রামেক হাসপাতালে সব করোনা রোগীরই চাহিদা অক্সিজেন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রলিতে বাবার মরদেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কামাল হোসেন। আহাজারি করছিলেন আর বলছিলেন, আর পাঁচটা মিনিট আগে আসলে আব্বা হয়তো বেঁচে যেত। সময়মত গ্যাস (অক্সিজেন) পেলে আমার আব্বা বেঁচে যেত। কামাল হোসেনের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বীরডাউন গ্রামে।

গত শনিবার বিকাল ৫টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সামনে ট্রলিতে বাবার মরদেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কামাল জানালেন, তাঁর বাবার শ্বাসকষ্ট ছিল। তাই নিয়ামতপুর থেকে সরাসরি রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁর বাবাকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়া হয়। ওয়ার্ডে নিয়ে কেবল অক্সিজেন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। তখনই মারা যান তাঁর বাবা। আর একটু সময় পেলে হয়ত তাঁর বাবাকে বাঁচানো যেত।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে আসছেন এখন সবার অক্সিজেন লাগছে। হাসপাতালে যে কয়টি ওয়ার্ডে পাইপলাইনের মাধ্যমে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই ব্যবস্থা ছিল, সেগুলো রোগীতে ভর্তি। এখন বারান্দা এবং বিছানায় রোগী রাখার প্রস্তুতি চলছে। বেড ছাড়াও এখানে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় কিনা তা নিয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কা এবং এখনকার মধ্যে পার্থক্য দেখছি। আগে সব রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এখন অন্তত ভর্তির সময় শতভাগ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। দু-একদিন থাকার পর হয়ত আর লাগছে না। কিন্তু শুরুতেই যে সবার অক্সিজেন লাগছে এটা সত্যিই ভীতিকর। এ রকম রোগীর চাপও বাড়ছে।

রামেক হাসপাতালের মোট এক হাজার ২০০ শয্যার মধ্যে ২৩২টি করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত। মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে মোট ২১৬ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ৯১ জন ছিলেন করোনা পজিটিভ। বাকিরা ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনা ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি বলে সব রোগীকে ভর্তিও নেওয়া হচ্ছে না। যাঁদের অক্সিজেনের মাত্রা কম, কেবল তাঁদেরই ভর্তি করা হচ্ছে। অন্যদের বাড়িতেই চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। সুতরাং হাসপাতালে সব রোগীকেই অক্সিজেন নিতে দেখা যাচ্ছে। আর এটা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে যাচ্ছেন স্বজনেরা। উন্নত চিকিৎসার আশায় তাঁরা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সিরিয়াল দিচ্ছেন।

রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালি মো. রানার মা মজিজন বিবি হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় রানা জানান, তিন দিন অপেক্ষার পর তাঁর মা আইসিইউ পেয়েছেন। এই তিন দিন ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় প্রায় ২৫ হাজার টাকার ওষুধ-ইনজেকশন কিনেছেন। কিন্তু আইসিইউ না পাওয়ার কারণে ভরসা পাচ্ছিলেন না। শনিবারই তাঁর মা আইসিইউ পেয়েছেন। তবে সোমবার দিবাগত রাতে চিকিকৎসাধীন অবস্থায় রানার মা মারা গেছেন।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, আরও পাঁচটা ভেন্টিলেটর পাওয়া গেলে পাঁচটা আইসিইউ বেড বাড়ানো যাবে। সে কারণে ঢাকায় পাঁচটা ভেন্টিলেটরের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। রোগীর এত চাপ যে এখন বেডই শেষ হয়ে এসেছে। এ কারণে এক নম্বর ওয়ার্ডটিকেও করোনা রোগীদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই ওয়ার্ডটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই ব্যবস্থা আছে।

আর হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, শুধু এক নম্বর ওয়ার্ড দিয়েই রোগীর বাড়তি চাপ সামাল দেওয়া যাবে না। তাই করোনা ওয়ার্ডগুলোর মেঝে এবং বারান্দাতেও রোগী রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু বারান্দায় আবার সরবরাহ করা অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। তাঁদের সিলিন্ডারের অক্সিজেন দিতে হবে। এই অক্সিজেনের চেয়ে সেন্ট্রাল লাইনের অক্সিজেনেই রোগীদের বেশি সুবিধা হয়। তারপরও উপায় নেই বলে এটা করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন তাঁদের প্রত্যেকের অক্সিজেন লাগছে। প্রতিদিন এখানে চার হাজার লিটারের মত অক্সিজেন লাগছে। অক্সিজেনের কোন ঘাটতি নেই। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে- আরও অক্সিজেন লাগলে আরও দেবে। কিন্তু রোগী রাখার জায়গা হচ্ছে না।

