‘স্বাস্থ্যবিধির মানার ওপর জোর, লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেই’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসআপাতত কোনো ধরনের লকডাউনের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, দেশে করোনা রোগী যে হারে সংক্রামিত হচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সরকারের প্রস্তুতির কাজ কঠিন হয়ে পড়বে। সারাদেশে নতুন করে প্রায় ৩ হাজার নতুন করোনার বেড বাড়ানো হয়েছে।ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। যদিও ঢাকার বাইরে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা কম আছে। এ বিষয় মাথায় রেখে রাজধানীর বেশ কয়েককটি হাসপাতাল করোনার জন্য নিয়ে আসছি। যেটাতে আগে কম করোনা রোগী দেখা হত। আপাতত সরকারের লকডাউনের কোন চিন্তা ভাবনা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, যারা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গেছেন বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তারাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
জাহিদ মালেক জানান, মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে তারা জরিমানাও করবে। আমাদের মনে রাখতে হবে কেন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এই সংক্রমণের উৎপত্তিস্থল কোথায়, এগুলো শনাক্ত করে সেই উৎপত্তিস্থলগুলো বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে যেসব করোনা রোগী এসেছে তাদের সাথে আমরা আলোচনা করে জানতে পেরেছি যে, তারা বেশিরভাগ কক্সবাজারে বেড়াতে গেছিলো, কেউ বান্দরবানে বেড়াতে গেছিলো, কেউ কুয়াকাটা গেছিল বা কেউ পিকনিকে গেছিলো।
জনসমাগম সীমিত করার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, বিয়ে বাড়ির সমাগম, ওয়াজ মাহফিলের সমাগম, অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের সমাগম সীমিত করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অনুসারে- ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনায় মারা যান ১৮ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৭৩৮ জনে। এছাড়া নতুন করে ৩ হাজার ৫৫৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ জনে।