‘সব নাগরিককে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা যেমন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছি, তেমনি আক্রান্তদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা চিকিৎসা সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি করেছি।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে কার্যকর এবং পরীক্ষিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র টিকা দিয়েই আমরা গণটিকাকরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আপনারা জেনেছেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ টিকা রপ্তানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায়, আমরা বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে রাশিয়া এবং চিনের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। উপহার হিসেবে চীনের কাছ থেকে টিকা ইতোমধ্যেই আমরা পেয়েছি। আমরা টিকা পাওয়ার জন্য আমেরিকার কাছেও অনুরোধ জানিয়েছি। বিশ্ব টিকাকরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের কাছ থেকেও আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টিকা পাবো। বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা এক কোটি টিকা ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছি। খুব শিগগিরই দেশে টিকা আসতে শুরু করবে। তাছাড়া, দেশেই যাতে টিকা উৎপাদন করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। নিজেদের টিকা তৈরিতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আমরা দেশের সকল নাগরিককে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো।

তিনি বলেন, ডাক্তার, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ কয়েকটি পেশার কর্মীগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনে থেকে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যগণ এবং কেন্দ্রীয় ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ লকডাউন বা চলাচলের বিধিনিষেধ বলবৎ করতে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। ত্রাণসামগ্রী বিতরণসহ সরকারের নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সংবাদকর্মীগণ সংক্রমনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে সংবাদ পরিবেশনের কাজ করে যাচ্ছেন। সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বহু স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্মকতা-কর্মচারি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া, গত এক বছরে আমরা আমাদের অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছি। আমি সকলের রুহের মাগফিরাত ও আত্মার শান্তি কামনা করছি। শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা যেমন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছি, তেমনি আক্রান্তদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা চিকিৎসা সক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি করেছি। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হাসপাতালকেও আমরা করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সম্পৃক্ত করেছি। গত মাসে মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেটে ২ হাজার শয্যার কোভিড-১৯ হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। গত বছর মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ১৬৬ জন ডাক্তার, ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স এবং প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতালগুলোসহ দেশের ১৩০টি সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রিয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। এই ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে মাস্কের ব্যবহার অত্যন্ত ফলপ্রসু বলে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি যথাসম্ভব ঘনঘন সাবানপানি দিয়ে হাত ধুইয়ে নিন অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সেই সাথে সাথে আপনারা নিজেরা গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।

দেশবাসী উদ্দেশ্যে বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শুধু মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে না, এই ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। সংক্রমণ এড়াতে লক-ডাউন বা সাধারণ ছুটি বলবৎ করতে হয়েছে। আমরা গত বছর একটানা দুই মাসেরও বেশি সাধারণ ছুটি বলবৎ করেছিলাম। দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর গত মাসের ৫ তারিখ থেকে পর্যায়ক্রমে লক-ডাউন কার্যকর করা হয়েছে। এরফলে অগণিত মানুষের রুটি-রুজির উপর আঘাত এসেছে। কিন্তু এই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া বিকল্প কোন উপায় ছিল না। কারণ, আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, প্রতিটি দেশেরই স্বাস্থ্য অবকাঠামোর একটি নির্দিষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। হঠাৎ করে দ্রুতগতিতে রোগী বাড়তে থাকলে তখন সেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। আপনারা দেখেছেন, উন্নত দেশগুলো পর্যন্ত করোনা রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সেজন্য আমাদের কোনোভাবেই রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেওয়া যাবে না। তবে আমরা জীবন ও জীবিকার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাঁরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সহায়তার জন্য সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা সরকার গৃহিত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, গত বছর করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত সর্বমোট এক লাখ ঊনত্রিশ হাজার ছয়শত তের কোটি টাকার সহায়তা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ২১টি খাতে সর্বমোট ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর অনুদান বাবদ ৮ হাজার ২৬০ কোটিরও বেশি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর সাময়িক কর্মহীন ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ৯১২ কোটি ৫০ লাখ দেওয়া হয়েছে। এ বছরও সমসংখ্যক মানুষকে একই হারে ৯১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৬০৭ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, সাধারণ শ্রমিক, নি¤œআয়ের মানুষ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সেবকগণ, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক - ইত্যাদি পেশার মানুষজন এ সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৬৫,৬৫৪ টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩,৪৩৪ টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। এ নিয়ে মোট গৃহের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৮। বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত আমরা সাড়ে তিন লাখ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছি।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, করোসাভাইরাস মহামারির সময়েও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাধীন বিভিন্ন ভাতা, খাদ্য কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদানসহ আমরা সকল ধরনের সরকারি সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। এসব কর্মসূচির সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ। এরমধ্যে বিভিন্ন ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখ, খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ এবং বৃত্তি-উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ কোটি ৫৩ লাখ।

