সরকারি প্রতীক ও সিলের অপব্যবহার



মহিউদ্দিন বাবর, ফ্রিল্যান্সার লেখক ও সিএসআর স্পেশালিস্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বায়ন এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে মানুষের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে পণ্য ও সেবার প্রসার যেমন ঘটছে তেমনি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নকল ও জালিয়াতির ঘটনাও। প্রসাধনী থেকে শুরু করে খাদ্য দ্রব্য, ইলেকট্রনিক পণ্য, নির্মাণ সামগ্রী, ওষুধ এমনকি খেলনা পর্যন্ত নকল পণ্যে ছেয়ে গেছে। ভোক্তাদেরও যেনো কোনো উপায় নেই আসল কিংবা ভেজাল পণ্য যাচাই করার। অসাধু চক্রগুলো ন্যূনতম নীতি-নৈতিকতার ধার না ধেরেই এসব জালিয়াতি করছে।

ভোক্তাদের অজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে এসব নকল পণ্য দেদারসে বাজারে চলছে যা আমাদের আর্থ সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

ঠিক এরকমই আরেকটি অন্যায় হয়ে আসছে যেটি হলো- সরকারি সিল বা মোহরের অপব্যবহার। কিছু মহল তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং আর্থিক স্বার্থের জন্য সরকারি সিলের অপব্যবহার করছে। তারা নিজেদেরকে সরকারি সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করেই তাদের বিপণন যোগাযোগ যেমন বিজ্ঞাপন, প্রচারণা, প্রেস বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি এমনকি সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সরকারি সিল ব্যবহার করছে।

দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত রয়েছে, কিন্তু তারা সরকারি প্রতীক বা সিল ব্যবহার করার কর্তৃত্ব রাখে না। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে অনেকে ইতিমধ্যেই সাংবিধানিক নীতিমালার প্রতি ন্যূনতম সম্মান না রেখে সকল নীতি-নৈতিকতা লঙ্ঘন করে চলেছে যা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। সরকারি সিল বা প্রতীক হলো একটি দেশের সার্বভৌমত্বের পরিচয় চিহ্ন।

সংবিধানেই সিল ব্যবহারের বিষয়ে “দি বাংলাদেশ নেমস অ্যান্ড এমব্লেমস (প্রিভেনশন অফ আনঅথোরাইজড ইউজ) অর্ডার, ১৯৭২” এর ৩য় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা কোনো পেশাগত উদ্দেশে সরকারি সিল বা প্রতীক ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই একই রকম আইন রয়েছে। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণামূলক উদ্দেশে সরকারি সিল তৈরি, নকল করা, জালিয়াতি করা, পরিবর্তন করা, কাটাছেঁড়া করা এমনকি অবৈধভাবে সরকারি সিল অথবা প্রতীক ব্যবহারে জড়িত থাকার কারণেও কঠোর শাস্তি হতে পারে। ভারতে “দি এমব্লেমস অ্যান্ড নেমস (প্রিভেনশন অফ ইমপ্রপার ইউজ) অ্যাক্ট, ১৯৫০” এর অধীনে বাণিজ্যিক লাভের জন্য সরকারি সিলসহ জাতীয় প্রতীকগুলোর অবৈধ ও অনুপযুক্ত ব্যবহার প্রতিরোধে নানাবিধ শাস্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলো নেওয়া হচ্ছে যাতে সরকারি সিল কিংবা প্রতীকের অপব্যবহার রোধ করে জাতীয় নিরাপত্তা ও সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বোপরি নাগরিকদের সুরক্ষা, বৈধতা এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যায়।

দেশ যখন দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তখন আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন যেনো রাজনৈতিক, সামাজিক বা অর্থনৈতিক স্বার্থে কোনো পক্ষই রাষ্ট্রীয় প্রতীকের অপব্যবহার করে সাধারণকে প্রতারিত করতে না পারে। যারা আইন লঙ্ঘন করছে বা এই জাতীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে দায়িত্বশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে এবং টেকসই উন্নয়নের মজবুত ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

   

রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

রাতের মধ্যে রাজধানীসহ ১৩ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ১৩ অঞ্চলে রাতের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পাশাপাশি এই সময় সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

;

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

বিডিএস দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে আরও ১ হাজার ৩৩৩টি শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। 

তিনি বলেন, বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে) বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বিশেষ ‘প্রকল্প পর্যালোচনা সভা’য় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপসহ মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে এবং খতিয়ানে দাগ শেয়ার করতে হবে না। ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানাভিত্তিক খতিয়ান প্রণয়ন করা সম্ভব হলে ভূমি নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা ও সীমানা বিরোধ অনেকাংশে কমে যাবে।

এ সময় বিডিএসকে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে অগ্রাধিকার দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

সভায় অবহিত করা হয় যে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (ইস্টাবলিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

খুব শিগগিরই আরেকটি প্রকল্পের রিভিউ শেষ হলে পটুয়াখালী, বরগুনা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার ৩২টি উপজেলায়ও বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে' পরিচালনা করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

ভূমিসচিব খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় ভূমি মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

;

সাভারে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাভারে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহতের নিথর দেহ উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন। এর আগে দুপুরের দিকে সাভার পৌরসভার সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. শহিদুল ইসলাম (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার চরধরমপুর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি সাভারের সোবহানবাগ আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসকের সহকারী।

হত্যাকান্ডের কারণ বা এর সাথে কারা জড়িত তা এখনও বলতে পারেনি পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।

পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নে ২ হাজার ২৯৪ মিলিয়ন ইয়েন (১৭২ কোটি টাকা) অনুদানের কথা জানিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশস্থ জাপানের দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য এ অনুদান দিয়েছে জাপান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ ব্যয় হবে।

অনুদান প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, এ অনুদানের অর্থ বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমিকে সমৃদ্ধির পাশাপাশি কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। পাশাপাশি এ অনুদানের অর্থ দেশে রোহিঙ্গা নিয়ে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে সেটিরও প্রশমন ঘটাবে।

;