ থেকে অপরাধ দমন করতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তার যোগদানের পরই তিনি গত দুই মাস জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী থেকে ব্যাপক মাদকদ্রব্য, হারিয়ে যাওয়া গাড়ি-মোবাইল উদ্ধার করে প্রশংসিত হন রাজবাড়ীবাসীর কাছে।
তার দুই মাসের কর্মদিবসে তিনি রাজবাড়ীতে ৫ হাজার ইয়াবা, ৭ কেজি গাঁজা, ৬০০ বোতল ফেনসিডিল, ২০০ লিটার দেশীয় চোরাই মদ, ১০০ গ্রাম হিরোইন, বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ৪টি মোটরসাইকেলসহ মোট ৬টি গাড়ি ও ২৫টি মোবাইল উদ্ধার করেছেন।
এরমধ্যে রাজবাড়ীতে প্রথম পেটের মধ্যে থেকে ১৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও উদ্ধারকৃত ২৫টি মোবাইল প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় চলে আসেন তিনি। এসপি শাকিলুজ্জামানের কর্মদক্ষতায় রাজবাড়ী শান্তিময় হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকার সাধারণ জনগণ।
পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, পুলিশ এখন জনগণের বাহিনী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। মানুষ পুলিশের ডাকে সাড়া দিচ্ছে। স্বত:স্ফুর্তভাবে পুলিশকে সহযোগিতা করছে। আমরা মনে করি- মানুষ যেভাবে পুলিশকে এখন সহযোগিতা করছে তাতে আগামী দিনগুলোতে সমাজ থেকে অনেক অন্যায় কাজ রোধ করা সম্ভব হবে। অন্যায়, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির সাথে কোন আপষ আমরা করবো না।
আইজিপি স্যার চাচ্ছেন মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে। আমরা সেই কাজটিই করছি। শক্ত হাতে অপরাধ দমনের পাশাপাশি সমাজে শান্তি রক্ষায় এখন আমি ও আমার সহকর্মীরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। তারই প্রেক্ষিতে আমরা রাজবাড়ীতে ৪৮টি বিট পুলিশ গঠন করেছি। তারা নিয়মিত কাজ করছে।
আমরা জেলার ৫টি উপজেলার প্রত্যেকটি মসজিদে মসজিদে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। করোনাকালীন সময়ে আমরা জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণসহ তাদেরকে করেনারোধে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। যা এখনও চলমান।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ ও জনগণ একে অপরের পরিপূরক। পুলিশের কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করে একটি শান্তিময় সমাজ আমরা গড়তে চাই। যে সমাজ হবে সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত।