সভাপতিকে জরিমানা করেও সরানো যায়নি বাজার
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরের সকল বাজার খোলা মাঠে স্থানান্তর করা হলেও কালিতলা বাজার সরানো হয়নি।
শুক্রবার(১৬ এপ্রিল) কালিতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে পূর্বের মতই বাজার চালু রয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বগুড়া জেলা প্রশাসন শহরের কাঁচা বজার ও মাছ বাজার গুলোকে পার্শ্ববর্তী খোলা মাঠে স্থানান্তর করে। সেই অনুযায়ী কালিতলা বাজার পার্শ্ববর্তী করনেশন স্কুল মাঠে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শহরের কালিতলা বাজার কমিটির সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রেজাউল করিম রিয়াদ গত ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাজার স্থানান্তর না করার জন্য মাইকিং করেন।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আটক করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তিনি জরিমানা দিয়ে মুক্ত হলেও বাজার স্থানান্তর না করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
পরদিন ১৪ এপ্রিল কালিতলা বাজারের সবজি বাজার বনানী-মাটিডালী সড়কের এক পাশ বন্ধ করে সেখানে বসানো হয়। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ সড়ক থেকে বাজার তুলে দেয় এবং করনেশন স্কুল মাঠে বাজার বসানোর অনুরোধ জানায়।
কিন্তু তার পরেও ব্যবসায়ীরা সেখানে না গিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে কালিতলা বাজারেই দোকান পাট বসিয়ে বেচা-কেনা শুরু করেন।
কালিতলা বাজারের কাঁচা মাল ব্যবসায়ী শফিকুল বার্তা ২৪.কমকে বলেন, করনেশন স্কুল মাঠে খোলা জায়গায় ক্রেতা যায় না। এছাড়া সেখানে রোদের কারণে তাদের মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।
বগুড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরুন চক্রবর্তী বার্তা ২৪.কমকে বলেন, কালিতলা বাজার স্থানান্তর করা না হলে জেলা প্রশাসন বাজার বন্ধ ঘোষণা করে দিবে। বাজার কমিটিকে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে।