নানিয়ারচর থানার ওসি‘র বছর পূর্তিতে বদলে গেছে সেবার মান



নানিয়ারচর উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙ্গামাটি
নানিয়ারচর থানার ওসি‘র বছর পূর্তিতে বদলে গেছে থানার সেবার মান

নানিয়ারচর থানার ওসি‘র বছর পূর্তিতে বদলে গেছে থানার সেবার মান

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের দর্শন এবং মূলনীতি হলো অপরাধ দমন এবং অনিয়মকে প্রতিহত করা। এই দর্শন এবং মূলনীতিকে কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের জন্য নিরাপদ ও স্বাভাবিক রাষ্ট্র গঠন করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাশা করে পুলিশ হবে জনমুখী। সেই প্রত্যাশা পূরণে রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাব্বির রহমান থানায় যোগদানের এক বছরের মধ্যে নিজের সততা, মেধা, বিচক্ষণতা কর্মদক্ষতা ও মানবিকতার মাধ্যমে নানিয়ারচর উপজেলার সাধারণ মানুষের মন জয় ও পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন।

জানা যায়, নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে মোঃ সাব্বির রহমান গত ৭ মে ২০২০ খ্রিঃ তারিখে থানায় যোগদানের পরপরই তার কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগে পাল্টে যায় নানিয়ারচর উপজেলার দৃষ্টিপট। তিনি প্রকাশ্যে উপজেলা মাসিক সভা ঘোষণা দিয়েই থানাকে সর্বপ্রথম ঘুষ ও দালাল মুক্ত, সাধারণ মানুষের জন্য পুলিশি সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। করোনাকালীন সময়ে থানায় সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষ যেন কোন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখেন। পুলিশি সেবা কে জনবান্ধব, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে নানিয়ারচর থানায় ‘কুইক রেসপন্স এন্ড বেস্ট প্র্যাকটিস’ নামে ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশি সেবা চালু করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী, পর্যটক, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশুদের দ্রুততার সাথে আইনি সেবা দেওয়ার জন্য থানায় খোলা হয়েছে আলাদা আলাদা হেল্প ডেস্ক। যার সুফলও পাচ্ছেন সেবা প্রত্যাশী মানুষ। এখন ওসির সততা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নানিয়ারচর থানায় জিডি কিংবা মামলা করতে,পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবা পেতে কোন টাকা লাগে না। সেবা প্রত্যাশী পাহাড়ি ও বাঙ্গালী মানুষ এখন পুলিশের কাছে আসতে ভয় পায় না।

নানিয়ারচর থানার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে মোট মামলা হয়েছে ১৯টি এবং চলতি বছর এ পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২টি, মামলা নিষ্পত্তি করে কোর্টে প্রেরণ হয়েছে ২০টি। মামলা নিষ্পত্তির মধ্যে অন্যতম ২০১৮ সালে করা নানিয়ারচর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর সভাপতি বর্মা হত্যা সহ ৫ হত্যা মামলা। বর্তমানে ১টি মামলা তদন্তধীন রয়েছে। গত ৫ বছরের তুলনায় চলতি বছরে থানায় মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

নানিয়ারচর থানার ওসি মোঃ সাব্বির রহমান জানান, সুন্দর আচারণ ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আইনগত সেবা প্রদানে নানিয়ারচর থানা বদ্ধপরিকর। মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক সহ অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে।

করোনাকালীন সময়ে গত এক বছরে তিনি মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের দমন, বিপুল পরিমাণ ফরমালিনযুক্ত আনারস ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস, চোরাই গরু উদ্ধার, সবজি বাগান প্রকল্প, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী কাজের মাধ্যমে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছেন।

