১২ এপ্রিল এলপি গ্যাসের মূল্য ঘোষণা করবে বিইআরসি!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমবার (১২ এপ্রিল) এলপি গ্যাসের বিক্রয়মূল্য ঘোষণার প্রস্তৃতি প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিইআরসির (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিইআরসি’র চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, গণশুনানি গ্রহণের তারিখ থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১৪ জানুয়ারি শুনানি নেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল হয়। ওই দিন পহেলা বৈশাখের ছুটি। তাই এর আগেই ঘোষণা দিতে চাই। ১২ তারিখ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছি। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) চূড়ান্ত তারিখ জানাতে পারবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দর কতো হচ্ছে এখনই বলতে চাচ্ছি না। তবে এটুকু বলতে পারি, সবাই খুশিই হবে। সবপক্ষকে অ্যাড্রেস করা হয়েছে।

এশীয় অঞ্চলের দেশগুলো সৌদি আরামকোর দরকে ভিত্তি ধরা হয়। বিইআরসির দরের ফর্মুলা কি হচ্ছে। জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আইপিপি (ইমপোর্ট পার্টি প্রাইস) সারা পৃথিবীতে এই ফর্মুলা ফলো করা হয়। বাংলাদেশেও একই ফর্মুলা ফলো করা হবে।

ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ এশীয় অঞ্চলের দেশসমূহ সৌদি আরামকো নির্ধারিত প্রতিমাসের দর স্ব স্ব দেশের এলপিজির দর নির্ধারণের সুচক বিবেচনা করা হয়। আমদানি পর্যায়ের মূল্যকে ভিত্তি মূল্য ধরে পরিবহন ও অন্যান্য কমিশন যুক্ত করে বাজার মূল্য চূড়ান্ত করা হয়। বাংলাদেশেও এমন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। একটি হচ্ছে আমদানিকৃত এলপিজির মূল্য। আরেকটি থাকবে পরিবহন খরচ, কোম্পানির ও পরিবেশকের মুনাফা এবং অন্যান্য। আরামকোর দরের সঙ্গে শুধু এনার্জি দর উঠানামা করবে, অন্যান্য খরচ অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও অনেকে এই মতের সঙ্গে একমত। তারা মনে করছেন প্রত্যেক মাসে গণশুনানি তারপর দর নির্ধারণ করার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ ও জটিল। সে কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হলেই ভালো। এতে কারো বেশি লাভ কিংবা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ কম থাকবে।

তবে স্বংক্রিয় দরের বিপক্ষে মত দিয়েছেন ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, স্বংক্রিয় করার বিষয়ে আইন পারমিট করে না। আমরা তাদের বেতন দিচ্ছি তারা এটি করবে। সক্ষমতা না থাকলে প্রয়োজনে তারা সক্ষম হবে। দর পরিবর্তন হলে সেই পণ্য দেশে আসতে ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় প্রয়োজন হয়। তখন আবার গণশুনানি করবে।

বহুমুখী বাজার, অর্ধশতাধিক কোম্পানি, হাজার হাজার পরিবেশক, লক্ষাধিক খুচরা বিক্রেতা, সর্বপরি আমদানি নির্ভর এই জ্বালানির অস্থিতিশীল বাজার বিষয়টিকে বেশ জটিল করে তুলেছে। দেশে ব্যবহৃত এলপিজির সাড়ে ৯৮ ভাগ আমদানি নির্ভর। সরকার এখন পর্যন্ত ৫৬টি কোম্পানি অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে ২৮টি মার্কেটে রয়েছে ২০টি প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারি কোম্পানির মার্কেট শেয়ার মাত্র দেড় শতাংশ।

এতদিন এলপিজির দর কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন ছিল। দর নির্ধারণের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই কথা হলেও জ্বালানি বিভাগ, বিইআরসি নাকি বিপিসি করবে সে নিয়ে ছিল রশি টানাটানি। সর্বশেষ ক্যাবের এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এলপিজির দর নির্ধারণ করার জন্য বিইআরসিকে শোকজ করে। সে মোতাবেক দর চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১৪ জানুয়ারি গণশুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি। শুনানিতে প্রমিতা এলপিজি ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডার প্রতি ৮৫৩ টাকা, সরকারি কোম্পানি বিএলপিজি ৭০০ টাকা, এলপিজি অপারেটরস এসোসিয়েশন ১২৫৯ টাকা করার প্রস্তাব জমা দেয়।

