বেনাপোল স্থলবন্দরে বর্জ্যের স্তুপ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (বেনাপোল) যশোর
বেনাপোল স্থলবন্দরে বর্জের স্তুপ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

বেনাপোল স্থলবন্দরে বর্জের স্তুপ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল স্থলবন্দরে কেমিক্যাল বর্জ্য বছরের পর বছর যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে। এতে জায়গা সংকটে ব্যবসা বাণিজ্যে সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে। তবে বর্জ্য সরানোর তাগিদ নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের।

কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি বন্দর থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করে গাছপালা, মাছ চাষ ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। গ্রামবাসী অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছে। এছাড়া বন্দরে যারা ২৪ ঘণ্টা পণ্য খালাসের কাজ করছে সেই শ্রমিকরাও নিরাপদ নয়। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা গত ৫ বছরে ধরে বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও মেলেনি সমাধান।

বন্দরের ভিতরে ময়লার স্তুপ

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্টি হওয়া এসব কেমিক্যাল বর্জ্য আইনি জটিলতার কারণে তারা সরাতে পারছেন না। তবে এসব বর্জ্যে যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি বা মানুষের দুর্ভোগের কারণ না হয় সে বিষয়ে নজর দিবেন।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আমিনুল হক জানান, দেশে শিল্প কারখানায় ব্যবহারের জন্য কেমিক্যাল জাতীয় যে পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এসব আমদানি পণ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের এসিড জাতীয় কেমিক্যাল ও পাউডার জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। কিছু কিছু কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দ্রব্য এত বিপদজনক যে ট্রাকে বা গোডাউনে থাকা অবস্থায় নিজে থেকে তেজস্ক্রিয় হয়ে আগুন ধরে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর সে সব বর্জ্য বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপদ কোন জায়গায় সরিয়ে না নেওয়ায় বছরের পর বছর বন্দরের জনবসতি এলাকার রাস্তাঘাট ও বন্দর অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।

এসিড মিশ্রিত পানি লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে

ভুুক্তভোগী বেনাপোল বন্দরবাসী বদর উদ্দীন বলেন, বন্দরের নিজস্ব পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এসিড মিশ্রিত পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে যেমন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে তেমনি গাছপালা ও ঘরবাড়ি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্তার নামে বন্দর কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীর প্রবেশদ্বার প্রাচীর দিয়ে আটকে দেওয়ায় ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়াসহ চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী মানুষ বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়ে চিঠি দিলেও সমাধান মেলেনি।

বন্দরে পণ্য খালাসে নিযুক্ত শ্রমিক হাবিবুর রহমান জানান, ময়লা আবর্জনা আর পড়ে থাকা কেমিক্যাল বর্জ্যের মধ্যে তাদের কাজকর্ম এবং চলাফেরা করতে হয়। এতে বারো মাস শারীরিক ভাবে কোন না কোন রোগে অসুস্থ থাকি।

ভারতীয় ট্রাক চালক অরবিন্দ বলেন, বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে পণ্য খালাসের জন্য দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বর্জ্য অপসারণ হলে জায়গা সংকট অনেকটা কমবে।

পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রীন ওয়ার্ল্ড এনভাইরনমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আশিক মাহামুদ সবুজ বলেন, কেমিক্যাল বর্জ্য বাতাসে মিশে বিষক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বছরের পর বছর ধরে বন্দর অভ্যন্তরে প্রচুর জায়াগা জুড়ে কেমিক্যাল বর্জ্য ফেলে রাখায় জায়গা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ব্যাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং বন্দর ব্যবহারকারীরা পড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এগুলো নিষ্কাশন করা খুব জরুরি।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আইনি জটিলতায় কেমিক্যাল বর্জ্য আপাতত সরানো যাচ্ছে না। তবে খুব দ্রুত যাতে এসব নিষ্কাশন হয় এবং এলাকায় এসিড মিশ্রিত পানি প্রবেশ না করে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

জানা যায়, গত ৫ বছরে বেনাপোল বন্দরে ছোট বড় ৬ টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় দুই হাজার মে. টন কেমিক্যালসহ বিভিন্ন পণ্যের বর্জ্য স্তুপ জমা হয়েছে।

   

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;

সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

এর আগে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুরের সদর থানার কুতইড় এলাকার বাসিন্দা ও আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো.ফরিদুল ইসলাম (৪৪) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (৪৫)।

ডিবি পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় তা বিক্রি করত তারা। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

;

বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযান, ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ৪ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল শহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন, বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মারজানুর রহমান, মোঃ শহীদ উল্লাহ ও শাহরুখ আলম শান্তনু।

এ সময় তারা নগরীর পোর্ট রোড পাইকারী ও খুচরা বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূলে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ৪টি মামলায় ৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র‌্যাব-৮ এর ৩টি টিম।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

চট্টগ্রামে জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

কারখানাটির পাশের একটি কুলিংকর্ণারে ব্যবসায়ী সুজন বার্তা২৪.কম বলেন, আজ শুক্রবার আমি বাসায় ছিলাম। আগুন কিভাবে লাগছে জানি না। এটি মূলত রগদা নামের একটি কারখানা। এখানে জুতার সোল তৈরি করা হয়। ৫-৬ মাস আগে কারখানাটি চালু হয়। এর আগে এটি সীমস ফ্যাশন লিমিটেড লামের একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা ছিল।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;