ভালো নেই ফেরির ফেরিওয়ালারা
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে: ফেরিতে নেই অতিরিক্ত যানবাহন কিংবা অতিরিক্ত মানুষের চাপ। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সংকট দেখা দিয়েছে পরিবহনের। ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের কোনো চাপ নেই। নেই কোন ফেরিওয়ালাদের হাঁকডাক। লকডাউনের ফলে মুখরিত মানুষের দেখাও মিলছে না।
শনিবার সকালে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়াগামী খানজাহান আলী ফেরীতে দেখা গেলো একটি কাভার্ডভ্যান, একটি কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি ও কয়েকটি প্রাইভেটকার। মানুষের আনাগোনাও নেই। সেখানেই কথা হয় চানাচুরওয়ালা সেলিম শেখের সাথে। তার বাড়ি দৌলতদিয়া এলাকায়।
সেলিম শেখ বলেন, ফেরিতে আগের মতো মানুষের ভিড় নেই। ফাঁকা ফেরিতে কিছু সংখ্যক মানুষ আছে। তেমন বেচা-কেনা নেই। অথচ, আগে ফেরিতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকতো। ব্যবসাও ভালো হতো।
ফেরিতে বসে কলা, আপেল, কমলা আঙ্গুর বিক্রি করতো দৌলতদিয়া এলাকার ব্যাপারীপাড়ার বাসিন্দা নুরুল শেখ।
তিনি বলেন, আগে ফেরিতে বসে কলা, আপেল, কমলা আঙ্গুর বিক্রি করতাম। মানুষের ভিড় লেগেই থাকতো। ফেরির উপরে আসা বাসের যাত্রীরা ও ফেরি পারাপারের সময় যাত্রীরা আমার কাস্টমার ছিলো। এখানে ব্যবসা করেই আমি সংসার চালাই। কিন্তু লকডাউনের কারণে পরিবহন না চলায় ফেরিতে আর আগের মতো মানুষের ভিড় নেই। তাই আমার বেচা-কেনাও নেই। এখন অনেক বিপদের মধ্যে আছি পরিবার পরিজন নিয়ে। এখন শুধু কলা বিক্রি করে কোনরকমে সংসার চালাতে হচ্ছে।
ডিম বিক্রেতা আসলাম হোসেন বলেন, আগে ব্যবসা হতো এখন লকডাউন এ ব্যবসা নাই। অল্প কিছু যাত্রী থাকে ফেরিতে। আগে পরিবহন চলতো। তাও আবার প্রাইভেট গাড়িতে। আর এখন যেসব যাত্রীরা আছে তারা খরচ করতেই চাই না।
অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা আসা যাত্রীরা দৌলতদিয়া ঘাটে এসে মোটরসাইকেল, ৩ চাকার যানবাহন, প্রাইভেটকার, মাইক্রো এবং জেলার বাসগুলোতে করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ ভাড়া। চলমান এই লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাঘবের সাথে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।