অন্যদিকে দরের মতো প্রপেন ও বিউটেন একেক কোম্পানি একেক মিশ্রণে বাজারজাত করছে। বাংলাদেশের একশ বছরের তাপমাত্রা রেকর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন ২.৬ তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে। তাপমাত্রা অনুযায়ী প্রপেন ৩০ হতে ৪০ শতাংশ এবং বিউটেন ৭০ থেকে ৬০ শতাংশ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী এক সেমিনারে বলেছেন, খুব ঘন ঘন দর উঠা-নামা করলে ভোক্তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সে কারণে যতটা সম্ভব কম উঠা-নামা করা ভালো। পাশাপাশি ক্রস সাবসিডি দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অভিমত দেন।

ক্রস সাবসিডির বিষয়টি বিইআরসির এক রিপোর্টে সামনে এসেছে। অনেক দিন ধরেই একটি বিষয় আলোচিত ছিল কেউ পাইপ লাইনে কম দামে গ্যাস পাবে। অন্যরা বেশি দামে এলপিজি কিংবা লাকড়ি ব্যবহার করবেন এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই বিষয়টিতে সমতা আনার জোর দাবি ছিল। তারই প্রতিফলন করতে চেয়েছিল বিইআরসি। জ্বালানি বিভাগে পাঠানো একটি চিঠিতে সাশ্রয়ী মূল্যে এলপিজি সরবরাহের জন্য আমদানি পর্যায়ে ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয় পাইপলাইনের গ্যাসের গ্রাহকদের ওপর চার্জ বসিয়ে ভর্তুকির অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।

বিইআরসির সেই চাওয়ার কোনো প্রতিফলন থাকছে না বলে জানা গেছে। বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে, গণশুনানিতে কোনো পক্ষই এ বিষয়ে আবেদন করেনি। সে কারণে বিইআরসি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

২০০৮-০৯ অর্থ বছরে দেশে এলপিজি ব্যবহৃত হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৭৪ মেট্রিক টন। কয়েক বছরে চাহিদা বেড়ে ১২ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। জাইকার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ৩০ লাখ টন ও ২০৪১ সালে চাহিদা হবে ৬০ লাখ টন।

   

‘ফুটপাত উদ্ধারের পর চসিকের লক্ষ্য ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতরের সময় বন্ধ থাকা উচ্ছেদ অভিযান আবারও শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র বলেন, ফুটপাত উদ্ধারের পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান। এবার উচ্ছেদ অভিযানে ফুটপাত-সড়ক দখলকারীদের পাশাপাশি শাস্তির আওতায় আনা হবে যত্রতত্র ময়লা ফেলা ব্যক্তিদেরও।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে লালদিঘী পাড়স্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৯তম সাধারণ সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল বলেন, নগরবাসী রাস্তায় নিরাপদে হাঁটার অধিকার ফিরিয়ে দিতে নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। উচ্ছেদ কার্যক্রমকে ব্যর্থ করতে নানা রকম বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে, ঢাকার একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ সবাই উচ্ছেদ অভিযানে খুশি। ঈদের সময় একটু নমনীয়তা দেখিয়েছি। এখন আবারও ফুটপাত-সড়ক উদ্ধারে অভিযান চলবে।

'অভিযানে সংশ্লিষ্ট আরও অন্যান্য সরকারি সংস্থার সম্পৃক্ততা বাড়াতে যোগাযোগ চলছে। একবার উচ্ছেদের পর পুনর্দখল ঠেকাতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ফুটপাত উদ্ধার শেষ হলে আমার পরবর্তী লক্ষ্য হলো ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাবো। এছাড়া, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একজন ডেডিকেটেড ম্যাজিস্ট্রেট দিব যার কাজ থাকবে শুধু যাদের বাসা-দোকান-অফিসের সাথে ময়লা পাওয়া যাবে তাদের জরিমানা করা। ফুটপাত রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব, সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই।'

সভায় একাধিক কাউন্সিলর ব্যাটারি রিকশা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

