সীমিতভাবে ফেরি চলছে পাটুরিয়া ঘাটে
দেশব্যাপী লকডাউনের শুরু থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। তবে জরুরি পরিষেবার জন্য ২-১টি করে ফেরি চলাচল সচল থাকে। আর এসব ফেরিতে যাত্রীরা পারাপার হয়।
কয়েকদিন ধরে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। সেই সঙ্গে শুরু হয় ভোগান্তিও। এরই মধ্যে সোমবার (১০ মে) বিকালে সবগুলো ফেরি চলাচল শুরু হয় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে। নিমিষেই যাত্রীশূন্য হয়ে যায় নৌরুটের উভয় ফেরিঘাট এলাকাগুলো। কিন্তু রাতেই আবার সেই সিদ্ধান্তে থেকে সরে আসে কর্তৃপক্ষ। ফের সীমিতভাবে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় বাড়তে থাকে ভোগান্তি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘাট এলাকায় এসে জড়ো হতে শুরু করে যাত্রীরা। এরপর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে পদ্মা পারাপার হন তারা। এতে করে আধ ঘন্টার নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তিন থেকে চার ঘন্টা।
মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার বিভিন্ন পল্টুনে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় সাধারণ যাত্রীদের। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে ছোট কোন ফেরি পল্টুনে নোঙর করা মাত্রই যাত্রীরা উঠে যান ওই ফেরিতে। তাই ফেরিতে কোন ভাবে ঠাঁই হয় অ্যাম্বুলেন্সের। এরপর শুরু হয় ফেরি চলাচল। এভাবেই কয়েকদিন ধরে নৌরুটে যাত্রী পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ। আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের চিত্রও একই রকম।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের তিন নাম্বার ঘাট পল্টুনে আলাপ হলে বরিশালমুখী যাত্রী সুলতানা আক্তার বলেন, রাস্তা আর ফেরিঘাটে সমান ভোগান্তি। এভাবেই চলে প্রতিবারের ঈদযাত্রা। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এসব ভোগান্তি নিরসনের জন্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করেন তিনি।
আমিনুর রহমান নামের আরেক যাত্রী বলেন, যতো কষ্ট সব গরিবের। ধনীদের কোন কষ্ট নেই। তারা প্রাইভেটকার ও বিমানে করে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে। দেশের মার্কেটে হাজার হাজার মানুষ কেনা-কাটা করতে পারছে। অথচ ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শেষ নেই।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, জরুরি পরিষেবার জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ২-১টি করে ফেরি চলছে। আর এসব ফেরিতে করেই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা জড়ো হয়ে নৌরুট পারাপার হচ্ছে।