শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে ঘরমুখী মানুষের প্রচণ্ড চাপ



মোঃরুবেল ইসলাম তাহমিদ, বার্তা২৪.কম, মুন্সীগঞ্জ
ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠেকানো যাচ্ছে না কঠোর লকডাউনের আগেই ঘাট এলাকায় মানুষের জোয়ার। কঠোর লকডাউনের আগেই বাড়ি ফিরতে হবে। তাই মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া হয়ে মাদারীপরের -বাংলাবাজার নৌ-রুটে হয়ে বাড়ি ফিরছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের ঘরে ফেরার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

লকডাউনকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের চাপ নিতে পারছে না মাওয়া শিমুলিয়া ঘাট। কোন ঈদের পূর্বে এত লোকের সমাগম হয়নি মাওয়া ঘাটে। ঘরমুখী মানুষের চাপ পরেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি করোনা কিছুই মানছে না যাত্রীরা। এখানে মনে হচ্ছে করোনা তাদের দেখে পালিয়ে গেছে।

বেশিরভাগ যাত্রীর মুখে মাক্স নেই, করোনার ভয় নেই, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। সকল কিছুর উর্ধ্বে উঠে বাড়িতে যেতে পারলেই মনে হয় করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এমনটাই যাত্রীদের মনোভাব।

ঘাট এলাকায় মানুষের জোয়ার

 

যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের গন্তব্য এখন বাড়ি। কি হচ্ছে, কি মানছি কি মানছি না এসব বিষয় দেখার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে যেতে পারলেই অন্তত পক্ষে ডালভাত খেয়ে বাঁচা যাবে। ঢাকায় বসবাস করলেতো বাঁচা যাবে না।

প্রথম রোজার আগের দিনটিতে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও ফেরি, ট্রলার ও কিছু কিছু স্পিডবোটে করে পদ্মা পার হয়ে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছেন যাত্রীরা। বাসচলাচল বন্ধ ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার আর মোটর সাইকেলে করে ঘাটে এসেছেন তারা। নৌ ও স্থলপথে যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে কঠোর লকডাউনের একদিন আগেই বাড়ি ফিরছেন সাধারণ এ মানুষ গুলো ।

যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায়, লকডাউনে ঢাকায় থেকে কোনো লাভ নাই। শুধু খরচ বাড়বে। তাই বাড়ি যাচ্ছেন তারা। জাকির নামে ঘরমুখো এক যাত্রী বলেন, কাল (বুধবার) থেকে সব কিছু বন্ধ থাকবে। ঢাকায় থেকে কি করবো? তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।

অপর যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, ঈদের তিন/চার দিন আগে বাড়িতে যাওয়া হয়। কিন্তু এবার লকডাউন আর করোনা পরিস্থিতির কারণে রোজার আগেই বাড়ি যাচ্ছি। রোজার পুরো মাস বাড়িতেই থাকবো।

শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণায় মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা দিয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকে। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরি, স্পিডবোট ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়ি ফিরছেন। এই সুযোগে তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন যানবাহন মালিকরা।

এদিকে ঘাট এলাকায় হাজারের অধিক ব্যাক্তিগত ও শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন অবস্থান করছে। এসব যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ। করোনার কারণে বেকার হয়ে অনেক পরিবার তাদের আসবাবপত্রসহ পিকাপ যোগে ঢাকা ছেড়ে মাওয়া ঘাট পার হচ্ছে।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, ঘাট এলাকায় আটশতাধিক গাড়ি রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়। মাওয়া চৌরাস্তা থেকে মহাসড়কে পাশে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আছে।

ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় থাকা শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক

 

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরিঘাটের মেরিন অফিসার মোঃ আহম্মেদ আলী জানায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহের সোমবার থেকে সাত দিন সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে জরুরি প্রয়োজনে উভয় ঘাটে দুটি ছোট ফেরি চালু রাখতে বলা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফেরি কম চলায় ঘাটে মালবাহী ট্রাকের জট সৃষ্টি হওয়ায় গত রোববার থেকে ১৫টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি এর শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সাহাদাৎ হোসেন বলেন, সকাল৬ টা থেকে ১৫টি ফেরি চলছে। শিমুলিয়া থেকে অসংখ্য যাত্রী পার হয়ে আসছে ফেরিতে। এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে কমপক্ষে ১৫শ ছোট বড় যান অপেক্ষায় রয়েছে।

   

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

নওগাঁয় পথের ধারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মে প্রচন্ড গরমে পথিক যখন ক্লান্ত প্রায় তখন লাল আভায় চাহনিতে প্রশান্তির ছায়া যেন বিমোহিত প্রাণজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সবুজের বুকে লালের আভায় ছেয়ে গেছে চারিদিক।

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রীষ্মকালীন গাছের মধ্যে অন্যতম হলো কৃষ্ণচূড়ার গাছ। কৃষ্ণচূড়া তার লাল রঙ্গা ফুলের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম একটি ফুলগাছ।

কৃষ্ণচূড়ার ফুল তার সৌন্দর্যের বার্তা জানান দেয় যখন প্রকৃতি প্রখর উত্তাপ ছড়ায়। আপন মহিমায় নিজেকে মেলে ধরে প্রকৃতিতে। যে কারো মন-প্রাণের আনে প্রশান্তি। আর চোখে এনে দেয় মুগ্ধতা।


নওগাঁ সদরে মুক্তির মোড় জেলা পার্কের সামনে দেখা যায়  কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে ডালে লাল ফুল ঝুলছে, ঝিরিঝিরি পাতার মাঝে  ফুল। আর সেই ফুল মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর প্রকৃতির প্রেমীদের। শস্য-শ্যামলা আর সবুজে ঘেরা বাংলার রূপ, এই রূপকে আরও নতুন করে রূপ দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার ছড়িয়ে দেওয়া সৌন্দর্য। এছাড়াও পার-নওগাঁ, বক্তারপুর, চাকল এসব স্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছের দেখা মিলে।