সভায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, নিউমার্কেট মোড়ে ব্যাপক উচ্ছেদের মাধ্যমে ফুটপাত-সড়কের স্থান উদ্ধার করা গেলেও ঈদের শেষ সময়ে হকাররা আবারও ফিরে এসেছে। এজন্য হকার উচ্ছেদে আবারও নতুন করে একটা প্রোগ্রাম গ্রহণ করা যেতে পারে। নিউমার্কেট মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে দ্রুত বিচার আইনে হওয়া মামলাটির চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আরেকটি মামলা চলমান আছে যেটির সাথে সংশ্লিষ্ট ফুটেজ বিশ্লেষণসহ তদন্ত করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ বলেন, চসিকের ৩৭ থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে পানির সংকট কমাতে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডেও পানির সংকট কমাতে কাজ করবে ওয়াসা।

গণপূর্ত অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রমিজুর রহমান বলেন, বায়েজিদ এলাকায় গণপূর্ত অধিদফতরের উদ্ধারকৃত জায়গায় হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট স্থাপনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু মুসা জানান, নগরীতে ফুটপাতে অবৈধ কোনো দোকান যাতে কোনোভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ না পায় সে বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক আছে। পিডিবির পোলে ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইন অপসারণের বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

বরিশালে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল নগরীর নাজিরের পুল এলাকা থেকে সাড়ে তিন কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ৩ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদারের নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক কমলেশ চন্দ্র হালদার ও এসআই মো: সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- বরিশাল জেলার গৌরনদী মহিলাড়া বেজাহার ২ নং ওয়ার্ডের মৃত আলতাফ মাতুব্বরের ছেলে মো: ইমরান মাতুব্বর (৩০) ও নগরী কাউনিয়া থানাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মো: বাবুল হাওলাদার (৬২)।

বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার জানান, আমাদের কাছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ জন ব্যক্তি ৩ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদের প্রতিনিধিদের সাথে মেয়র তাপসের মতবিনিময়



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দপ্তরে কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদের সমন্বয়ক হাসান আহমেদ ও সদস্য সচিব এস এম মওলা রেজার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে বৈঠকে নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিবৃন্দ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে এক স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন এবং পরিষদের সভাপতি একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত কবি নির্মলেন্দু গুণের কামরাঙ্গীরচরস্থ সৃজন কুঠির (বাড়ি) পরিদর্শনের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন। জবাবে ঢাদসিক মেয়র সুবিধাজনক সময়ে কবির সৃজন কুঠির পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান।

মতবিনিময়কালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস প্রতিনিধি দলকে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি, কামরুল ইসলাম সরণি এবং ইনার সার্কুলার রিং রোড প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত করেন। এছাড়াও বৈঠকে ঢাদসিক মেয়র এসব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কামরাঙ্গীরচর হতে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না এবং কামরাঙ্গীরচরে স্থাপনা নির্মাণে কোনো অনুমোদিত প্রকল্প নেই বলে জানান।

বৈঠক শেষে নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিগণ মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসকে ঢাদসিক'র উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে সন্তুষ্টি জানান এবং আশ্বস্ত হয়েছেন মর্মে অবগত করেন। এছাড়াও প্রতিনিধিবৃন্দ কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের সৃষ্ট বহুমাত্রিক গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থেকে তা প্রতিহত করবেন বলে ঢাদসিক মেয়রকে জানান।

;

কালুরঘাটে পানির রিজার্ভ ট্যাংকে পড়ে কর্মচারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় কাদের ট্রেডিং কোম্পানির লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পানির রিজার্ভ ট্যাংকে পড়ে হাবিবুর রহমান (৫৫) নামে এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ওই ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে হস্তান্তর করে।

নিহত হাবিবুর রহমান বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মির্জাপুর উপজেলার মাধবখালী গ্রামে।

বিয়ষটি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়ন স্টেশন অফিসার মো. বাহার উদ্দিন।

তিনি বলেন, ভারি শিল্প এলাকার কাদের ট্রেডিং কোম্পানির লিমিটেডের কর্মচারীর হাবির প্রতিষ্ঠানটির আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার হাউজ থেকে বালতি কেটে পানি নিয়ে গিয়ে নিচে পড়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা ওই পানির ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।

মো. বাহার উদ্দিন বলেন, লোকটি আজকে রোজা রেখেছিল। কাপড় ধোঁয়ার জন্য বালতি কেটে পানি তোলার সময় নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে আমরা কিছু ভেজা কাপড় পেয়েছি। ওই প্রতিষ্ঠানটি আগুন লাগার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। মেরামতের কাজ চলছে।

এর আগে গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ওই প্রতিষ্ঠানটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের মোট নয়টি গাড়ি গিয়ে ভোর ৩টা ১৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

;