রাজশাহীর সব থানার নিরাপত্তায় বসেছে এলএমজি চৌকি
রাজশাহীর থানাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি থানায় বসানো হয়েছে লাইট মেশিনগান (এলএমজি) চৌকি। সেই চৌকিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকছেন একজন পুলিশ সদস্য। রাজশাহী মহানগরীর থানাগুলোর সামনে বালুর বস্তার ওপর এলএমজি স্থাপন করা হয়েছে।
রোববার (১১ এপ্রিল) রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ১২টি থানায় এই এলএমজি চৌকি বসানো হয়েছে। সোমবার আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে জেলার ৮ থানায় এটি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম।
আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, গত বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে আরএমপির পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সদস্যদের ভারী অস্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এরপর রোববার (১১ এপ্রিল) থেকে থানাগুলোতে এলএমজি চৌকি বসানো হয়েছে। প্রথমে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের এই চৌকিতে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়েছে। চৌকিতে যেন দক্ষ পুলিশ সদস্যের ঘাটতি দেখা না দেয় তাঁর জন্য এখনও প্রশিক্ষণ চলছে। পর্যায়ক্রমে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হবে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে দেখা যায়, নিরাপত্তা চৌকিতে এলএমজি নিয়ে প্রস্তুত আছেন একজন পুলিশ সদস্য। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর বলেন, দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এই চৌকিতে একজন পুলিশ সদস্য অবস্থান করবেন। অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটলে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করবেন। থানার ভেতরে বার্তা পাঠাবেন।
থানাগুলোতে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হলেও এই মুহূর্তে নগরীতে অপ্রীতিকর কোন ঘটনার গোয়েন্দা তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন আরএমপির মুখপাত্র। তিনি বলেন, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে, এ রকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবেই থানাগুলোতে এলএমজি চৌকি বসানো হয়েছে।