ঠাকুরগাঁওয়ে চালু হচ্ছে বন্ধ রেশম কারখানা



ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ব্যক্তি উদ্যোগে চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা

ব্যক্তি উদ্যোগে চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা

  • Font increase
  • Font Decrease

লোকসানের কথা বলে দীর্ঘ ১৮ বছর বন্ধ থাকার পর আবার চালু হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা। জেলা প্রশাসন, রেশম বোর্ড, আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় কারখানাটি বেসরকারিভাবে চালুর বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, মাহাবুবুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান, রেশম বোর্ডের সহকারী পরিচালক সুলতান আলী প্রমুখ।

সভায় জেলা প্রশাসক সরকারি ব্যবস্থাপনায় কারখানাটি চালুর প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে ব্যক্তি উদ্যোগে চালুর প্রস্তাব দেন। পরে রেশম বোর্ডের মহাপরিচালক মু. আবদুল হাকিম মুঠোফোনে বক্তব্য দেন। সে সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি চালুর জন্য মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু বোর্ডের জনবল সংকট আছে। তাই বোর্ডের পক্ষে এখন কারখানাটি চালু করা সম্ভব নয়। এ জন্য কারখানাটি মাসিক বা বার্ষিক ফি নিয়ে প্রাইভেট সেক্টরে চালানোর সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। সভায় এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান, মো. মনিরুজ্জামান, মামুনুর রশিদ ও আবদুর রাজ্জাক কারখানাটি তাদের উদ্যোগে পরিচালনার আগ্রহ দেখান।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্থানীয় লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তি উদ্যোগে রেশম কারখানাটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ি এই কারখানাটি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে লকডাউনের কারণে সেভাবে যোগাযোগ করতে পারছি না। তবে লকডাউন এর পরেই রেশম কারখানা চালুর একটি সুখবর দিতে পারবো।

আর রেশম বোর্ডের সহকারী পরিচালক সুলতান আলী বলেন, কারখানাটি চালুর জন্য বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংস্কার করা হয়েছে। যেকোনো সময় কারখানা চালুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

রেশম বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫-৭৬ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস ঠাকুরগাঁওয়ের গোবিন্দনগর এলাকায় ৩ দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর রেশম কারখানাটি স্থাপন করে। ২০০২ সালে কারখানাটি বন্ধ হয়।

   

বৈশাখের তাপদাহের মাঝে দেখা মিলল পৌষের সকালের ঘন কুয়াশা!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে বৈশাখের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও রাতে তীব্র গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এমন তাপদাহের মাঝে বৈশাখের সকালে যেন দেখা মিলল পৌষের সকালের ঘন কুয়াশার। এমন অসময়ে ঘন কুয়াশার মতো আসলে এটি কী কুয়াশা না অন্য কিছু? তা নিয়ে স্থানীয়দের কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া খালপাড়ে এমন দৃশ্যের দেখা মিলে।

এদিন ময়মনসিংহ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

ভোর থেকে ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে ছিল পুরো এলাকা। সঙ্গে ছিল মৃদু বাতাসও। ফলে কিছুটা ঠাণ্ডা অনুভূত হয়েছে। কুয়াশা ভেদ করে ঠিক কয়েক মিনিট পরেই সূর্য উঁকি দিয়ে উঠে। আবার কিছুক্ষণের মাঝেই কুয়াশা কেটে যায়। তবে, এর আগে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, আজ ভোরেই ঘুম থেকে জেগেছিলাম। কিন্তু ঘুম থেকে সকালে যে ঘন কুয়াশা দেখেছি, আগে কখনো দেখিনি।

একই এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া বলেন, ভোরে হাঁটতে বের হয়ে ঘন কুয়াশা দেখেছি। ধান গাছের ডগায় কুয়াশা জমতে দেখেছি। তবে, এমন আজব দৃশ্য এর আগে কখনো দেখেনি।

ময়মনসিংহ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। দিন এবং রাতের প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে জলীয় বাষ্পও কুয়াশার মত দেখা যেতে পারে। তবে, আমি বর্তমানে দেশের বাইরে আছি। দেশে থাকলে হয়তো পর্যবেক্ষণ করে আরও কিছু বলা যেতো।

;

রানা প্লাজা স্মরণ: ছবিগুলো স্মৃতি, গল্পগুলো ভেজায় চোখ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
রানা প্লাজা স্মরণ: ছবিগুলো স্মৃতি, গল্পগুলো ভেজায় চোখ

