বরগুনায় জোয়ারের পানিতে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাধারণ জোয়ারের চাপে বরগুনার নদ-নদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে ২৫টি মাছের ঘেরসহ প্রায় ৭০টি পুকুরের মাছ। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার (২৪ মে) বরগুনার তালতলী উপজেলার খোট্টার চর, তেতুবাড়িয়া, নলবুনিয়া এলাকার তিন শতাধিক বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। পায়রা নদীর কাছাকাছি থাকায় এসব ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এদিকে পাথরঘাটা ও বরগুনা সদর উপজেলার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে অন্তত ৭টি গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে ফসলের মাঠসহ মাছের ঘের।
খোট্টার চর এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া বলেন, আমরা বেড়িবাঁধের বাহিরে থাকায় আমাদের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে পানিতে।
ঠংপাড়া এলাকার সেন্টু মিয়া বলেন, বেড়িবাঁধের বাহিরে থাকায় উঁচু জোয়ার হলে আমাদের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় আমার পুকুরের প্রায় ১ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী কাউছার আলম বলেন, জেলায় প্রধান দুটি নদীর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার আড়াই ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং পায়রানদীর পানি বিপৎসীমার ৬ ইঞ্চি ওপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় ২৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উঁচু জোয়ারের কারণে এসব বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া উঁচু জোয়ারের কারণে বাঁধের বাইরের এলাকাগুলোও প্লাবিত হয়েছে।