ঝুড়ির সেমাই নিয়ে প্রশ্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ঝুড়ির সেমাই নিয়ে প্রশ্ন

ঝুড়ির সেমাই নিয়ে প্রশ্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের আগে বেড়ে যায় সেমাইয়ের চাহিদা। বাজারের সেই চাহিদা মেটাতে রাজশাহীর কারখানাগুলোতে উৎপাদনও বেড়ে যায়। পুরনো বেকারি কারখানার পাশাপাশি মৌসুমি কিছু ব্যবসায়ীও শুধু ঈদের আগেই সেমাই তৈরি করে থাকেন। এবার ঈদ-উল-ফিতরের আগেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দিনরাত এক করে শ্রমিকেরা লাচ্ছা ও খিল সেমাই তৈরি করেছেন। উৎপাদিত সেমাই নগরীর বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয়েছে। প্যাকেটের বদলে বেশিরভাগ সেমাই পাঠানো হয়েছে ঝুড়িতে করে। এই ঝুড়িতে সেমাইয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি), ওজন, উৎপাদন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ থাকে না। কোন প্রতিষ্ঠান এই সেমাই উৎপাদন করেছে তাও কোথাও লেখা নেই।

রাষ্ট্রায়াত্ব মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) রাজশাহীর পরিচালক প্রকৌশলী সেলিম রেজা বলেন, ‘যাঁরা আমাদের লাইসেন্স নেয়ার পর সেমাই উৎপাদন করছে তাঁদের অবশ্যই পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখতে হবে। সেমাইয়ের ক্ষেত্রে যদি প্যাকেটের মোড়ক না ব্যবহার করে ঝুড়ি ব্যবহার হয় সেক্ষেত্রেও দিতে হবে। এসব তথ্য না দিলে লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন হবে।’

রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মুদি দোকানগুলোতে প্যাকেটজাত সেমাইয়ের পাশাপাশি ঝুড়িতে করেও সেমাই বিক্রি হচ্ছে। কয়েকটি দোকান ঘুরে কোথাও ঝুড়িতে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা দেখা যায়নি। ফলে এসব সেমাই কারা উৎপাদন করেছে তা জানা যায়নি।

সাহেব বাজার এলাকার মুদি দোকানী সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিসিকের কারখানা থেকে এসব সেমাই আনি। কারাখানার লোকেরা জানিয়েছে, প্রতিটি ঝুড়িতে ৭৪ কেজি সেমাই আছে। আমরা সেভাবেই বিক্রি করছি।’ ওজন, তারিখ, খুচরা মূল্য লেখা না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো যুগ যুগ ধরে এভাবেই বিক্রি হয়। ওজনে কম থাকলে তো আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবো। ওজনে কম থাকে না। তবে উৎপাদন-মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটা থাকলে ভাল হয়।

রাজশাহী মহানগরীর সপুরায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এলাকার কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্থানেই ঝুড়িতে সেমাই বাজারজাত করা হচ্ছে। তবে রাজশাহীর পুরনো কয়েকটি বড় বড় বেকারিতে প্যাকেটজাত সেমাই উৎপাদন করা হচ্ছে। কয়েকটি কারখানায় আবার একেবারেই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি করতে দেখা গেছে।

বিসিক এলাকার এডিআই ফুডস কারখানার গুদাম থেকে সেমাই বের করা হচ্ছিল। শ্রমিকেরা ঝুড়িভর্তি সেমাই তুলছিলেন ভ্যানে। কারখানাটির গুদামে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি সেমাইয়ের ঝুড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে কারখানার সামনে এর অফিসে প্যাকেটজাত সেমাই রাখা হয়েছে। কিন্তু কারখানার গুদামে একটিও সেমাইয়ের প্যাকেট দেখা যায়নি।

কারখানার মালিক আবদুল আজিজ না থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। কারখানার কর্মীরা বলেছেন, ঝুড়িতে সেমাই দিলে খরচ কম হয়। কম সময়ের মধ্যে বাজারজাতও করা যায়। তাই ঈদের সময় ঝুড়িই ব্যবহার করা হয়। তবে বছরের অন্যান্য সময় প্যাকেটজাত সেমাই উৎপাদন হয় বলে দাবি তাঁদের। শ্রমিকেরা আরও জানিয়েছেন, এবার সেমাইয়ের চাহিদা গতবছরের চেয়ে কম। গতবছর ঈদে তাঁরা প্রায় ১০০ ঝুড়ি সেমাই উৎপাদন করেন। এবার হয়েছে ৬০ ঝুড়ি।

বিসিকের রাতুল বেকারি সারাবছর পাউরুটি, কেক ও বিস্কুট-চানাচুর উৎপাদন করে। আর ঈদের সময় উৎপাদন করে সেমাই। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কারখানায় অনেক খালি ঝুড়ি রাখা হয়েছে। এটির মালিক মো. মানিক জানালেন, গত ১৫ দিনে তাঁরা সেমাই উৎপাদন করে ঝুড়িতে করেই বাজারে পাঠিয়েছেন। এবার উৎপাদন খরচের চেয়ে সেমাইয়ের কেজিপ্রতি পাইকারি মূল্য বেশি হওয়ার কারণে এখন উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁরা এই ঝুড়িতে করেই সেমাই বাজারজাত করেন। এতে কোন তথ্য লেখা থাকে না স্বীকার করে মানিক বলেন, ‘না থাকলেও তেমন সমস্যা নাই। কারণ, ঈদের মধ্যেই এসব সেমাই বিক্রি হয়ে যায়। পড়ে থাকে না।’