কথা হয় পথচারী আব্দুল মুমিনের সাথে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, চারিদিকে তাপদহ চলছে, গরমে অশান্তি লাগলেও এরমধ্যে কিছু সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে যেমন কৃষ্ণচূড়ার ফুল। দূর থেকে সবুজের মধ্যে লাল দেখা যা। আবার কাছে আসলে লাল রঙের ছড়াছড়িতে আরো বেশি ভালো লাগে। রাস্তার চারিদিকে বেশি বেশি কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে আরো বেশি ভালো লাগবে।


শাহিন নামের এক রিকশা চালক বলেন, শহরের মধ্যেই আমি রিকশা চালাই তাই অনেকবার দেখা মিলে কৃষ্ণচূড়া গাছের। যতবার কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখতে পাই তাকিয়ে থাকি কারণ আলাদা সৌন্দর্য দেখতে পাই কৃষ্ণচূড়া ফুলের মধ্যে।

গরমের প্রচন্ড আভায় লুকায়িত সৌন্দর্য ফুটে তুলে কৃষ্ণচূড়ার ফুল। গাছ যেমন পথিককে ছায়া দেয় আবার অক্সিজেনও দেয় তাই বেশি বেশি লাছ লাগানো প্রয়োজন। রাস্তার পাশে নানারকম ঔষধি গাছ থেকে শুরু করে সৌন্দর্য বর্ধনে চারা রোপণ করা জরুরি। রোদের সময় প্রকৃতি যেমন ঠান্ডা থাকবে তেমনি প্রাকৃতিক ভারসাম্যও রক্ষা পাবে, বলছিলেন পথচারিরা।

;

সব ইস্যু হারিয়ে বিএনপি এখন পাগলের প্রলাপ বকছে: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত বয়কটের নামে বিএনপি পাকিস্তানের চিন্তা চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বলে মন্তব্য করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি সব ইস্যু হারিয়ে এখন পাগলের প্রলাপ বকছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে বহুমুখী পাটপণ্যের একক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, পাটের মত পরিবেশবান্ধব পণ্য আর একটিও নেই। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। পরিবেশবান্ধব সোনালি আশ পাটকে কীভাবে সার্বজনীনভাবে ব্যবহার করা যায়, রফতানি বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। জেডিপিসি ২৮২ রকম বহুমুখী পাটের পণ্য উৎপাদন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পাট শিল্পের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে পাট শিল্পের সরকারি, বেসরকারি ধারাকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাট শিল্পের বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানো হবে আরও ৮ গুণ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পাটভিত্তিক জিও টেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারে আকার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাট পণ্য রফতানিকারক এবং সংশ্লিষ্টদের পাটের উৎপাদন থেকে শুরু করে পাটপণ্য নিয়ে গবেষণা আরও বেশি বাড়াতে হবে।

বিশ্বের মধ্যে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এই শিল্পকে আমরা অনেক দূর নিতে পারব। পাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও কর্মচাঞ্চল্য হয়ে মেধাকে গবেষণার মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে এ শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেডিপিসির আয়োজনে এ মেলায় ৩০টি স্টল বসেছে। যেখানে ১০০টির অধিক পাটের আকর্ষণীয় পণ্য তুলে ধরা হয়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট সংলগ্ন সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে তিন দিনব্যাপী এ মেলা।

আগামীতে ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা২৪.কমকে জানান জেডিপিসির প্রযুক্তি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

মেলা উদ্বোধন শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী স্টল পরিদর্শন করেন এবং সবাইকে পাট মেলায় অংশগ্রহণ করে পাট পণ্য ব্যবহার ও কেনার আহ্বান জানান।

;

উপজেলা নির্বাচন

পরশুরামে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিনা ভোটেই নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছেন ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরামের জনগণ। অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্বাচন বিধি অনুযায়ী তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। তবে এবার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখের আগমন ঘটতে যাচ্ছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে এ উপজেলায় ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে ৮ মে ভোটগ্রহণ করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যহারের শেষ দিনে এ দুই উপজেলায় বৈধ ১৯ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পরশুরামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার নতুন চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। এছাড়া এ উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিনা ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সামছুন নাহার পাপিয়া পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এর আগেই দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

এর পেছনে কারণ আছে কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও মনোনয়ন জমা দিয়ে দলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। তবে কারো কোনো চাপে এ সিদ্ধান্ত নেইনি।

এছাড়া একই দিন বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইকরামুল করিম মজুমদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুর রসুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম রিটু এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিলুফা ইয়াসমিন মজুমদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এ উপজেলায় সবশেষ নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধি ভোট ছাড়া জয় পেয়েছেন। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কোনোটাতেই ভোট হয়নি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চে পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোট হয়নি। ওই নির্বাচনেও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা জয় পান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

;

জাহাজ ভাঙা শিল্পকে নিরাপদ করার আহ্বান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পকে আরো নিরাপদ করার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।

বার্তায় বাংলাদেশের শ্রমিকের কর্মপরিবেশ আন্তর্জাতিক মানের করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি হংকং কনভেনশন মেনে চলতে বলা হয়।

বার্তায় বলা হয়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ জাহাজা ভাঙা শিল্পের হাব হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এর মান সন্তোষজনক নয়। এটি নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নিরাপদ করতে হবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার অনুশীলনও করতে হবে।

বার্তায় আরো আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, আসুন, আমরা একসঙ্গে সবুজ ভবিষ্যত গড়ার জন্য জাহাজ ভাঙা শিল্পকে নিরাপদ হিসেবে তুলি।

 

;