রাজশাহীতে ঈদের নামাজের সময় ঠিক করবে মসজিদ কমিটি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীতে ঈদের নামাজের সময় ঠিক করবে মসজিদ কমিটি

রাজশাহীতে ঈদের নামাজের সময় ঠিক করবে মসজিদ কমিটি

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কারণে ঈদগাহে হবে না ঈদের নামাজ। এবারও মসজিদে মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদ কমিটি তাদের সুবিধামত সময়ে ঈদের জামাতের সময় নির্ধারণ করবে।

মঙ্গলবার (১১মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবারও খোলা ময়দান কিংবা ঈদগাহে ঈদের নামাজ হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদের ভেতরেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদ কমিটি এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের সুবিধামত সময়ে জামাতের সময় নির্ধারণ করবে। সকাল ৮টা থেকে ৯ টার মধ্যে নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঈদের নামাজের জন্য সবাইকে বাড়ি থেকেই ওজু করে আসতে হবে। পাশাপাশি বাড়ি থেকে সঙ্গে আনতে হবে জায়নামাজ। মসজিদ কমিটি মসজিদের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখবেন। সরকারি নির্দেশনা মেনেই সবখানে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করতে হবে। বিষয়টি মানার জন্য মসজিদ কমিটিকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

   

এই বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এই বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’

এই বর্ষায় ১ লাখ গাছ লাগাবে ‘ইচ্ছে ফাউন্ডেশন’

  • Font increase
  • Font Decrease

‘ঈদের সালামি দাও নগদে, গাছ লাগানোর বাবদে’ শীর্ষক স্লোগানে বৃক্ষ রোপণে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করছে ইচ্ছে ফাউন্ডেশন। এই ক্যাম্পেইনকে সফল ও বেগবান করতে ইচ্ছে ফাউন্ডেশন এবং টুগেদার উই ক্যানের পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

এই বর্ষায় সংগঠনটি ১ লাখ বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনটি রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন প্রজাতির দেশজ ফলের গাছ দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গ্রিন ফিউচার প্রজেক্টের আওতায় বৃক্ষ রোপণের এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন- টুগেদার উই ক্যানের প্রতিষ্ঠাতা অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা, মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোহাম্মদ রেজাউল (রেজা) ও রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নাজমুল।

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের জন্যে আমাদের দায়িত্ব হলো বসবাস উপযোগী পৃথিবী গড়ে তোলা। তাই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা গাছ রোপণ করছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা বলেন, ‘আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার্থে তরুণ সমাজ উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আমাদের জন্যে সুসংবাদ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদের তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়ানো। যার যার জায়গা থেকে বাড়ির আঙিনা থেকে বাসার ছাঁদ কিংবা বেলকুনিতে বৃক্ষ রোপণ করা।’

সংগঠনটির কো-ফাউন্ডার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বনভূমির পরিমাণ হলো ১৪ ভাগ। আমরা এটা ৩০ ভাগে রুপান্তর করতে চাই। আমরা মনে করি, তরুণ সমাজ চাইলে এটা সম্ভব। তারই বীজ বুনতে আমাদের এই উদ্যোগ। আশা করি সমাজের মানুষকে আমাদের পাশে পাবো।’

সংগঠনটির সভাপতি উজ্জ্বল রায় বলেন, এই বর্ষায় ইচ্ছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা সারা দেশে অন্তত ১ লাখ বৃক্ষ রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই কার্যক্রমে প্রাধান্য পাবে মূলত উপকূলীয় অঞ্চলগুলো। ইচ্ছে ফাউন্ডেশন মনে করে, ক্রমবর্ধমান এই তাপমাত্রাকে সহনীয় পর্যায় নিতে হলে সারা দেশে প্রচুর গাছ রোপণ করতে হবে। দেশের অন্তত ৩০ ভাগ বনভূমি করতে হলে প্রতিনিয়ত বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি চলমান রাখতে হবে। এই জন্য প্রয়োজন সরকারি, বেসরকারি সহায়তা। ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে বাণিজ্যিক কারণে ব্যক্তি সচেতন মানুষ চাইলে গাছ রোপণ করতে পারে না। সাধারণ মানুষের গাছ রোপণের ইচ্ছাকে সফল করতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আপনিও চাইলে আগামী প্রজন্মের জন্যে গাছ রোপণ করতে পারেন ইচ্ছে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। ইচ্ছে ফাউন্ডেশন সারাদেশে বিসৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