তিনি আরো বলেন, জনগণের সহযোগিতায় এবং আমাদের সরকারের সময়োচিত কার্যক্রম গ্রহণের ফলে আমরা বিগত এক বছর করোনাভাইরাস মহামারিজনিত আর্থিক অভিঘাত খুব ভালোভাবেই সামাল দিতে পেরেছি। আমরা যখন প্রথম ঢেউ সামলিয়ে অর্থনীতিকে সাবেক অবস্থার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসার পর্যায়ে, তখনই মার্চ মাসে দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। এতে করে আমাদের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধিতে হয়তো খানিকটা ভাটা পড়বে। তবে আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসেবে এবারও আমরা আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবো। গত সপ্তাহে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

তিনি বলেন, ঈদের দিন আনন্দের দিন। মনের সব কালিমা দূর করে, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের সঙ্গে মিলিয়ে যাওয়ার মধ্যেই ঈদের আনন্দ। আজকের দিনে আমরা হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা, লোভ, অহমিকা, ক্রোধ, অহঙ্কার ইত্যাদি যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেদের মুক্ত করে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শপথ নেবো।

   

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী রোববার (৩১ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট বিনিময়। যা চলবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কয়েকটি শাখা থেকেও নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন শাখা কাউন্টারের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখার মাধ্যমেও গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যেসব ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবেঃ

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।....

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা।....

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।....

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ ভুলতা শাখা, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর শাখা, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সীগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।

;

বিডিজেএ'র সভাপতি মাসুম, সম্পাদক মাহবুব সৈকত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিজেএ) ঢাকার আগামী দু’বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল আইয়ের জয়েন্ট এসাইনমেন্ট এডিটর তারিকুল ইসলাম মাসুম এবং সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন মাইটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব সৈকত।

রাজধানীতে কারওয়ান বাজার রেইনি রুফটবে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪-২৫ সেশনের জন্য বিডিজেএ'র কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি বাংলা টিভির এসাইনমেন্ট এডিটর এম এম বাদশাহ ও দীপ্ত টিভির সিনিয়র নিউজ রুম এডিটর ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট নাদিরা জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অর্থ) সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সানবির রুপল ও নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এশিয়ান টিভির নিউজ এডিটর মাহবুব জুয়েল, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক ঢাকা মেইলের সিনিয়র রিপোর্টার বুরহান উদ্দিন, কল্যান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাসিব মাহমুদ শাহ, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সময় টিভির সিনিয়র ক্যামেরা জার্নালিস্ট মিজানুর রহমান মিন্টু

কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, একুশে টেলিভিশনের চীফ ক্যামেরা জার্নালিস্ট ফারুক হোসেন তানভীর, দৈনিক সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার কামরুল ইসলাম, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল রাসেল, দৈনিক সকালের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার ইউসুফ আলী বাচ্চু।

নির্বাচন পরিচালনা করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ডিইউজেএ'র সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, বিএফ ইউ জেএ'র যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ক্রাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, ডিইউজেএ'র সাবেক সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন, শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার, রাজনীতিবিদ আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

;

‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’



গুলশান জাহান সারিকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’

‘যদি জোটে তাইলে ঈদে বয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু’

  • Font increase
  • Font Decrease

 

‘আমগো আর ঈদ! পোলাডার লাইগা কিছুই কিনতে পারলাম না, মাইয়াটা ছুডো বুঝেনা এহনো।ঈদে দ্যেশে (গ্রামে) যে যামু টাকা পয়সার অভাবে যাইতে পারমু কিনা জানিনা। ঈদের আগে আইয়া পড়ছে ঘর ভাড়া, পোলাপাইনের বেতন কোন দিক সামলামু?  আমগো আর ঈদ প্রস্তুতি!  কিছুই কিনি নাই।’

কথাগুলো বলছিলেন মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়া বস্তিবাসী রাবেয়া খাতুন। আসন্ন ঈদুল ফিতরের খুশির আমেজ বইতে শুরু করলেও রাবেয়া খাতুন এর সংসারে নেই সে আমেজ। রাবেয়ার স্বামী রাজমিস্ত্রির সাথে জোগাড়ী খাটেন। দুই মাস অসুস্থ ছিলেন কোনো কাজ করতে পারেননি। এখন দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয় তা দিয়ে দুই ছেলেমেয়ে সহ চারজনের পরিবার চলে ছোট্ট এক খুপাড়ি ঘরে। রোজার মাসে ইফতার করেন শুধু ছোলা মুড়ি আর খেজুর দিয়ে।

রাবেয়া খাতুন বলেন, "আমগো আর ঈদ আফা ওসব বড়লোকদের আমগো না। পোলাডা হাফিজি পড়াইতেছি মাদ্রাসায়। নতুন টুপি পাঞ্জাবি দিতে চাইছিলাম হইলো না। যদি কপালে জোটে তাইলে ঈদের দিন ব্রয়লার মুরগি আর সেমাই রানমু। "

