প্রবাসীদের বিশেষ ফ্লাইট বন্ধ, বিমানবন্দরে বিক্ষোভ
প্রবাসীদের জন্য চালু হওয়া আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইটের প্রথমটিই বাতিল করায় হয়রানির কারণে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করছেন।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ চলমান রয়েছে।
করোনায় দেশে চলমান সর্বাত্মক বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল। তবে এ সময়ে প্রবাসীদের বিদেশের মাটিতে পৌঁছে দিতে পাঁচ দেশে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রবাসীদের জন্য চালু হওয়া এ বিশেষ ফ্লাইটের প্রথমটিই বাতিল করা হয়েছে। সৌদি আরবগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ এ ফ্লাইটটি শনিবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল।
তবে উড্ডয়নের কয়েক ঘণ্টা আগেই ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়। যাত্রীরাও ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর তাদেরকে ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। এমন হয়রানির কারণে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করছেন।
ফ্লাইটের মোট যাত্রী ছিলেন ৩১৪ জন। তাদের সবাই সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিক।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বিমানের ফ্লাইটটি (বিজি-৫০৩৯) সৌদি আরবের রিয়াদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। ফ্লাইটের যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার সনদ নিয়ে ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে রাতে যাত্রীরা বিমানবন্দরে এলে ২টার দিকে তাদের জানানো হয়, ফ্লাইটটি করা বাতিল হয়েছে।
এরপর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন যাত্রীরা। তারা বিমানবন্দর ছেড়ে কোনোভাবেই যেতে রাজি নন। বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে বিক্ষোভ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভের বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমান আমাদের জানিয়েছে, বিশেষ ফ্লাইটের জন্য বিমান যে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে, সেই সময়ে রিয়াদের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়নি। তাই তারা ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না।
বিমানবন্দরে যাত্রী সাকিব খান বলেন, ‘আমি লকডাউনের মধ্যে কয়েকটি চেকপোস্ট পার করে খুলনা থেকে ঢাকায় এসেছি। এখন বলে ফ্লাইট বাতিল। এই ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আমরা কোথায় যাব? আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। বাতিলের বিষয়ে অন্তত আমাদের আগে থেকে বলা হলে আমরা আশপাশে থাকার অন্য ব্যবস্থা করতাম।