এলপিজি খাতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর বিষয়ে কাজ চলছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলপিজি খাতের জন্য একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর বিষয়ে কাজ চলছে, একজন অপারেটর বিভিন্ন অনুমতির জন্য ২৮ প্রতিষ্ঠানের কাছে যাবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন নীতিমালার আওতায় একক রেগুলেটরি সিঙ্গেল পয়েন্ট সার্ভিস দিতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) এনার্জি এন্ড পাওয়ার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, জ্বালানি বিভাগের একটি কমিটি এলপিজি প্রাইসিং ফর্মুলা তৈরি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু ক্যাবের মামলার কারণে আদালত বিইআরসিকে দাম নির্ধারণের আদেশ দেওয়ায় তা থমকে গেছে। অবশ্য ক্যাবের মামলার সময় লোয়াব আদালতে গেলে রায় অন্যরকমও হতে পারতো।

সিনিয়র সচিব বলেন, বড় অপারেটরদের ছোট অপারেটরকে খেয়ে ফেলানোর একটি প্রবণতা আছে। তার কারণে স্টোরেজ ক্ষমতা ৩০০০ টনের বদলে ৫০০০ টন করা হয়েছে। তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিইআরসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দাম নির্ধারণের শুনানিকালে সকল পক্ষকে রাখা হলেও এলপিজির ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এটা জরুরি ছিল। কেননা মাঠ পর্যায়ে দাম কার্যকর করতে তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারপর দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি যে আদেশ জারি করেছে তা পালনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বিইআরসি সদস্য মকবুল ই এলাহী চৌধুরী বলেন, ভোক্তা এবং অপারেটর সকলের স্বার্থ বিচেনায় নিয়েই এলপিজির সর্বোচ্চ বিক্রি মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে মার্চের সিপি (সৌদি আরামকো কন্ট্রাক্ট প্রাইস) অনুসরণ করে। এলপিজির দাম, পরিবহন খরচ, অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার সকলের দাম, স্থানীয় পরিবহন খরচ সব বিবেচনা করেই দাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরের মাসগুলো থেকে কেবল সিপির সাথে দামের সমন্বয় করা হবে। লোয়াবের পক্ষ থেকে দাম রিভিউ করার জন্য যে আনুরোধ করা হয়েছে কমিশন তা অবশ্যই বিবেচনায় নেবে। তবে ব্যয়ের সকল খাত তারা হিসাবে নিয়েছেন, হয়তো লোয়াবের হিসাবের চেয়ে তারা তা কম ধররেছেন। তবে মনে রাখতে হবে দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব বিইআরসি হলেও তা বাস্তবায়ন সরকারের সংশ্লষ্ট বিভাগকে করতে হবে।

মকবুল এলাহী দাবি করেন, তারা এলপিজিকে নিম্নবিত্তের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য ২৫ শতাংশ ক্রস সাবসিডির পক্ষে ছিল বিইআরসি। কিন্তু ভোক্তা ক্যাব কিংবা লোয়াব কেউ এই উদ্যোগকে সমর্থন করেনি।

বসুন্ধরা এলপিজির হেড অব ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার জাকারিয়া জালাল বলেন, ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে ওঠা দেশের এলপিজি শিল্পের সাথে ৩০ লাখ মানুষ পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। কিন্তু ছোট বাজারে বিপুল অপারেটর থাকার কারণে সাবসিডি দিয়ে বাজার ধরা চেষ্টা অব্যাহত আছে। তাতে ২৫০০ টাকায় আমদানি করা কিংবা ১৮০০ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা প্রতিটি সিলিন্ডার বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। গ্যাসের বিক্রি দাম নির্ধারণ করাটি একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু বিইআরসির নির্ধারিত দামে কস্ট অব ফান্ড, ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর কমিশন, পরিবহন খরচ যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। ফলে নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে হলে অপারেটরা ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতা ও সরবরাহ সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ম তামিম বলেন, রেগুলেটর বাজারে একটি পণ্যের দাম নির্ধারণের ফর্মুলা করে দিতে পারে। সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তাও মনিটরিং করতে পারে। কিন্তু পণ্যের বিক্রিমূল্য নির্ধারণ করে দিলে তা হবে অপারেটরদের হাত-পা বেধে পানিতে ফেলে দেওয়ার শামিল। এটা বাজারে মানসম্মত পণ্য নিরাপদভাবে সরবরাহ করার পরিবেশ বিঘ্নিত করবে। বিষয়টি বিভিউ করা উচিত।

প্রফেসর ইজাজ হোসেন বলেন, অপারেটর নয়, বরং ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেলারদের দাম নিয়ে খেলার সুযোগ আছে। ফলে প্রতিমাসের দাম সমন্বয় করে তার ব্যবস্থাপনা খুব কঠিন হবে। ডিলারের কাছে আগের মাসের বেশি দামে পণ্য মজুদ থাকলে তা নিয়ে সংকট দেখা দেবে। বরং বিইআরসির উচিত এলপিজির জন্য প্রাইস ক্যাপিং করে দেওয়া। ভালো মানের পণ্যের জন্য প্রতি সিলন্ডারে ১০০ টাকা বেশি দিতে হলে ভোক্তা আপত্তি করবে বলে আমি মনে করি না।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও এনার্জিপ্যাকের সিইও হুমায়ুন রশীদ বলেন, মুক্তবাজারে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ অব্যাহত থাকা উচিত। যাতে অধিক লাভ বা মনোপলি না হয় তা অবশ্যই বিইআরসি দেখভাল করবে। দেখতে হবে দাম বেধে দিয়ে অপারেটরকে ব্যবসায় থাকতে বাধ্য করা হলে এই খাতের পুরো বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

