শার্শার সাতমাইল পশুর হাট করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে
ঈদকে সামনে রেখে করোনার এ মহামারির সময় স্বাস্থ্যবিধির কোন বালায় নেই দেশের সবচেয়ে বড় পশুর হাট যশোরের শার্শার সাতমাইলে। একে অপরের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি দিন দিন বাড়লেও নজরদারি নেই প্রশাসনের।
শনিবার (০৮ মে) বিকালে সাতমাইল পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরু ব্যবসায়ী আর ক্রেতাদের এমন উপস্থিতি তিল ধারণের ঠাঁই নেই। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে ট্রাকে তুলছেন। অধিকাংশ লোকের মুখে নেই মাস্ক। কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা নামানো থুঁতনিতে। সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে পশু কেনাবেচা চলছে।
বাগআঁচড়া বাজার কমিটি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখায়েত হোসেন বলেন, বাগআঁচড়া সাধারণ হাট এবং সাতমাইল পশুর হাটে ব্যাপক লোক সমাগম হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নাই। পশুর হাট ও বাজার এলাকায় কেউ মাস্কও ব্যবহার করছে না। হাট কর্তৃপক্ষ জীবাণুনাশক স্প্রে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছে না ক্রেতা-বিক্রেতাদেরকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পশুর হাটে লোক আসছে। তাদের কারণে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে। এ এলাকায় ইতিমধ্যে নতুন করে ৫-৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ভারত থেকে চোরাই পথে গরুও আসছে হাটে । যত দ্রুত সম্ভব পশুর হাটে থাকা মানুষ যেন বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মানে তার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ আমার লক্ষ্যে করছি না।
গরুর হাটের ইজারাদার খতিব ধাবক জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হাটে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কেউ তা ব্যবহার করছেন না। আর ঈদের কারণে একটু ভিড় বেশি হচ্ছে। তবে সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানে তার জন্য জোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জানান, ভারত ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন কার্যক্রম নিয়ে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুর হাট চালাতে ইজারাদারকে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা যদি সরকারি নির্দেশনা না মানে তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।