সাঘাটায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু বাঙ্গালী নদী পুনঃখনন
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে বাঙ্গালী নদী। চিরচেনা এ নদীতে নানা কারণে কমে যায় পানির প্রবাহ। দেখা দেয় নাব্যতা সংকট। এটি নিরসনে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করা হয়েছে পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ কাজ।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (১ জুন) সাঘাটা উপজেলার সতীতলা এলাকায় বাঙ্গালী নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ কাজ করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, নদী সিস্টেম ড্রেজিং বা পুনঃখননসহ তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সাঘাটার বাঙ্গালী নদী পুনঃখনন ও নদীর অন্যান্য কাজ সম্পাদনে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের ১৮ নং প্যাকেজে গাইবান্ধার সাঘাটা-গোবিন্দগঞ্জ থেকে বগুড়ার সোনাতলা পর্যন্ত ১১ থেকে ২৪ কিলোমিটার ড্রেজিং ও ব্লক স্থাপনসহ আরও অন্যান্য কাজ করা হবে।
এর আগে প্রকল্প পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছে। ইতোমধ্যে এই কাজটি শুরু করছে শামীম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঙ্গালী নদীর পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হলে ভাঙনের তীব্রতা হ্রাস পাবে। নিশ্চিত হবে নাব্যতা। অবাধে চলাচল করতে পারবে নৌযানসহ মালবাহী জাহাজগুলো। একই সঙ্গে রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক সম্পদ। এছাড়া টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা ।
নদীপাড়ের বাসিন্দা খয়বার রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণসহ অন্যান্য কাজগুলো সঠিকভাবে করা হচ্ছে। এভাবে সম্পন্ন হলে নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলো নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।
এ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বাদল মিয়া ও তানজিমুল ইসলাম তুষার বলেন, কাজটি বাস্তবায়ন কল্পে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, এই প্রকল্পটি সেনা প্রকল্প ক্যাম্পের তত্বাবধায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নয়।