তার নেতৃত্বে কোভিড-১৯ যুদ্ধে নানিয়ারচর উপজেলার মতো একটি দুর্গম ও আঞ্চলিক সন্ত্রাসী কবলিত বিভিন্ন এলাকায় থানার পক্ষ হতে প্রতিদিন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ কাঁচাবাজার, ওষুধ ও নিত্যপণ্যের দোকানে বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের হাসপাতালে পাঠানো, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীদের বাসায় ওষুধ ও নিত্যপণ্য পৌঁছানো, আবাসস্থল সংলগ্ন এলাকা লকডাউন ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশন ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির ধর্মীয় বিধি মেনে সৎকার নিশ্চিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব সাথে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নানিয়ারচর থানার পুলিশ কাজ করছে।

নানিয়ারচর থানার ওসি সাব্বির রহমানের উদ্যোগে প্রশাসনের সহায়তায় সারাদেশে ফরমালিনমুক্ত আনারস বাজারজাতকরণ, সরকারি নিষিদ্ধ সময়ে মৎস্য নিধন বন্ধ ও করোনা রোগীদের আইসোলেশন ও হোম কোয়ারেন্টাইন পাশাপাশি লকডাউনে কঠোরতা প্রয়োগের মাধ্যমে নানিয়ারচর উপজেলাকে করোনা মুক্ত অঞ্চলে পরিণত করেন।

তার যোগদানের পর বাঙ্গালী-পাহাড়ি শান্তিকামী মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা ফিরে এসেছে।

পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ওসি মোঃ সাব্বির রহমান বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরো জোরদার করে নানিয়ারচর জোনের সেনাবাহিনীর সার্বিক সহায়তায় নানিয়ারচর উপজেলার মতো সন্ত্রাস কবলিত একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থাকা সত্ত্বেও আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে অনেকটা সফল হয়েছেন।

এলাকার দীর্ঘ দিনের ভূমি বিরোধ মীমাংসা সহ এলাকার বহু পুরাতন বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, জুলুমবাজ, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু , মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মানুষের মুখে শোনা যায় তার প্রশংসার কথা।

নানিয়ারচর উপজেলার সাধারণ নাগরিকরা বলেন দেশের প্রতিটি থানার ওসি যদি নানিয়ারচর থানার ওসি সাব্বির রহমানের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তাহলে মাদক, চোরাচালান, ঘুষ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত এই দেশ হতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি কাজ করে যাচ্ছে দায়িত্ববোধের সাথে, যা মানুষকে ভালোবাসার এক অন্যরকম বহিঃপ্রকাশ। এজন্য তিনি ‘সাদা মনের’ পুলিশ হিসেবে ইতোমধ্যে নানিয়ারচর উপজেলার সবার কাছে পেয়েছে গ্রহণযোগ্যতা।

 

   

সেই অঙ্কিতা পেলো নতুন বই-জামা-টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসার ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে বসে কেঁদেই চলেছিল অঙ্কিতা দাশ। হাতে আধ পোড়া বই-কোনোটি অর্থনীতি, কোনোটি আবার ব্যবস্থাপনা। আর কদিন পরেই তার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু। তার আগে আগুনে সব বই হারিয়ে চোখে যেন শর্ষে ফুল দেখছিল ১৭ বছরের মেয়েটি। তাই তো তার চোখে এত কান্না, এত জল।

অঙ্কিতার সেই কান্নার ছবি আর দুঃখের গল্প তুলে ধরেছিল বার্তা২৪.কম। সেই প্রতিবেদন ছড়িয়ে পড়ার পর অঙ্কিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। কেউ দিয়েছেন নতুন বই, কেউবা নতুন জামা। আবার কেউ দিয়েছেন পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য টাকাও।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের টেক পাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এ সময় তিনি অঙ্কিতার হাতে পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। এর আগে তাকে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সবগুলো বই কিনে দিয়েছেন কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেব। আগুনের খবরে এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল অঙ্কিতা। সেজন্য তাকে কেউ কেউ কিনে দিয়েছেন নতুন জামাও।