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘বিসিকে গুটিকয়েক কারখানার সেমাই তৈরির অনুমোদন আছে। কিন্তু এখন বিসিক শিল্প এলাকার বাইরেও শহরের আনাচে-কানাচে অনেকে বাসাবাড়িতে সেমাই তৈরি হয়। মূলত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন যেসব সেমাই তৈরি হয়, সেগুলোই প্যাকেটজাত করা হয় না। খোলাভাবে এসব সেমাই ঝুড়িতে বিক্রি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেমাইয়ের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ কত, কবে তৈরি হয়েছে তার কিছুই ঝুড়িতে লেখা থাকে না। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য না থাকায় ঈদের আগে দোকানীরাও ইচ্ছেমতো দাম আদায় করেন। ভোক্তারা প্রতারিত হন। আবার এসব সেমাই খেয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে কাউকে ধরার মত সুযোগও নেই। কারণ, এগুলো কে উৎপাদন করেছেন সেটাও ঝুড়িতে লেখা থাকে না। তাই ঝুড়িতে সেমাই বাজারজাত বন্ধ করা উচিত। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন এবং বিএসটিআইও যেন দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’

বিএসটিআইয়ের রাজশাহীর পরিচালক প্রকৌশলী সেলিম রেজা বলেন, অনুমোদিত ভাল কারখানাগুলো ঝুড়িতে সেমাই বাজারজাত করে না। যাঁদের লাইসেন্স নেই, তাঁরা এভাবে ঝুড়িতে নিম্নমানের সেমাই বাজারজাত করে যেন তাঁদের ধরা না যায়। তবে আমরা এসব কারখানা খুঁজি। খুঁজে পেলে অভিযান চালিয়ে উৎপাদন বন্ধ করা হয়। সেমাই ধ্বংস করা হয়।

অনুমোদনহীন লাচ্ছা সেমাই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবারও (৬ মে) যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসন।

অভিযানে লাচ্ছা সেমাইয়ের মোড়কজাত নিবন্ধন সনদ না থাকায় ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন অনুযায়ী বিসিকের মেসার্স ফুড ফেয়ার নামে একটি কারখানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লসমী চাকমা এই জরিমানা করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন রাজশাহী বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক জহুরুল ইসলাম ও পরিদর্শক শাহ আলম পলাশ খাঁন এবং ফিল্ড অফিসার সাখাওয়াত হোসেন।

   

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। কন্টোল রুম থেকে যাত্রীরা যেকোনো আইনগত সহায়তার পাশাপাশি জাল টাকা সনাক্তকরণসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে র‍্যাব-৩।

একইদিন সন্ধ্যায় র‍্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক আরিফউদ্দিন জানান, কমলাপুর রেলস্টেশনে স্থাপিত কন্টোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এখান থেকে সাধারণ যাত্রীরা সবধরণের সেবা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেকোনো আইনগত সহায়তা ছাড়াও জাল টাকা সনাক্তকরণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুস্থ ব্যক্তি সহায়তা চাইলে সহায়তা করবে র‌্যাব সদস্যরা। তাছাড়া ঘরমুখো যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দ্রুত যাত্রীদের সহায়তা করা হবে। যেকোনো প্রয়োজনে র‌্যাবের হটলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যার নম্বর- ০১৭৭৭-৭১০৩৯৯।

;

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের উদ্যোগে এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ক

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি পাঁচজনের মুখেও হাসি ফোটাতে পারি সেখানেই আমাদের সফলতা। ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়।

তিনি বলেন, এবার ইফতারের অর্থ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। মানুষের জীবন আরও সহনীয় করতে কাজ করছে। সরকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

;

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে মজিবর রহমান (৬৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় মৃত্যুর পর তার তৃতীয় ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সদরের চাওয়া সরঞ্জাবাড়ি ইউনিয়নের বাটুল টারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মজিবর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও চার সন্তানের জনক।

সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত মজিবর রহমান তার তিন ছেলেকে নিজের সম্পত্তির জমি লিখে দেয়। তার তৃতীয় ছেলে নওশাত আলী ঢাকায় চাকরি করতেন। তার সাথে বাবার বনিবনা কম থাকায় তাকে কোনো জমি লিখে দেয়নি। হঠাৎ মধ্যরাতে মজিবর রহমান মারা গেলে শুক্রবার দুপুরে তাকে দাফন করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনরা। এ সময় নওশাদ তার বাবার কবরে শুয়ে থেকে মরদেহ দাফন করতে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করেন।

এ বিষয়ে চওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কবির শাহ বলেন, মৃত মজিবর তার তৃতীয় ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ার কারণে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা সবাই মিলে পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;