   

আদাবরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবরের একটি বাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকার ৪৩/বি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম- নাসিমা আক্তার (২৮)।

স্থানীয়রা জানান, নিহত নাসিমা আক্তার পেশায় একজন গৃহকর্মী। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন এবং তার স্বামী পেশায় একজন রিকশা চালক। নিহত নাসিমার সাথে বিভিন্ন সময় তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার দুপুরে তার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বিকেলের দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

;

ফেনীতে তীব্র খরতাপে দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম পড়ছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফেনীতে তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের তুলনায় সবেচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের চালক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শহরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রচণ্ড গরমে কাজ করা যেমন মুশকিল হয়ে উঠেছে অন্যদিকে কমেছে আয়। রাস্তাঘাতে অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের আনাগোনা নেই।

বশির মিয়া নোয়াখালী থেকে ফেনীতে এসে দীর্ঘদিন মুচি পেশায় নিয়োজিত। শহরের রাজাঝির দিঘির পাড়ে রোদের মধ্যে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন তিনি। তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা তার। তিনি বলেন, গরমের মধ্যে রোদে বসে কাজ করা খুবই মুশকিল। এরমধ্যে গরমে মানুষের আনাগোনাও কম, ফলে আগের চাইতে আয় নেই বললেই চলে।

শহরের ট্রাংক রোড শহীদ মিনারের সামনে ফুটপাতে ব্যবসা করেন আব্দুল আজিজ। তীব্র গরমে বেচাবিক্রি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গামছা, মাস্ক, টুপি এসব বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। গরমে নিজেই অস্বস্তিতে থাকি আর বেচাবিক্রির জন্য কাস্টমার নেই বললেই চলে। ফুটপাতের ব্যবসা যেহেতু মানুষের আনাগোনা প্রয়োজন, এখানে মানুষ আসলেও গরমে দাঁড়াতে চায় না। যার যার গন্তব্য চলে যায়।

শাহেদুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, মানুষজন একবারে দরকারি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না বিধায় রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। যার কারণে আগে যা আয় হতো তা কমে গেছে অনেক। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আরও নাজেহাল অবস্থা হবে বলে জানায় তিনি।

চিকিৎসকরা বলছেন, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে শ্রমজীবীরা। এটি প্রতিরোধ করতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দিনের বেলা একটানা শারীরিক পরিশ্রম না করে বিরতি নিয়ে কাজ করতে। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, তীব্র গরমে দীর্ঘসময় কাজ করার কারণে মাত্রাতিরিক্ত ঘেমে মানুষের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এতে তাদের শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথে পৌরসভার বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে মেয়র ও ৭ জন কাউন্সিলরের দ্বন্দ্বের পর মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে নারী কাউন্সিলরকে চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এমন অভিযোগ এনে মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে দুই কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাসনা বেগম।

মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ মীরেরচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে মেয়র মুহিবুর রহমানের গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাসনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎস্যা দেন স্থানীয়রা।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া আরো ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এ ঘটনায়। অভিযুক্তরা হলেন- জানাইয়া গ্রামের আজেফর আলীর ছেলে জমির আলী (৪০), পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী (৪০), শরিষপুর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে আমির আলী (৪৫), দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী (৪০), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী (৪৪), রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে ও মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া (৪৫) এবং জানাইয়া গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ (৪৮)। এ ঘটনায় আরো ৪/৫ অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে কাউন্সিলর রাসনা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে পৌরসভার দুই প্যানেল মেয়রসহ ৭ জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। এরই জের ধরে ৭ জন কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মেয়র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খারাপ মন্তব্য করে আসছেন।

মঙ্গলবার ঘটনার সময় মেয়র ও কাউন্সিলর বারাম আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এতে বাধা দিলে মেয়র তার মাথার চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ও মারধর করেন। এছাড়াও মেয়রের নির্দেশে গাড়ির চালক তার গাড়ি দিয়ে কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

;

গাজায় যেন রোহিঙ্গা ইস্যু বিলীন না হয়: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিবুর রহমান বলেছেন, গাজাসহ বৈশ্বিক অন্যান্য ইস্যুর কারণে যেন রোহিঙ্গা ইস্যু বিলীন হয়ে না যায়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রতিনিধিগণের মধ্যে হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাডভাইজার কৃষ্ণান নাইর ও ব্রিটিশ হাই কমিশনারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুসাউইর আহমেদ ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে ছিলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ, হাসান সারওয়ার, এবিএম শফিকুল হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সৌজন্যে সাক্ষাতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এ ইস্যু নিয়ে যুক্তরাজ্য সব সময়ই বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে। তাদের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করার বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে অত্যন্ত আন্তরিক হয়ে তাদের জন্য ভাসানটেকে ৩ একর খাস জমিতে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু তাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাহ করা এখন একটা চ্যালেঞ্জিং ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রতিরোধে ৫৫ হাজার ভলান্টিয়ার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে এসব ভলান্টিয়াররা তাদের আশ্রয়স্থলগুলোতে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রায় ১০ মিলিয়ন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে থাকে।

এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আগের মতো সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গা ইস্যু স্পট লাইট হিসেবে কাজ করবে। রোহিঙ্গা ইস্যু যাতে হারিয়ে না যায়, এ জন্য এখানে বিশেষ ফোকাস বাড়াতে হবে। বিভিন্ন সভা, সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুলে ধরতে হবে।

পরে প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে বঙ্গবন্ধু স্মারক ক্রেস্ট উপহার দেন।

;