গুলশান শপিং সেন্টারে অভিযান, মাস্ক না পরায় দোকান বন্ধ করে দিলেন মেয়র



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গুলশান শপিং সেন্টারে অভিযান

গুলশান শপিং সেন্টারে অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গুলশান-১ এর গুলশান শপিং সেন্টারে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মোবাইল কোর্ট। অভিযানকালে কয়েকটি দোকানে মাস্ক ছাড়া ক্রেতা থাকায় ওই দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেন মেয়র।

এরপর আজ বুধবার(৫ মে) মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দোকান বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করে গুলশান শপিং সেন্টারে এমএম ট্রেডিং সেন্টার, গুলশান হার্ডওয়্যারসহ তিনটি দোকান বন্ধ করে দেন।

এরপর মেয়র বলেন, আপনারা আমাকে দেখে না, নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে মাস্ক পরুন। মাস্ক না পরলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসময় যাদের মুখে মাস্ক ছিল তাদেরকে মাস্ক উপহার দেন তিনি। 

মাস্ক উপহার দিচ্ছেন মেয়র

অভিযানে মেয়রের সঙ্গে ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহা:আমিরুল ইসলামসহ ডিএনসিসি কর্মকর্তাগণ।

   

পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও অটোরিকশাচালিত সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব ১০)।

রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকা হতে ৩ জন এবং যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম.জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এম.জে.সোহেল বলেন, সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১০’র একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৩ জন জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- মোঃ নাসির সরদার (৩৩), অয়ন দাস (২০), মোঃ নজরুল ইসলাম (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ সজিব (২৮), মোঃ ইকবাল হোসেন (৩২), দিলদার (৪০), মোঃ রাজন (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৬ হাজার ৭৩০ টাকা এবং ২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানিকৃত আলু



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানিকৃত আলু

তীব্র গরমে বেনাপোল বন্দরে পঁচছে আমদানিকৃত আলু

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দরে তীব্র গরমে ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু ট্রাকে পঁচতে শুরু করেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। তবে আমদানিকৃত আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ৬ দিন লেগে যায়। এতে তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচে রস পড়তে দেখা যায়।

আলুর আমদানি কারক বাংলাদেশে ইন্টিগেটেড ফুডস এন্ড বেভারেজ। ৩২ ট্রাক আলুর চালানটি যাবে রংপুরে।

এদিকে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়লেও বাজারে দিন দিন বাড়ছে দাম। গতবছর এ সময়ে যে আলু ২২ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হয়েছে এখন তার মূল্য ৫০ টাকা দাড়িয়েছে। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে আলু আমদানি বাড়লেও কোন সুবিধা পাচ্ছেনা অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের। এদিকে প্রচন্ড গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচতে শুরু করেছে। তবে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তারা বলছেন দ্রুত যাতে পণ্য চালানটি খালাস হয় তার সহযোগীতা করছেন তারা।

জানা যায়, দেশে প্রতিবছর আলুর চাহিদা ১ কোটি মেট্রিক টনের মত। আর চাহিদার বিপরীতে সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান মতে দেশে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১২ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হলেও মজুদ করতে ব্যবসায়ীরা সারা বছর কমবেশি আলু আমদানি করে থাকে। বৈশ্বিক মন্দায় গেল বছর যখন দেশে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ে তখন পাল্লা দিয়ে আলুর দাম বেড়ে দাড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা। এতে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বাড়াতে গতবছরের ৩০ অক্টোবর নানান শর্ত দিয়ে বেসসরকারি ভাবে আলু আমদানির অনুমতি দেয়।

পরবর্তীতে ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আলু আমদানি। বেনাপোল সহ দেশে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাড়ছে আলুর আমদানি। তবে ভরা মৌসুম ও আমদানি বাড়লেও তার সুফল পাচ্ছেনা ক্রেতারা। ব্যবসায়ী সিন্ডকেট দিন দিন বাড়াচ্ছে আলুর দাম। এতে ক্ষোভ সাধারণ ক্রেতাদের। এদিকে ২০০ কিলোমিটার দূর থেকে আলু আমদানি আর আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ ৬ দিন লেগে যাওয়ায় বেনাপোল বন্দরে ট্রাকে আলু পঁচতে দেখা যায়।

আলুবাহী ট্রাক চালকেরা জানান, তারা ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুর নিয়ে যাবেন। কিন্তু গরমে বন্দরেই আলু ট্রাকে পঁচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে আরও নষ্ট হবে।

বেনাপোল বাজারের আলু বিক্রেতা সাইদুর রহমান জানান, বাজারে আলুর সরবরাহ কম থাকায় দাম কমছেনা। বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু।

সাধারণ আলু ক্রেতারা জানান, ভারত থেকে আলু আমদানি হলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে দাম কমছেনা। বাজারে কারো কোন তদারকি নেই।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্তু কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলু মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

;

হাতীবান্ধায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, প্রখর রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর থেকে মুক্তি পেতে ও বৃষ্টির আশায় হাতীবান্ধা উপজেলা বড়খাতায় বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিখারা) আদায় করেছেন এলাকাবাসী। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ব্যবসায়ীদের আয়োজনে উপজেলার বড়খাতা হাই স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ বিশেষ নামাজে বিভিন্ন এলাকার মুসল্লীগণ অংশগ্রহণ করেন। 

এ বিশেষ নামাজ আদায় শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ কারী মাওলানা মুফতি নাজমুল হুদা সাদী,খতিব নুরানি জামে মসজিদ, বড়খাতা।

নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লী আহসান হাবিব লাভলু বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় মরতে শুরু করেছে কৃষকের বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত, আল্লাহ যেন বৃষ্টি দেন তাই নামাজ পড়েছি।

নূরানি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ কারী মাওলানা মুফতি নাজমুল হুদাসাদী বার্তা ২৪. কমকে বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে কষ্টে আছে গাছপালাসহ প্রাণীকূল। সে কারণে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছি।

;

আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে এম ভি আবদুল্লাহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পণ্যবাহী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে।

সোমবার রাত ১০টার দিকে আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি নোঙর করে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এ খবর জানায়।

জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একটি দল নাবিকদের বরণ করে নেন। এর আগে রোববার জাহাজটি বহির্নোঙরের ‘বি অ্যাংকরেজ’ এলাকায় নোঙর করে।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়।

তিনি জানান, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হবে। দুইজন নাবিক ফ্লাইটে দেশে আসবেন। বাকি ২১ জন ওই জাহাজেই দেশে ফিরবেন।

জাহাজটিতে বোঝাই করা পণ্যসামগ্রী (কয়লা) পর্যবেক্ষণ করে ক্যাপ্টেন বলেছেন, এতে অ্যালার্মিং কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ জন নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ছিনতাই করে। এসময় জাহাজটি দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছিল।

১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যান। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাইপ্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।

 

;