রোববার থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার দাবি
আগামীকাল রোববার (২৩ মে) থেকে দেশের সব রেস্টুরেন্ট পুরোপুরি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
শনিবার (২২ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টনে সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। না হলে থালা-বাটি নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যবসা সীমিত রেখেছি। কিন্তু করোনায় যেসকল সেক্টরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
তিনি জানান, দেশের সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহর মিলে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার। আর এসবে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে নির্ভরশীল সংখ্যা প্রায় ২ কোটি মানুষ। এতোগুলো মানুষ এখন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।
ইমরান হাসান বলেন, দেশের ১২টি সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। তবে এ খাতকে শিল্প ঘোষণা না করায় আমরা কোনো সংস্থা থেকে সহায়তা বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আমরা শিল্পমন্ত্রণালয়, খাদ্য নাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় তাও জানা নেই। এমন পরিস্থিতিতে করোনাকালীন ১ কেজি চাল সহায়তাও পায়নি কোনো মালিক বা শ্রমিক।
সভাপতি ওসমান গনি বলেন, তারপরও করোনাকালীন সময় আমাদের থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেওয়ার জন্য জোর-জুলুম চলছে। আমাদের এ ভ্যাটের হার সসম্পূর্ণ অনৈতিক। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের থালা-বাটি নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই। আমাদের দাবি না মানলে সারাদেশে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি করব।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো হোটেল খোলা রাখা সম্ভব না হলে, সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করতে চায় মালিক সমিতি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন, যুগ্ম-মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিবসহ অন্যান্যরা ।