রানা প্লাজা স্মরণ: ছবিগুলো স্মৃতি, গল্পগুলো ভেজায় চোখ

  • Font increase
  • Font Decrease

আঁখির হয়তো স্বপ্ন ছিল সমুদ্র দেখার। সরাসরি না পারলেও স্টুডিওতে ছবি তুলে পেছনে বসিয়ে নেন সমুদ্রের দৃশ্য। অন্যদিকে শাহেদুলের হয়তো স্বপ্ন ছিল উড়োজাহাজে চড়ার! তাইতো স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে স্টুডিওতে এমন ব্যাকগ্রাউন্ড রেখে ছবি তুলেছিলেন! প্রায় এক যুগ আগে তোলা এসব ছবি এখন শুধুই স্মৃতি। ২০১৩ সালে হাজারো হতভাগ্য শ্রমিকের সঙ্গে সলিল সমাধি ঘটেছিল এই দুজনেরও। এখন সেই স্বপ্নের আদলে তোলা ছবিগুলোতেই স্বজনরা খুঁজে বেড়ান তাদের স্মৃতি। গল্পগুলো বলতে গিয়ে ভিজে আসে চোখ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সাভার রানা প্লাজার সামনে ‘রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর: হাজারো প্রাণ ও স্বপ্নর গল্প’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

দোষীদের শাস্তি ও সম্মানজন ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম দিনে আয়োজিত সভায় স্বজনরা স্মরণ করেন নিহত শ্রমিকদের।


এর উদ্বোধন করেন রানা প্লাজা ভবনে দুই দিন আটকা থেকে উদ্ধার হওয়া আহত শ্রমিক জেসমিন।

সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে আলোচনা করেন আহত জেসমিন, নিহত শ্রমিক আঁখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার, নিহত ফজলে রাব্বীর মা রাহেলা আক্তার, নিহত শাহীদার মা এবং  গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ আরও অনেকে।

প্রদর্শনীতে চার আলোকচিত্রীর তোলা ছবি ও পোশাক শ্রমিকদের সন্তানদের সাতজনের আঁকা ছবি, জীবিত থাকা অবস্থায় স্টুডিওতে তোলা ২০ শ্রমিকের ছবি প্রদর্শন করা হয়।

এরমধ্যে একটি ছবি নিহত শাহেদুলের। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে স্টুডিওতে ছবি তুলে, ব্যাকড্রপে উড়োজাহাজের ছবি দেওয়া। হয়তো উড়োজাহাজে চড়ার স্বপ্ন ছিল তার!

আরেকটি ছবি ছিল নিহত আঁখির। হয়তো সমুদ্র ভালোবসতেন তিনি। কিন্তু যাওয়া হয়নি কখনো। তাই স্টুডিও থেকে স্বপ্নের ছবি তৈরি করিয়ে নেন সেই সমুদ্রর পারে। আখি আক্তার (১৮) ও তার বন্ধুরা রানা প্লাজার সপ্তম তলার নিউ ওয়েব স্টাইল লিমিটেড কারখনায় কাজ করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ ১৪২০ , ১৪ এপ্রিল ২০১৩–এই ছবিটি তোলা। তার ঠিক ১০ দিন পর ২৪ এপ্রিল ২০১৩ থেকে রানা প্লাজার ধসের পর থেকে আঁখি নিখোঁজ। জানা যায়, এই ছবির কেবল একজন বেঁচে আছে, আঁখিসহ এই ছবির সকলেই নিহত বা নিখোঁজ।


আয়োজকরা জানান, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে এসব শ্রমিকের প্রাণ ও স্বপ্ন নি:শেষ হয়ে যায়। রানা প্লাজার সামনে প্রদর্শনী করে সে আবারও সেই অতীতের স্মৃতিকে সামনে আনা হয়েছে। এই ঘটনাকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তরুণদের লড়াইয়ে প্রেরণা দিতেই এই প্রদর্শনী। রানা প্লাজার শ্রমিকদের মতো যাতে আর কারো যাতে অকালে মরতে না হয়, এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন তারা।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে আলোচনায় আহত শ্রমিক জেসমিন বলেন, এমনভাবে দুই দিন আটকা ছিলাম বাঁচার কোনো আশা ছিলো না। একজন অচেনা মানুষ আমাকে আগলে রেখে বাঁচিয়েছিলো। তখন কে পুরুষ কে নারী কে হিন্দু কে মুসলমান ভাবার সুযোগ ছিলো না। বাঁচার চরম ইচ্ছা ও সন্তানকে দেখার ইচ্ছা ছাড়া কোনো কিছু মাথায় আসেনি।

