৯০ হাজার টাকার প্রসাধনী অর্ডার করে মিলল মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য
অনলাইনে লোভনীয় বিজ্ঞাপণ দেখে ৯০ হাজার টাকার প্রসাধনী পণ্য অর্ডার করেন এক ব্যবসায়ী। তারপর কুরিয়ার সার্ভিস মাধ্যমে তার ঠিকানায় পার্সেল আসে। ক্যাশ অন ডেলিভারি মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে পার্সেল সংগ্রহ করে বাসায় এসে খুলে দেখে পণ্যগুলো ২০১৫ সালেই মেয়াদোর্ত্তীণ হয়ে গেছে।
প্রতারণার শিকার ওই ক্রেতার নাম মিলন মিয়া (৪৫)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরে। ওই শহরে ইলমা ট্রের্ডাস নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার।
জানা গেছে মাসখানেক পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চট্টগ্রামের বাসিন্দা শাহীন নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় মিলন মিয়ার। পরে শাহীনের ‘ইন্ডিয়া বাজার’ নামে ফেসবুক আইডিতে স্বল্পমূল্যে ভারতীয় প্রসাধনী পণ্যের বিজ্ঞাপণ দেখে কিছু প্রসাধানী সামগ্রী অর্ডার করেন। এভাবে দুই দফায় পণ্য অর্ডার করে পার্সেল বুঝে পাওয়ায় বিশ্বাস তৈরি হয় মিলনের। অপরদিকে প্রসাধনী পণ্যগুলোর বাজারে চাহিদা থাকায় স্থানীয় ভাবে বিক্রি করে কিছু টাকা লাভ হয় মিলনের।
এদিকে অধিক লাভের আশায় তৃতীয়বার ধার-দেনা করে ৯০ হাজার টাকা প্রসাধনী পণ্যের অর্ডার করেন। গত ১৮ মার্চ ময়মনসিংহ জেলা শহরে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে পার্সেল আসলে ক্যাশঅন ডেলিভারিতে ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করে পার্সেল সংগ্রহ করেন। কিন্ত বাসায় এসে পার্সেল খুলে দেখেন তিন কার্র্টুন ভর্তি মেয়াদোর্ত্তীণ ফেসওয়াস। তাৎক্ষণিক শাহীনের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতারক শাহীনের ইন্ডিয়া বাজার ফেসবুক আইডিতে ঢুকতে গিয়ে দেখি সেখান থেকে আমাকে আনফ্রেন্ড করা হয়। তখনই বুঝে যান মিলন প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
মিলন মিয়া বলেন, অনলাইনে আমি যেসকল পণ্য অর্ডার করেছিলাম সেগুলো না দিয়ে ৩ কার্টুন ভর্তি মেয়াদোর্ত্তীণ ফেসওয়াস দেয়া হয়েছে। যেগুলোর মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হয়ে গেছে। ধার-দেনা করে একটু লাভের আশা করতে গিয়ে এখন আমি নিঃস্ব। এখন আইনের আশ্রয় নেবো।