ভোলার চরফ্যাশন এলাকা থেকে জীবিকার তাগিদে ১০ বছর আগে ঢাকায় এসে কাজ শুরু করেন রাবেয়া খাতুনের স্বামী খোকন। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ি হিসেবে কাজ করেন। চারজনের সংসারের দিন এনে দিন খাওয়াই দায় তাদের পরিবারের। তাই ঈদ বা কোন উৎসবে আনন্দের ইচ্ছে থাকলেও সাধ পুরনের নেই সাধ্য।

শুধু রাবেয়া খাতুনই নয়, মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ওয়াসা রোডের এই বস্তির প্রায় শতটি পরিবারের জীবন সংগ্রামের গল্প অনেকটা একই রকম।


সরেজমিনে দেখা গেছে, ওয়াসা রোডের এই বস্তিতে প্রায়ই ৮০ থেকে ৯০টি পরিবারের বসবাস। ছ্যাতছেতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এক একটি রুমের ভেতর থাকেন ৪-৫ জন । প্রত্যেকটি পরিবারের আয়ের উৎস রিক্সা চালানো,দিনমজুর, মাছ কাটা, তরকারি বিক্রি বা অন্যের বাড়িতে কাজ করা। নিম্ন আয়ের এসব মানুষ সারাদিন কাজ করে দৈনিক ৩০০-৪০০ কেউবা ৫০০- ৬০০ টাকা  আয় করেন। এত অল্প আয়ে কোনো রকমের সংসার চালানো দায় এসব মানুষের তাই তাদের নেই ঈদের কেনাকাটা বা কোন প্রস্তুতি।

বস্তিবাসী সালমা বেগম আক্ষেপের সুরে বলেন, "দুইডা মাইয়া আমার ছোটডা ঘরে শুইয়া আছে দেখেন সোনার চান! ওগো লাইগা ঈদে দুইখান ফ্রক ও কিনতে পারি নাই। আমগো আর ঈদ আফা! মাইয়ার আব্বা আমারে বাইরে কাম করবার দেয় না। হেয় সারাদিন মজুরি দিয়া যা আনে তাই দিয়া বাজার কইরা খাই। এখন চারদিক রাস্তা খোড়া বাসা বাড়িতে কাম কাজ কম করাইতাছে তাই জোগাড়ীর কাজ ও কম। নিজের জন্য লাগে না মাইয়াডার দিকে তাকাইলে চোখে পানি আইসা পড়ে!  রমজান মাসে কি কষ্টে দিন কাটাইতেছি সে আমার আল্লাহ জানে। ঈদের বাজার করমু কোন হানতে মজুররে কেউ তো আর বেতন বোনাস দেয় না।"

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামে খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হয়েছে। খাদ্য তালিকায় কমেছে আমিষের উপস্থিতি তাই মাছ মাংস খাওয়া যেন বিলাসিতা বস্তিবাসীদের কাছে। সবজির দাম উচ্চ থাকায় তাও ভাগ্যে জোটানো দায় অনেকের। পশ্চিম শেওড়াপাড়া ওয়াসা রোডের বস্তিতে তাই নেই আসন্ন ঈদ উল ফিতরের খুশির আমেজ। বেশিরভাগ পরিবারই ছেলে মেয়েদের জন্য ঈদে কিনতে পারেননি নতুন পোশাক।  ঈদ কিংবা যেকোন উৎসব সবই হার মানে তাদের সাধ্যের কাছে।

;

যশোরে গরীবের সুপার শপে অর্ধেক দামে মিলছে ৭ প্রকারের খাদ্য



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে গরীবের সুপার শপে ১৬৫ টাকায় মিলছে ৭ প্রকারের খাদ্য পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে আধা কেজি সয়াবিন তেল, এক কেজি আলু, পেয়াজ, মুড়ি, চিড়া, মসুরডাল আধা কেজি ও ৪ পিস ডিম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের পুলিশ লাইন এলাকায় জান্নাত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অস্থায়ী এই সুপার শপ চালু করা হয়।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, রমজান উপলক্ষ্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতীতে নিন্ম আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে পণ্য সামগ্রী বাজার মূল্যের অর্ধেক দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে কেজি প্রতি আলু ২০ টাকা, পেয়াজ ২৫ টাকা, মুড়ি ২০ টাকা, চিড়া ২০ টাকা, সয়াবিন তেল আধাকেজি ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৫'শ গ্রাম ৩০ টাকা ও ৪ পিস ডিম ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার থেকে কম দামে পণ্য কিনতে পেরে খুশি নিন্ম আয়ের মানুষেরা। তারা বলছেন রমজানে প্রায় সকল পণ্যের দাম বেশী। এই অবস্থায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে জান্নাত ফাউন্ডেশনের মতো অন্যরাও এগিয়ে এলে সমাজের চিত্র বদলে যাবে।

জান্নাত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সালমা খাতুন মনি জানান, ২০২১ সাল থেকে বিভিন্ন মানবিক কাজ করে যাচ্ছে এই ফাউন্ডেশন। তারই ধারাবাহিকতায় চালু করা হয়েছে গরীবের সুপার শপ। এখান থেকে বাজারের থেকে অর্ধেক দামে পণ্য কিনতে পারবে সাধারণ মানুষ।

;