নাড়ির টানে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকেও ছুটছে মানুষ
রাত পোহালে ঈদ। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করবেন এলাকার বাহিরে থাকা কর্মজীবিরা। প্রাণভরা আনন্দে ঢাকা ছেড়ে গাইবান্ধাসহ উত্তরের জেলার গ্রামাঞ্চলে ছুটছেন তারা। লকডাউন উপেক্ষা করে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরছে এইসব মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার ধাপেরহাট নামকস্থানে দেখাযায় মালবাহী পরিবহন গুলোতে যাত্রী বহনের চিত্র। এসময় ঢাকা ফেরৎ মানুষরা ট্রাক,মাইক্রোবাস কাভার্ডভ্যান,এ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে দেখা যায়।
এদিকে, ঈদের আগে মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপে যানজটের লেগেই রয়েছে। লকডাউনের বিধি-নিষেধ না মেনে গাদাগাদি করে ফিটনেসবিহীন পরিবহন গুলোতে অবাধে মানুষ ফিরছে বাড়িতে। এতে নানা দুর্ভোগ সহ ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও সেখানে প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
ট্রাক যোগে ঢাকা থেকে আসা যাত্রী খলিল মিয়া জানান, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রংপুরের গ্রামের বাড়িতে রওনা হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে এক হাজার টাকা ভাড়ায় ট্রাকে উঠেন। সড়কে তীব্র যাজনজটের কারণে ৩০ ঘণ্টাও বাড়িতে পৌঁছিতে পারেনি।
কাভার্ডভ্যানের আরেক যাত্রী বলেন, স্বজনদের টানে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে। দূরপাল্লার বাস না থাকায় বিকল্প উপায়ে রওনা হয়েছি। এতে আগের তুলনায় ভাড়া গুণতে হচ্ছে তিনগুণ বেশি। তবু পৌঁছাতে হবে বাড়িতে।