পাবলিক প্লেস ধূমপান রোধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর হস্তেক্ষেপ দাবি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পাবলিক প্লেস ধূমপান রোধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর হস্তেক্ষেপ দাবি

পাবলিক প্লেস ধূমপান রোধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর হস্তেক্ষেপ দাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে কেউ ধূমপান করলে পুলিশ যেন জরিমানা করতে পারে এবং পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর হস্তেক্ষেপে ও সরকারের নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্তই পারে বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস অব সোসাইটি-ডাস আয়োজিত গণপরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পুলিশের ভূমিকা শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তরা একথা বলেন।

ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস অব সোসাইটি’র তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উপদেষ্টা মো. আমিনুল ইসলাম বকুলের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু। এছাড়া আলোচক হিসিবে যুক্ত ছিলেন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, উবিনিগের ফরিদা আক্তার, সুপ্র’র মঞ্জু রাণী প্রামাণিক, এইড ফাউন্ডেশনের সাগুফতা সুলতানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সৈয়দা অনন্যা রহমান, মাদক বিরোধী সংগঠন প্রত্যাশা’র হেলাল আহমেদ, ব্যারিস্টার নিশাত রহমান, এ্যাড. মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডাস্’র সিনিয়র প্রোগাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু।

শামসুল হক টুকু বলেন, পরিবহন সেক্টরে ধূমপায়ীদের বিরত এটা অত্যান্ত একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৭ কোটি মানুষের ১৭ কোটি চিন্তাভাবনাকে একত্রিত করে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তামক নিয়ন্ত্রণে শুধু আইন প্রয়োগ বা শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব এদেশের ১৬ কোটি মানুষের যারা বিভিন্ন ভাবে প্রতিনিধিত্ব করেন তাদেরও। জনিপ্রতিনিধিদেরও দায়িত্ব থাকতে হবে। ধূমপান একটি ক্ষতিকর বিষয় জীবনহানিকর বিষয় এটা সবাইকে বোঝাতে হবে। তরুন সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে। মাদকমুক্ত ধূমপান মুক্তি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে প্রথমেই আমাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তটি হওয়া দরকার। শুধু সরকারের সিদ্ধান্ত না, শুধু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে তার সিদ্ধান্ত নয় বাংলাদেশে যেসমস্ত সেবামূলক সংগঠণ, রাজনৈতিক সংগঠণ কাজ করে প্রত্যেকের দায়িত্ব যুব সমাজ ও পরিবেশ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা।

তিনি বলেন, আইন আছে, আইন প্রয়োগে পুলিশ যদি দায়িত্ব পায়, আর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যদি সার্বজনিন থাকে তাহলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ করা আরো সহজ হবে। গণপরিবহন ও পাবলিক প্লেসে ধূমপায়ীদের বিরত রাখা এটাও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে করতে হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণি পেশার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অর্থাৎ যারা সাবালকত্ব পেরিয়ে দায়িত্ব পালন করছি আমাদের সকলের সুনাগরিক হিসেব গড়ে উঠতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষে সঠিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে আইন বাস্তবায়ন করে ধূমপান মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। এজন্য পারিবারিক সচেতনতাও গড়ে তুলতে হবে।  

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এরমধ্যে দূরততম সময়ের মধ্যে বিড়ি কারখানার শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মালিকদের অন্য শিল্প কারখানার করার প্রণোদনা দিয়ে এই জায়গা থেকে বের করে আনতে হবে। পাশাপাশি বাজেটে শুল্ক বৃদ্ধি  করে বিড়ি সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে তামকমুক্ত বাংলাদেশ হবে। আমরা যদি একটু একটু করে ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে জনসচেতনামূলক কর্মকাণ্ড অব্যহত রাখি তাহলে দূরততম সময়ের মধ্যে শূণ্যের কোটায় আনতে সক্ষম হবো। আইন আছে, আইন থাকব আইন সংশোধন করারও সুযোগ থাকবে। সবচেয়ে বেশি দরকার জনসচেতনতা। প্রতিটি পেশার মানুষ এবং সকল রাজনতিক দলকে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কথাটি অঙ্গীকারের মধ্যে আনতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, পরিবহন সেক্টরের মালিকদের আরো সতর্ক হতে হবে বিশেষ করে ড্রাইভার নিয়োগের সময় ধূমপান মুক্ত কি না যাচাই করে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবো কিন্তু তরুন সমাজকে মাদক থেকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে রক্তের বিনিময়ে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর  স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বেশিদূর এগিয়ে ‍নিয়ে যেতে পারব না।

সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, তামাক মানুষের জীবণে ক্ষতিকর এটা নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নাই। যারা ধূমপান করে তারাও এই ধূমপান বা তামাক থেকে বের হয়ে আসতে চায়। প্রধানমন্ত্রী একটা টার্গেট দিয়েছেন ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করবেন। সেই প্রক্রিয়ায় প্রতি বাজাটে তামাকের দাম বৃদ্ধি করে আস্তে আস্তে মানুষকে নিরুসাহিত করে চূড়ান্ত ধাপে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গণপরিবহনে বিশেষ করে বিমানে তো কোন প্রকার ধূমপানের সুযোগ এখন নাই। গণপরিবহনেও যেগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেগুলোয় এখন আর ধূমপানের কোন সুযোগ নাই। রেলওয়ে আর যেগুলো লোকাল বাস বা ননএসি বাস গুলোতে এখনো ধূমপান বা সিগারেট পান হয়। তারপরেও গণপরিবহনগুলোতে আস্তে আস্তে অন্যদের ডিস্ট্রাবের কারণে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তবে গণপরিবহনে ধূমপানে জরিমানা দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশকে দিলে বা পুলিশকে সম্পৃক্ত করতে পারলে প্রতিটি গাড়ীকে একটা জায়গায় চেক করলেন যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বললেন কিছু কথা বললেন গাড়ী ছাড়ার আগে একবার বলে দেন তাহলে পুরো পথটাই যারা ধূমপান করে না তারাও প্রতিবাদ করতে সামর্থ হবে। সামাজিক প্রতিরোধ করতে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে যাব। হঠাৎ করে কোন কিছু করলে একটা ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে ধীরে ধীরে তামকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করছে সরকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি বছর বিশ্বে ৬ কোটি মানুষ ধূমপানজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে যার মধ্যে ৬ লাখ পরোক্ষ ধূমপানজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশে তামক সেবন জনিত কারণে বছরে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫৩ জন মানুষ মারা যায়। তারমধ্যে ৪৪ শতাংশ পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানে আক্রান্ত হয়। আর পঙ্গুত্ব বরণ করে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে।

তামক খাত থেকে বছরে ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। পক্ষান্তরে তামকজনিক রোগের কারণে বছরে চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার মতো প্রায় চিকিৎসা খাতে বেশি ব্যয় হয়। সেক্ষেত্রে দেখা যায় এটা কখনো কোন লাভজনক কিছু হতে পারে না।

   

বৃষ্টির জন্য হাহাকার, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারাদেশের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে চরম বিপর্যয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ, শিশুসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। ডায়রিয়াসহ গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকেই। এতে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।

এর মধ্যেই তীব্র গরমে পাবনা, বরগুনা, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, জামালপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হিট স্ট্রোকে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

চলমান তাপদাহ থেকে মুক্তির জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। সিলেট বাদে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ আর গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য সারাদেশে চলছে হাহাকার। এর মধ্যেই খোলা মাঠে রোদ আর প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদার করছেন মুসল্লিরা।


ফেনী:

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে ফেনীতে বৃষ্টি কামনায় সালাতুল ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ পড়ে মোনাজাতে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর নিকট বৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে এ নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত মুসল্লি অংশ নেন। নামাজে আগত মুসল্লিরা বলেন, তীব্র খরতাপে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সেজন্য আল্লাহর রহমতের আশায় নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে সকলে সমবেত হয়েছেন।


কুষ্টিয়া:

বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন কুষ্টিয়ার মুসল্লিরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ খেলার মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। বিশেষ দোয়াতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য আহাজারি করেন মুসল্লিরা। এতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোংলায় তীব্র দাবদাহের সঙ্গে অসহনীয় রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মোংলার জনজীবন। তীব্র এ গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদ গাহ মাঠে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্ম প্রাণ মুসলিমরা। মোংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এবং পৌর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এ নামাজে সব শ্রেণি-পেশার অন্তত দুই হাজার মুসল্লি অংশ নেন।