নতুন বই ও ফরম পূরণের টাকা পেয়ে খুশিতে কেঁদে দেয় অঙ্কিতা দাশ। তিনি বলেন, ‘এত অল্প সময়ে আমার বই ও ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় হয়ে যাবে কল্পনাতেও ভাবিনি। আগুন লাগার পর আমার পরিবার নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর আমার পরিবারের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ সহযোগিতা ও আন্তরিকতা কখনোই ভুলবার নয়। আমি এবং আমার পরিবার সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

;

সড়কে কমছেই না মৃত্যুর মিছিল: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়কে কমছেই না মৃত্যুর মিছিল। গত সাত দিনে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১২২ জন নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৯৫ জন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফরিদপুরের কানাইপুরে ও ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। শোকবার্তায় তিনি সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমাগত বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এই কথা বলেন।

এসময়ন তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় তিনি আরও বলেছেন, প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ যাচ্ছে, কোন প্রতিকার নেই। সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেনো স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার সংবাদ মেনে নেয়া যায় না। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপণায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। 

 

;

সমৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায়: পিটার হাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও সুযোগ সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর এক হোটেলে ইউএসএআইডি এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডমের অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফলাফল জানাতে সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সেখানে পিটার হাস তার বক্তব্যে জানান, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য। প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করছে। কিন্তু মূল সমস্যাগুলো এড়িয়ে না গিয়ে, সক্রিয়ভাবে স্বীকার করে তা মোকাবিলা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২২ বছর ধরে প্রায় সবগুলো সূচকে অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের। এ বছর ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১ তম।

সমৃদ্ধি সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯ তম, যা মধ্যম আয়ের দেশ ও সরকারের রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে বিরাট বাঁধা।

সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিঙ্ক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে, যা একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।

;

ঈদ-বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের ছুটিতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছিল কক্সবাজারে। ছুটি শেষ হলেও শেষ হয়নি পর্যটক সমাগম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতগুলো এখনও পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত।

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে কি পরিমাণ পর্যটক এসেছিল এবং এর ফলে কি পরিমাণ ব্যবসা হয়েছে তার কোনো সুনির্দিষ্ট হিসেব নেই কারও কাছে। তবে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বলছে টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আনুমানিক ৩ লক্ষ পর্যটক সমাগম হয়েছে। যেখানে পরিবহন থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল রেস্তোরাঁসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

তবে ভিন্ন কথা বলছে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি। টানা ৫ দিন ছুটি থাকলেও ঈদের পরদিন থেকে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত আড়াই লাখ থেকে ৩ লাখ পর্যটক এসেছেন। তখন পর্যটন খাতে দেড়শো থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মুর্শেদ চৌধুরী খোকা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদুল ফিতরের সাঙ্গে বৈশাখের ছুটি যুক্ত হয়ে একাকার হওয়ায় এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হয়েছে কক্সবাজারে। যদিও কোনো সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কি পরিমাণ পর্যটক এলো এবং এর ফলে কেমন ব্যবসা হলো এর কোনো হিসেব রাখেনি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে জানতে পারলাম ৩ লক্ষাধিক পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে। এরমধ্যে অনেকেই দিনে এসে দিনে চলে গেছেন আবার অনেকেই রাত্রিযাপন করেছেন। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে ঝিনুকশামুক ব্যবসা থেকে সব সেক্টর মিলিয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে পর্যটকের ঢল শুরু হয়েছে যা এখনো কমেনি। আমরা সবাই ভালো ব্যবসা করতে পেরেছি। আমাদের নির্দেশনা ছিল বেশি দাম নিয়ে বা কোনোভাবে পর্যটকদের হয়রানি করা যাবে না। টানা ছুটিতে ঈদের পরদিন থেকে আড়াই-৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। এসময় পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে দেড় থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এই দুই ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, কক্সবাজারে এবার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই লাখ লাখ পর্যটক নিরাপদে ভ্রমণ করতে পেরেছেন। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।

বর্ষা মৌসুমের আগে পর্যন্ত এরকম পর্যটক সমাগম থাকলে ভালো ব্যবসার সুবাতাস বইবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

;