নোয়াখালীতে বিয়েতে বাধা, যুবকের আত্মহত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগে বেকার এক যুবককে বিয়ে করতে বাধা দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

বুধবার (২৬ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ নিহতের বসত ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মানিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. সাকায়েত উল্যাহ সোহাগ (৩০) উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মানিকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহাগ বেকার ছিল। পরিবারের সদস্যদের কাছে তাকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করানোর কথা একাধিকবার বলেছিলেন। কিন্তু, তাদের পরিবার অসচ্ছল হওয়ায় তার কথায় কোন গুরুত্ব দেয়নি। পরিবারের সদস্যরা সে বেকার হওয়ায় তাকে বিয়ে করতে বাধা দেয়। পরে রাগে ক্ষোভে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। ফজরের নামাজ পড়তে উঠে তার মা তাকে নামাজ পড়ার জন্য ডাকে। ছেলের ঘর থেকে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে তার শয়ন কক্ষে গিয়ে দেখতে পায় ঘরের আাঁড়ার সাথে তার মরদেহ ঝুলে আছে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবদুল বাতেন মৃধা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

   

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৪ জনে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১২০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬ এবং ঢাকার বাইরের ১৭ জন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে, ১৩ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক হাজার ৯৩৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা ৬৫১ জন, আর এর বাইরের এক হাজার ২৮৮ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৮১৯ জন।

;

কুয়াকাটায় রাখাইনদের ৩ দিনের সাংগ্রাই উৎসব



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী (সাংগ্রাই) বা জলকেলি উৎসব। পুরাতনকে ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৩ ঘটিকায় কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে রোবার (১৪ এপ্রিল) চন্দন মিশ্রিত জল দিয়ে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৭ দিনের এই উৎসব। এলাকা ভিত্তিক রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন বিহার ও ঘরে থাকা বৌদ্ধ মূর্তি স্নান করে এই উৎসবের শুরু করে।

দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে বরণে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা ধর্মীয় বিশেষ প্রার্থনা, বঙ্গবন্ধুর জীবনী আলোচনা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য, মৈত্রীয় জলবর্ষণসহ বিভিন্ন আয়োজনে উৎসব মুখর হয় এ আয়োজন।

স্থানীয় রাখাইনদের মাতুব্বর মো. উচাচী বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে মূলত তরুণীদের কাছ থেকে রাখাইন তরুণদের পানি কিনতে হয়। তরুণীদের পানি কিনতে হয় না। তারা এখানে সংরক্ষিত পানি ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসায় সিক্ত জল একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে পালন করা হয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এ উৎসব। এটাকেই আমরা উপভোগ করি।

রাখাইন পঞ্জিকা অনুসারে, ১৩৮৫ রাখাইন বর্ষের শেষ দিন মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)। বুধবার (১৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে ১৩৮৬ রাখাইন বর্ষ। এই বর্ষ বিদায় ও বরণে কুয়াকাটা রাখাইন সম্প্রদায়ের ৭ দিনের ‘সাংগ্রাই’ বা বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসব পালন করা হচ্ছে । তিন দিনের জলকেলি উৎসবের মধ্যে দিয়ে শনিবার (২০ এপ্রিল) এই উৎসবের শেষ হবে।


কুয়াকাটা সাংগ্রাইন উদযাপন কমিটির সভাপতি উচান চীন বার্তা২৪.কম-কে জানান, ১৩৮৬ (রাখাইন বর্ষ) সালকে বরণ করতেই সাংগ্রাইয়ের শেষ অধ্যায় হিসাবে জলকেলির আয়োজন করেছি। আমরা খুবই আনন্দিত। মূলত এ জলকেলি অনুষ্ঠান ছিল সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

রাখাইনদের ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানে উচান চীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. আনোয়ার হাওলাদার, (মেয়র কুয়াকাটা পৌরসভা), আব্দুল বারেক মোল্লা (সাবেক মেয়রও সভাপতি কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ) জনাব মোতালেব তালুকদার (সাধারণ সম্পাদক) কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, জনাব মিস্টার ফ্রান্সিস ব্যাপারী (আঞ্চলিক পরিচালক কারিতাস, বরিশাল) এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী।


সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সাংগ্রাই উদযাপন উপলক্ষে আমাদের জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখানে আমরা থানা পুলিশ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। একই সাথে দেশ-বিদেশ থেকে আগত টুরিস্টরা যাতে এ প্রগ্রামটা দেখতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। এই ঐতিহ্যবাহী প্রোগ্রামটা আরও জাঁকজমক হোক এবং নিরাপদ হক সে কামনা প্রত্যাশা করছি।

;

