ঘরমুখো যাত্রী নিয়ন্ত্রণে ফেরিঘাটে বিজিবি মোতায়েন
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। লকডাউনের মধ্যে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিনের বেলায় শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের কথা থাকলেও এর সঙ্গে নৌরুট পারাপার হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীরাও।
বেসামাল এসব যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম অবস্থায় ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা না করেই অনায়াসে নৌরুট পারাপার হচ্ছে এসব যাত্রীরা। এতে করে করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি বাড়ছে মারাত্মকভাবে। যে কারণে এসব ঘরমুখো যাত্রীদের অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে মানিকগঞ্জের তিনটি পয়েন্টে কাজ করবে বিজিবি'র পৃথক তিনটি টিম।
শনিবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকাল থেকে মানিকগঞ্জের প্রবেশ পথ সিংগাইর উপজেলার ধল্ল্যা ব্রিজ এবং সাটুরিয়া উপজেলার বারবারিয়া ব্রিজ ও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিজিবিও কাজ করবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় দুইটি ফেরি রাখা হয়। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো পারাপারে ওই ফেরিগুলো দিনের বেলায় চলাচল করে। তবে ফেরিঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড চাপ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স পারাপার ব্যাহত হয়।
জোর করেই ফেরিতে উঠে যায় সাধারণ যাত্রীরা। এজন্য ঘাটের আগেই ঘরমুখো এসব যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা হলে ফেরিঘাট এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি এসএম ফেরদৌস আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি এবং লকডাউনের বিষয়টি কার্যকর করতে সহায়তা করবে বিজিবি। তবে অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইরে চলাচলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটেও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবির পরিচালক (অপারেশনস) লেফটন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, আজ বিকেল থেকে মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে।