সাদুল্লাপুরের আলমগীর এখন রাজধানীর জাদুশিল্পী
নানা শ্বাসরুদ্ধকর খেলা দেখিয়ে গোটা দেশ মাতাচ্ছেন অসংখ্য বিখ্যাত সব জাদুকর। এসব জাদুকরের মধ্যে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার আলমগীর হোসেন এখন রাজধানী ঢাকার জাদুশিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে ইসবপুর গ্রামে ১৯৯২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে আলমগীর হোসেনের জন্ম। তার পিতার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক ও মাতা মরিয়ম বেগম।
আলমগীর হোসেনের শিক্ষাজীবন কাটে স্থানীয় ইসবপুর স্কুলে। ইসবপুর মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও স্থানীয় পীররগঞ্জের চতরা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকায় প্যারামেডিকেল কোর্স করে কর্মব্যস্ত। খুব ছোটবেলা থেকে জাদু শিক্ষার প্রতি ইচ্ছায় ভালো লাগা ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে জাদু পেশা।
মূলতঃ ভালোলাগা থেকেই জাদু চর্চা করা। কিন্তু একটা সময় তিনি জাদুবিদ্যাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেন। তার ইচ্ছা ছিল যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সম্মানের আসনে বসাতেই হবে। সেই থেকেই জোরেশোরে জাদুর চর্চা শুরু। তখনকার খ্যাতিমান ও স্বনামধন্য জাদুকর যাদের মধ্যে জুয়েল আইচ, রবিন খান, এসএইচ সাইমনম এবং ওমর শরিফসহ অনেকের কাছে জাদুবিদ্যা শিখলেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান দেশের সেরা জাদুশিল্পী হিসাবে।
জাদুশিক্ষা শেষ না হলেও তার নিজস্ব ম্যাজিক গিফট কর্নার নামে একটি যাদুবিদ্যা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে ঢাকায়। সেখানে জাদু প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন আলমগীর। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ম্যাজিক শো ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সহিত জাদু প্রদর্শন করে চলছেন তিনি। বহিঃবিশ্বে দেশের মাথা উঁচু করার হাতিয়ার হিসেবে নিজের জাদুচর্চাকেই বেছে নেন।
এরপরের ইতিহাস কেবল সামনে চলার। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই গুণী জাদুশিল্পী বহু জাতীয় পুরস্কার যেমন- বাংলাদেশ জাদুকর পরিষদ, সিটি ম্যাজিক সার্কেল, ম্যাজিশিয়ান ফেডারেশন, বাংলাদেশ ম্যাজিক ফেডারেশন, ইয়ং ম্যাজিশিয়ান সোসাইটিসহ আরো অনেক জাদু সংগঠন থেকে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছে। সর্বশেষ যে পুরস্কারটি পেয়েছে, সেটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ'ক'ম মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে ২০১৯ সালে। এমন বহু সংখ্যক জাদু দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মানুষকে।
এই জাদুশিল্প আলমগীর হোসেন জানান, সব রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দিয়ে নিজের গ্রাম ও জেলাকে বিশ্বের বুকে বাংলা ও বাঙ্গালিকে গৌরবোজ্জ্বল জাতি হিসেবে পরিচিত করবেন এমন আশাই করছেন।