তিন দিনের রিমান্ডে ‘হাতকাটা’ বাহিনীর প্রধানসহ তিন সদস্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্বৃত্তদের হামলায় ডান হাতের কবজি হারানোসহ গুরুতর জখম কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্র লীগের সাবেক নেতা আতাউর রহমান মিন্টুর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার প্রধান আসামি ‘হাতকাটা’ বাহিনীর প্রধান মেহেদী হাসান বাঁধন  ওরফে ‘হাতকাটা বাঁধন’ এবং তার অন্যতম সহযোগী রশিদ মিয়া ও মাজহারুল ইসলাম মনোয়ারকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে চিফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোশাররফ হোসেন এ আদেশ দেন।

রাজারহাট থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) রাজু সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের প্রত্যেককে তিন দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মেহেদী হাসান বাঁধন জেলার সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম এলাকার মুকুল মিয়ার ছেলে। তার মা মর্জিনা বেগম ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত (১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) নারী ইউপি সদস্য। আর রশিদ মিয়া একই ইউনিয়নের তালুক কালোয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। আর মনোয়ার কাঁঠালবাড়ী এলাকার আধারাম খোলারপাড় গ্রামের গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। গত ১৬ মার্চ ছাত্র লীগ নেতা মিন্টুর ওপর হামলার পর থেকে এরা পলাতক ছিলেন। এলাকায় এরা ‘হাতকাটা’ বাহিনী হিসেবে পরিচিত।

এর আগে বুধবার (১৪ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম পুলিশের একটি দল ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার একটি বাসা থেকে মিন্টুর ওপর হামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসান বাঁধন ওরফে ‘হাতকাটা’ বাঁধন এবং তার অন্যতম সহযোগী রশিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ী এলাকার আধারাম খোলারপাড় গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মাজহারুল ইসলাম মনোয়ার নামে তাদের আরও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দা জান্নাত আরা নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আসামিরা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির হওয়ায় তারা বারবার স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে চলে যাচ্ছিল। অবশেষে পুলিশ তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এর আগে আল-আমিন আহমেদ শুভ নামে এই মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার বকসী পাড়ার আব্দুল আজিজ দুলালের ছেলে। শুভ এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও গ্রেফতারের পর সে নিজের সম্পৃক্তার কথা জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে।

উল্লখ্য, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা শহরের মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতাউর রহমান মিন্টু গত ১৬ মার্চ দুপুরে জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক হামলার শিকার হন। এতে তার ডান হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং অপর হাত ও দুই পা গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে মিন্টু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ( পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহেদী হাসান বাঁধনসহ ছয়জন জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। পরে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) মিন্টুর বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় বাঁধনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আতাউর রহমান মিন্টু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলীর আপন ভাগিনা। আর বাঁধন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জু গ্রুপের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। কাঁঠালবাড়ী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধও রয়েছে।

   

নীলফামারীতে সার্কাসে রাত হলেই শুরু হয় অশ্লীলতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ার ডাঙ্গায় সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনীর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। খোলামেলা পোশাকে এসব নাচ গানের আসরে পঙ্গপালের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও নেয়নি কোন ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টায় দি রওশন গ্রেট সার্কাসে গিয়ে দেখা যায়, সার্কাসের প্যান্ডেলের ভিতরে মেয়েদের দিয়ে খোলামেলা আপত্তিকর নাচগান প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব নাচগানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্কাসের শো পরিচালনা করার থাকলেও রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব অশ্লীল নৃত্য। এতে করে রাত যতই বাড়তে থাকে সার্কাসে শুরু হতে থাকে অশ্লিল নৃত্য ।এসময় কাউকে মোবাইলে ভিডিও না করার জন্য বারবার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবদেশ রায় বলেন, এখানে সার্কাস চলছে ভালো কথা। আমাদের বাড়ির লোকজন আসবে দেখবে কিন্তু রাত হলে অশ্লীলতা বাড়ে এলাকার সব ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এখানে চলে আসে। যুবসমাজ এভাবে নষ্টের দিকে যাচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এসে শুনি সার্কাসের কথা,সেখানে অশ্লীল কিছু হলে আমি প্রশাসনকে অবগত করব।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;