নীলফামারী:

নীলফামারীতে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। বিশেষ এ নামাজে এলাকাবাসীসহ অনেক মুসল্লি অংশ নেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই নামাজের আয়োজন করে আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ।

এ নামাজে ইমামতি করেন নীলফামারী মুন্সিপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আব্দুস সামাদ। সেখানে দুই রাকাত নামাজ শেষে নীলফামারীসহ সারাদেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। মোনাজাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।

ঢাকা:

তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি চেয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকার আফতাবনগরে বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দুই রাকাত নামাজ শেষে একটু বৃষ্টির জন্য হাত তোলেন মুসল্লিরা।

;

বিসিএস পরীক্ষা উপলক্ষে আরএমপি’র নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন কর্তৃক আয়োজিত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট পরীক্ষা রাজশাহী মহানগরীর ২৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আরএমপির এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

আদেশে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের চতুর্দিকে ২০০ (দুই শত) গজের মধ্যে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, বিক্ষোভ প্রদর্শন, মাইকিং, বিস্ফোরকদ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হলো- রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, বরেন্দ্র কলেজ, শাহ্ মখদুম কলেজ, শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ, অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কলেজ, শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান সরকারী ডিগ্রী কলেজ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কোর্ট কলেজ, মাদার বখশ্ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ক্যান্টমেন্ট বোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ, হাজী জমির উদ্দিন শাফিনা মহিলা কলেজ, কলেজিয়েট স্কুল, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী প্রমথনাথ (পি.এন) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গভ: ল্যাবরেটরী হাইস্কুল, শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ মিশন একাডেমী, লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কোর্ট একাডেমী এবং নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়।

;

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তিন বছরের জন্য তাকে নিয়োগের বিষয়ে জানানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিন বছরের জন্য এই নিয়োগ দেয়া হলো।’

বর্তমান চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ। তিনি ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম দফায় দুই বছরের জন্য সিডিএ চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর আবারও তার নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানো হলে তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এর আগে ছয় দফায় টানা ১০ বছর সিডিএ চেয়ারম্যান ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। যিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য।

;

সমন্বিত প্রচেষ্টায় শব্দদূষণ হ্রাসে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমন্বিত প্রচেষ্টায় শব্দদূষণ হ্রাসে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। উচ্চমাত্রার শব্দদূষণে কানে কম শোনা থেকে শুরু করে স্থায়ীভাবে বধির হচ্ছে মানুষ।

এই ক্ষতির প্রভাব পাখির প্রজননের ওপরও পড়ছে। শব্দের উৎস চিহ্নিত করে শব্দদূষণ হ্রাসে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক সভা থেকে শুরু করে বিয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পিকনিক সব ক্ষেত্রে এর কান ফাটানো শব্দ চলে। তবে আইনে শর্ত সাপেক্ষে এর অনুমতিও রয়েছে। তবে তার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত শব্দদূষণের মাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবল। সেই লক্ষ্যে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শব্দদূষণের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় শব্দদূষণ সহনীয় পর্যায় নেমে আসবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মুহা. আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন) মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুব্রত ঘোষ, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ।

এর আগে, পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ‘প্রটেক্ট ইয়োর ইয়ার, প্রটেক্ট ইয়োর হেলথ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। পরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় বক্তারা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবার সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, আমাদের সঠিক অনুধাবনের অভাবে দিন দিন পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অনেক পরিবেশবাদী বাংলাদেশের শব্দদূষণের বর্তমান পর্যায়কে ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ নামে অভিহিত করেছেন।

শব্দদূষণের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন, রাজশাহী পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীন। তিনি জানান, রাজশাহী পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মোট ১৭টি অভিযান পরিচালনা করে ৪২ জন গাড়িচালককে ৩৩ হাজার ৯শ টাকা জরিমানা এবং ৮০টি হাইড্রোলিক হর্ন ধ্বংস করা হয়েছে।

এছাড়াও শব্দদূষণ রোধে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ২শ শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজের ১শ ৮০ জন শিক্ষার্থী এবং ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ১শ ১ জন ইমামদের নিয়ে শব্দদূষণ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।

এছাড়াও টিটিসিতে প্রায় ১শ ৬০ জন মোটর পরিবহন শ্রমিকদের ও ৫৫ জন সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে।

 

;