অপহরণের শিকার ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় তাকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রুমা শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নারায়ন দাশকে রুমার শাখা ব্যবস্থাপনার (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করে পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফ। ওই সময়ে ব্যাংকের ভল্ট খুলতে না পেরে হামলাকারীরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৪ এপ্রিল তাকে উদ্ধার করা হয়।

সোনালী ব্যাংকের গত ৯ এপ্রিলের দপ্তর নির্দেশ নং-১৩/২০২৪ এর তথ্যমতে, রুমা শাখা, বান্দরবানের নেজাম উদ্দীনকে কর্ণফুলী শাখা, চট্টগ্রামের ম্যানেজার (সিনিয়র অফিসার) ও যুগ্ম-জিম্মাদার (সাধারণ) করা হয়। কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার মু. রেজাউর রহমানকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) চট্টগ্রামের কে. বি বাজার শাখায় এবং কে. বি বাজার শাখার ম্যানেজার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) প্রিন্সিপাল অফিস, পটিয়ার (চট্টগ্রাম) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসাবে বদলি করা হয়।

সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) এর মহাব্যবস্থাপক মো. মুসা খান বলেন, রুমা শাখায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা ও অপহরণের ঘটনার পর তিনটি শাখার কার্যক্রম স্থগিত করে বান্দরবান শাখার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। রুমার শাখার সিনিয়র এক কর্মকর্তাকে শাখাটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে আমরা দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রুমাসহ অপর শাখাগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে চালু করতে কাজ করছি।

;

যশোরে নাশকতা মামলায় মুক্তি পেলেন বিএনপির ৫১ নেতা-কর্মী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাশকতা মামলায় মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ ৫১ নেতা-কর্মী। জামিনে মুক্তি পেয়েই দলীয় নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন নেতৃবৃন্দ।

উচ্চ আদালতে জামিনে থাকা নেতাকর্মীদের বৃহস্পতিবার যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নেতা-কর্মীদের পক্ষে জামিন শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন, আইনজীবী দেবাশীষ দাস। শুনানি শেষে বিচারক শেখ নাজমুল আলম নেতাকর্মীদের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে জামিনের কাগজপত্র যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের পাঠানো হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ছয়টার দিকে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ নেতৃবৃন্দ মুক্তি লাভ করেন। মুক্তি পাওয়া অন্যান্য নেতাকর্মীরা হলেন, জেলা বিএনপির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।

এদিকে প্রিয় নেতার জামিনের সংবাদ পেয়েই বেলা তিনটা থেকে দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের বাইরে অপেক্ষা করেন। যশোরে আটটি উপজেলা ও পৌরসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও দলীয় নেতা-কর্মীরা ছুটে আসেন। সেখানে উল্লেখ যোগ্য নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন, যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য গোলাম রেজা দুলু, মো. মুছা, মিজানুর রহমান খান, একে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, সিরাজুল ইসলাম, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মদ প্রমুখ।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি পর দলীয় নেতাকর্মীরা কারাগারের প্রধান ফটকের বাইরে মিছিল স্লোগান দিতে থাকেন। সেখান থেকে মিছিল সহকারে নেতৃবৃন্দ অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাস ভবেন যান। সেখানে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমাদেরকে বারবার মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে জনগণের মুক্তির জন্য দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথের চলমান আন্দোলন স্তব্দ করা যাবে না। আমাদের অসংখ্য সহযোদ্ধা খুন, গুম শিকার এবং পঙ্গত্ব বরণ করেছেন। দলের ৫০ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যায় মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেছেন। কিন্ত আমাদের আন্দোলন স্তব্দ হয়নি। তিনি বলেন, কারাপ্রকষ্ঠে নতুন করেন শপথ নিয়েছি আগামীদের দিনের রাজপথের আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাব না ইনশা আল্লাহ। এসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বক্তব্য রাখেন।

এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের জামিন শুনানিতে অংশ নেন, অ্যাড. মো.ইসহক, আমিনুর রহমান, অ্যাড. এম এ গফুর, অ্যাড. নুরুজ্জামান খান, অ্যাড. মোস্তফা কামাল মিন্টু, অ্যাড. সুদিপ্ত কুমার ঘোষ প্রমুখ।

উল্লেখ্য দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ কর্মসূচি পুলিশি তান্ডবে পন্ড হয়ে যাওয়ার পর থেকে, দলটি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করে। দেশব্যাপী সেই আন্দোলন তুঙ্গে থাকা অবস্থায় সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন এক তরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সেই এক তরফা প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে দলটি দেশব্যাপী তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। সেই কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে। তারপরও দলীয় নেতাকর্মীর আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে পুলিশের দায়েরকৃত কথিত নাশকতা মামলার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। এরপর গেল ৩১ মার্চ তারা নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিন আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণ করেন।

;