ময়মনসিংহে তিন দিনে ৪ জনের মৃত্যু, ধারণা হিটস্ট্রোক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে চার উপজেলায় তিন দিনে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহত চার জনই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার গফরগাঁও, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর উপজেলায় চার জনের মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও নিহতের পরিবার সুত্র জানায়, গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের আফাজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে ফজলুল হক ঢালী (৫৬) বাজার করে বাড়িতে ফিরে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা টয়লেটের টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন ফজলুল হক সেখানে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। পরে তার মায়ের ডাক-চিৎকারে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা ও উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ফজলুল হক ঢালির মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে, অতিরিক্ত গরমে এমনটা হতে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সুটিয়া বাজারের রমজান খলিফা (৫৫) নিজের দোকানে বসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তিনি শরীর খারাপ লাগছে বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় টের পেয়ে মাথায় পানি দিতে শুরু করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই রমজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে, হাসপাতালে নেয়া হয়নি বা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পাইস্কা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফুলপুর উপজেলায় কয়রা ইউনিয়নের ইমাতপুর গ্রামে শিল-পাটা কাটার কাজ করছিলেন রমজান আলী। হঠাৎ সেখানে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই রমজান আলী মারা যান।

নিহত রমজান আলী রমজান আলী তারাকান্দা উপজেলার ৩ নম্বর কাকনী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়াডের বগীরপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে।

তারাকান্দা বগীপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. তরিকুর রহমান খন্দকার রাশেদ বলেন, রমজান আলী গ্রামে গ্রামে ঘুরে মশলা ভাটার শিলপাটা কাটায় হস্থশিল্পী শ্রমিকের কাজ করত। প্রতিদিনের মত আজ সকালে সে বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে পাশ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলার ইমাতপুরে যায়। সেখানে কাজ করা অবস্থায় দুপুরে প্রচন্ড গরমে সে স্ট্রোক করে মারা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ‍্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ন কবীর বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই রমজান আলীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ধারনা করা যায় অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে বা অন্য কোন কারণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।

একই দিন সকালে জেলার ভালুকা উপজেলায় কামরুল ইসলাম (৩০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত কামরুল ইসলাম জেলার গৌরীপুর উপজেলার রায় শিমুল গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র ছেলে। সে ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকার পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন।

ভালুকা শিল্প পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, নিহত কামরুল ইসলাম ভালুকায় বসবাস করে পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন। ঘটনার দিন সকালে কামরুল অসুস্থ অবস্থায় তার ভাইকে নিয়ে গার্মেন্টস যান। গার্মেন্টসে গিয়ে কর্তব্যরত নার্সকে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে চলে আসেন। সেখান থেকে কামরুল ইসলাম প্রথমে চুরখাই কমিনিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, কামরুল আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন। সকালে মুলত তার ভাইকে নিয়ে ছুটি নিতে গার্মেন্টসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

;

উপজেলা নির্বাচন: লোহাগড়ায় ১৩ জনের মনোনয়ন বৈধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জনসহ ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২৩ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং ভোট গ্রহণ ২১মে।

চেয়ারম্যান পদে ৭জনের মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৪ নং নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে. এম ফয়জুল হক রোম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৬ নং জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শরিফুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুন্সী নজরুল ইসলাম (সাবেক নিবন্ধক- আই.জি.আর), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন মুন্না এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নড়াইল শাখার সভাপতি মো: তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা মো: আইয়ুব হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে মনোনয়ন বৈধ হয়েছেন ৩ জনের মধ্যে ২ জন। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি এবং মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মিসেস কনিকা ওছিউর।

ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে একমাত্র প্রার্থী পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছা: কাকলি বেগমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১০৭৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১০৫৭৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১০৪৯৮৩ জন। এই উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।

;

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার দুই যাত্রী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার দুই যাত্রী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক শিশু। নিহতরা হলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার উজান বাড়েরা গ্রামের আব্দুর রহমান (৬২) তার ভাতিজি শেফালী আক্তার (৪৫)।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর গামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পথে বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং রেললাইনে উঠে পড়া রিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী মারা যায়। এই ঘটনায় আহত হয় এক শিশু।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক এসআই দীপক পাল জানান, ঘটনাস্থলে দুই জন মারা গেছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে হয়েছে এবং ঢাকা ময়মনসিংহ লাইনে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

;