‘স্বীকার করছি পুরোপুরি ঘুষ দূর করা যায়নি’
শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, কিন্তু এখনও কোয়ালিটি নিশ্চিত করা যায়নি। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) মুজিব বর্ষে ডিপিডিসির ১২ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ সেবা উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন তিনি এ মন্তব্য করেন। সুসজ্জিত তিনটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হবে। এলটি গ্রাহকদের নতুন সংযোগ ও লোডবৃদ্ধি, মিটার ও নাম পরিবর্তন, বিল সংশোধন ও পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, মিটারের ভেন্ডিং সংক্রান্ত জটিলতা, তাৎক্ষণিক অভিযোগ গ্রহণ ও সমাধান এবং বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করা হবে এই সেবার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি, আজকে যা করছি কালকে আরও ভালো করতে চাই। প্রতিদিনেই সেবার মান উন্নত করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য।
গ্রাহকদের হয়রানি প্রশ্নে বিকাশ দেওয়ান বলেন, আমি স্বীকার করছি সব ক্ষেত্রে ঘুষ দুর্নীতি নির্মূল করা যায়নি। প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবার মান বাড়ানোর জন্য। যারা হয়রানি হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
সংসদ অধিবেশন চলাকালে মোহাম্মদপুর, শ্যামলী এলাকায় লোডশেডিং সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই অভিযোগ আগে ছিল, এখন সিস্টেম আপগ্রেডেশন করা হয়েছে। সংসদ ও গণভবনের জন্য চারটি স্বয়ংক্রিয় বিকল্প সোর্স নিশ্চিত করা হয়েছে। আশাকরি এখন আর সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, এখনও কিছু এলাকায় বাঁশের খুটি রয়েছে। আমরা এগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছি। পুরান ঢাকায় নেটওয়ার্ক অনেক নাজুক। যে কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। এগুলোর আধুনিকায়ন চলমান।
গ্রীষ্মকালে এবং রমজান একসঙ্গে আসছে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করছি এবার চাহিদা ১৯শ মেগাওয়ার্ট উঠবে। এর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত আছি।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দার, কোম্পানি সচিব মো. আসাদুজ্জামান, ডিজিএম (জনসংযোগ) শামীমুর রহমান শামীম।