;

উপজেলা নির্বাচন

প্রথমধাপে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ১৪ প্রার্থী



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরুত্তাপ উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ১শ ৫০টি উপজেলার মধ্যে তিনটি পদের (চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান) বিপরীতে ১২টি উপজেলায় একক প্রার্থী থাকায় ১৪ জন বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইসির (নির্বাচন কমিশন) একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীদের তালিকায় রয়েছেন, দুই চেয়ারম্যান, তিনজন পুরষ ভাইস চেয়ারম্যান ও সাতজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কেননা, আগামী ২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। সেইদিন চূড়ান্ত হবে কতটি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কতজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলা এবং মুন্সীগঞ্জ সদর এ দুটি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

একইভাবে উপজেলা ভাইস (পুরুষ) চেয়ারম্যান পদে তিনজন অর্থাৎ কক্সবাজার সদর, হাতিয়া ও সন্দ্বীপ উপজেলায় একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন অর্থাৎ বাগেরহাট সদর উপজেলা, হাতিয়া, বড়লেখা, বালিয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া সদর, মতলব সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় একক প্রার্থী রয়েছেন।

এসব উপজেলায় তিনপদে ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে টিকলে সবাই একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হবেন।

এদিকে, দেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দুই দলের কোনো একটি নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকলে নির্বাচন হয়ে পড়ে একপেশে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো চলমান উপজেলা নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা গেছে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে অনলাইনে বাধ্যতামূলক মনোয়নপত্র দাখিল করার বিধান করেছে ইসি। সোমবার ছিল মনোয়নপত্র দাখিল করার শেষ সময়।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে ধাপে ১ হাজার ৮শ ৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬শ ৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭শ ২৪ জন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪শ ৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ইসি জানায়, সেখানে চেয়ারম্যান পদে একটি উপজেলায় একজন প্রার্থী ও সর্বোচ্চ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে প্রার্থী রয়েছেন ১৮টি উপজেলায়। আর একজন প্রার্থী দুটি উপজেলায়।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১১ জন প্রার্থীর দুটি উপজেলা হচ্ছে, সিলেটের বিশ্বনাথ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল। দ্বিতীয় ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন, একটি উপজেলা হচ্ছে, নেত্রকোনার কলমাকান্দা। নয়জন করে প্রার্থী হচ্ছেন, কুড়িগ্রামের রৌমারী, নওগার বদলগাছী, নাটোরের নলডাঙ্গা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও পাবনার বেড়া। আর ৮ জন করে প্রার্থী আছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, গোপালগঞ্জ সদর, নওগার মহাদেবপুর, নীলফামারীর ডোমার ও দূর্গাপুর।

এছাড়া ৯টি উপজেলায় যথাক্রমে ৭ জন ও ৬ জন করে প্রার্থী, ১৯টা উপজেলায় ৫ জন, ২২টি উপজেলায় ৪ জন, ৩৪টি উপজেলায় ৩ জন করে এবং ১৮টি উপজেলায় ২ জন করে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলায়, ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১২ জন এবং ১০ জন করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, রামগতি ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। আর সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ৮ জন প্রার্থী সিলেটের ঘোড়াঘাট ও যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়।

দু’দিন প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের পর আগামী ২৩ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্দ করা হবে প্রতীক। এর পর থেকেই শুরু হবে টানা ১৫ দিনের প্রচার-প্রচারণা। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। আর দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে আগামী ২১ মে।