তিনি বলেন, ১১ বছর ধরে সেই দু:সহ স্মৃতির ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি মনে ও শরীরে। অথচ এখনো দোষীদের শাস্তি হয়নি। দোষীদের শাস্তি হলে আমরা প্রাণে একটু শান্তি পেতাম।

সভায় বক্তারা বলেন, ১১ বছরেও ১১৭৫ জন প্রাণ হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্তিত হয়নি। কারখানার ভবন মালিক সোহেল রানা ছাড়া অন্যান্য মালিক, সরকারি কর্মকর্তারা জামিনে জেলের বাইরে আছেন। সোহেল রানাও গত বছর জামনি পায়। পরবর্তীতে তার জামিন উচ্চ আদালত স্থগিত করে।

তাদের মতে, বিচারের এই ধীরগতি সরকার ও রাষ্ট্রের মালিকপক্ষ ও দোষীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের এবং তাদের বাঁচিয়ে দেবার প্রচেষ্টারই সামিল।

তারা বলেন, যে রাষ্ট্রে কোনো গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ নাই, জনগণের মত প্রকাশের সুযোগ নাই, সেখানে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকরা আরো বিপর্যস্ত হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নাই।

তারা আরও বলেন, দোষীদের সর্বেবাচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা নাই।

ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে তারা বলেন, নিহত ও আহত পরিবারকে ১১ বছর আগে যে আইনি ক্ষতিপুরণ বা অনুদান দেওয়া হয়েছে তা কখনোই সম্মানজনক বা মর্যাদাপূর্ণ নয়। শ্রম আইনে ক্ষতিপুরণের আইন যা বদল হয়েছে তা অতি নগন্য। ১ লাখ এবং দেড় লাখ থেকে ২ লাখ ও আড়াই লাখ পর্যন্ত বাড়ানো কোনো শ্রমিককে মানুষ হিসাবে গণ্য না করারই উদাহরণ।

বক্তারা বলেন, একদিকে একজীবনের সমপরিমাণ সম্মানজনক-মর্যাদাপূর্ণ ক্ষতিপুরণ প্রদানের ব্যবস্থা না করা। অন্যদিকে ব্রান্ড, এনজিও এমনকি সরকারের দফায় দফায় কিস্তিতে শ্রমিকদের অর্থ সহযোগিতার ও নানা প্রশিক্ষণের নামে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। যাতে শ্রমিকরা বিচারের দাবিতে সংগঠিত না হয়ে, ভিক্ষুকের মতো কেবল সহায়তা খোঁজে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তারা বলেন, ক্ষতিপূরণ কোনো ভিক্ষা নয়, এটি শ্রমিক ও নাগরিকের আইনি অধিকার। এই অধিকার রক্ষায় এক হওয়ার আহবান জানান তারা।

আয়োজকরা জানা, দুই দিন ব্যাপী কর্মসূচিতে আগামীকাল ২৪ এপ্রিল ২০২৪ রানা প্লাজার সামনে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ ও প্রতিবাদী র‌্যালী অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে তার ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

এর আগে, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এসময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে স্বাগত জানান।

গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই ছিল প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। তার সফরে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে- উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে- কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় শেখ হাসিনা ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফরে এলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করেন।

;

চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৯ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ এলাকায় বেপরোয়া বাসের (শাহ আমানত) ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আবারও সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চুয়েট গেটের সামনে সড়কে অবস্থান নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা সড়কের দুই পাশে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ার ও বাসের সিট জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সড়ক নিরাপদ করতে বেলা ১২টার দিকে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

দূরপাল্লার বাস ব্যতীত সকল স্থানীয় বাস, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে এবং ঘাতক বাস চালককে গ্রেফতারসহ তাদের দাবি মেনে নিতে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তারা। দুপুর ২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলমান রেখেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রথম দফা আন্দোলনেও সড়ক অবরোধ করেছিলো শিক্ষার্থীরা। এসময় এবি ট্রাভেলসের তিনটি বাস আটক করা হয়। এসময় অন্য একটি গাড়ি বাইরে এনে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ চলছে। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে সহপাঠীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ১২টার দিকে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা। নিহত চুয়েট শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেনের গায়েবি জানাজা সড়কের উপর আদায় করেন তারা এবং সন্ধ্যায় শান্ত সাহার জন্য বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন রয়েছে বলে জানান তারা।

এদিকে এসব বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সড়ক নিরাপদ করতে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক চালককেও আটকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

;