;

বাবুগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভের ঘটনায় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

এর আগে চেয়ারম্যান ও মেম্বর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. মুসা আলী, আব্দুস সালামসহ নয়জন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারী সরকার থেকে বরাদ্দ ত্রাণের টিন, কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য), কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা), টিআর (টেস্ট রিলিফ), গ্রামীণ অবকাঠামোর চাল, গম ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়াও দুস্থদের জন্য বরাদ্দ ভিজিডি চাল, ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কারের ১০ লাখ টাকা কোনো কাজ না করে পুরোটাই আত্মসাৎ করেছেন। কার্ডধারী ৫শ ১২ জেলের জন্য ৪০ কেজি করে বরাদ্দ করা চাল কালোবাজারে বিক্রিও করেছেন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারী প্রভাব বিস্তার করে একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউপি চেয়ারম্যান অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

ইউপি সদস্যরা জানান, চেক জালিয়াতির মামলায় ইতোমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৩শ ৮৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ভিজিডি ও জেলেদের চাল পাচারের সময় ৫ হাজার ১শ ৫২ বস্তা চাল উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাবের দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলারও আসামি চেয়ারম্যান নুরে আলম। এ বাদে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে খাসজমির দলিল করে দখলের অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগের প্রমাণসহ তার (ইউপি চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে নয়জন ইউপি সদস্য ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১০টি দফতর প্রধানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

কেদারপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, আবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা পল্লীদারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে তদন্তে আসেন।

এসময় চেয়ারম্যান ও তার ‘ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী’রা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে পরিষদে প্রবেশ করে আবেদনকারী ইউপি সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এনিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের ‘ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী’রা মেম্বরদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরেজমিন মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে দেখা যায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর পরই ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল বহরযোগে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকা ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় সরকারের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শত শত ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের অবরুদ্ধ করে নানান স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

তখন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা উপস্থিত জনতার ওপর চড়াও হলে বিক্ষুব্ধরা তাদের ধাওয়া করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ বিক্ষুব্ধদের ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে চেয়ারম্যানকে রক্ষা করে।

তবে ইউপি সদস্যদের আনীত সব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে অভিযুক্ত কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারী বলেন, ‘প্রতিপক্ষের লোকজন ইউপি সদস্যদের পুঁজি করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে’।

;

পরকীয়ায় আসক্ত স্বামী, স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মান্দায় পরকীয়ায় আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রোকেয়া (২০) নামের এক গৃহবধূ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার প্রসাদপুর ইউপি’র গোটগাড়ি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন, ইনায়েতপুর গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা রফিকুল ইসলাম, মা নার্গিস বেগম ও জ্যাঠাতো বোন রিমা খাতুন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীসহ বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১ বছর আগে একই উপজেলার পার-এনায়েতপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ইউসুফ আলীর (২৩) সঙ্গে ২ লাখ ২০ টাকা দেনমোহরে রোকেয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর চাকরির সুবাধে তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনে ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকতো। সেখানে থাকাবস্থায় ভুক্তভোগী রোকেয়ার স্বামী ইউসুফ আলী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত রোকেয়াকে যৌতুকের জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে ইউসুফ আলী তার চাচাতো ভগ্নীপতি আতিকুর রহমান ও বোন মীমের প্ররোচনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ রোকেয়াকে ব্ল্যাকমেইল করে খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বকভাবে ১০০ টাকা মূল্যের দু’টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করে। তার দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গত ৫ মাস পূর্বে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বর্তমানে সে বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছে।

বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার বসার জন্য বলা হলেও তারা কোন কর্ণপাত না করায় প্রতিকার চেয়ে ব্র্যাকের আইন সহায়তা কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তারা। এছাড়াও স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধার করাসহ পরকীয়ায় আসক্ত জামাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।

;