   

খুলনায় ১২টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে কেএমপি’র লবণচরা থানা পুলিশ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এক বাস তল্লাশি করে এই স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে লবণচরা থানার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টুংগীপাড়া এক্সপ্রেসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯০৩৩) একজন ব্যক্তি সন্দেহজনক কোন বস্তু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। বাসটি জিরোপয়েন্ট মোড়স্থ খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে রূপকথা রেষ্টুরেষ্টের সামনে আসলে বাসটি তল্লাশি করা হয়।

টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস পরিবহন থামিয়ে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) গোপীনাথ কানজিলাল; লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক এবং এসআই (নি:) প্রদীপ বৈদ্য সহ সঙ্গীয় ফোর্স, স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকের সম্মুখে

যাত্রীদের তল্লাশি করাকালে স্বর্ণ চোরা চালানকারী সাতক্ষীরা’র দেবহাটা থানার শাখরা কমলপুর এলাকার মোঃ আলম গাজীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৮) কে জুতার (লোফার) ভিতরে সুকৌশলে সাজিয়ে রাখা ১২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ১১৬ দশমিক ৬৫ গ্রাম প্রায় ও সর্বমোট ওজন ১৩৯৯ দশমিক ৭৪ গ্রাম। যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকা।

পুলিশ আরো জানায়, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে স্বর্ণের বার বাসযোগে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখান থেকে স্বর্ণ সাতক্ষীরা বর্ডার অঞ্চল দিয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উল্লেখিত স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত আছে এবং কোথা থেকে স্বর্ণগুলো আনা হয়েছে ও কোথায় পৌঁছে দিবে সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

;

উপজেলা ভোট

তৃতীয় ধাপেও আপিল নিষ্পত্তি করবেন ডিসিরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটেও প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশন থেকে আপিল শুনানি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে। আপিল নিস্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ৪৭ জেলার ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

তৃতীয় ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।

;

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে: মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রজন্ম ’৭০ বাংলাদেশের প্রজন্ম সম্মেলন ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র এগারো দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। ’৭০’র সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন, চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে আজ তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে।

প্রজন্ম ৭০ বাংলাদেশ-এর সভাপতি আশরাফুল করিম ভূঁইয়া সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন খান, বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ফসিহ উদ্দিন মাহতাব, সদস্য সচিব এস এম মাহাবুবুর রহমান, আলোক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন বক্তৃতা করেন।

;

বরিশালে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য। ঘটনাটি নগরীর রূপাতলী গ্যাস্টারবাইন পুলিশ বাড়ি সড়ক এলাকার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তানিয়া আক্তার। তিনি এ সময় দাবি করেন, তার প্রতিবেশী রিয়াজ ফরাজী ও বিএমপি’র (বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ) ওয়্যারলেস অপারেটর এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) আমিনুল ইসলামের সঙ্গে তার অনেকদিন ধরে একটি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।

এ ঘটনায় তিনি বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (এমপি নং ১৪৪)। পরে আদালত অভিযুক্ত রিয়াজ ফরাজী, আমিনুল ইসলাম, শহিদ ফরাজীকে ১৪৪/১৪৫ জারি অনুযায়ী, তাদের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ জারি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া আক্তার আরো অভিযোগ করেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে এসআই মাইনুল তার লিখিত মতামত বাদী পক্ষের হয়ে কোর্টে জমা দেন। সে প্রেক্ষিতে আদালত ১৮৮ ধারা জারি করেন। ওই জমিতে কিছুদিন পর দালান নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপরে রিয়াজ ও তার দুলাভাই এএসআই আমিনুল ইসলাম ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলরের কাছে যান। তারা জমি মেপে যে সিদ্ধান্ত দেন, তা আমরা মানলেও তারা মানেননি।

পরে রিয়াজ ও তার দুলাভাই এএসআই আমিনুল ইসলাম তানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের অ্যাডভোকেট ও আমিন দিয়ে সরেজমিন মাপজোখ করেন এবং প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্ত দেয় থানা পুলিশ।

সে সিদ্ধান্তও তিনি মেনে নিলেও তার প্রতিপক্ষ মেনে না নিয়ে উল্টো তানিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করে। তারা তানিয়াকে ধরতে না পেরে অন্তঃসত্তা ছোট বোন মুনিয়াকে বেধড়ক মারধর করে ফের তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

তানিয়া অভিযোগে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মামলাটি দায়ের করা হয়’। এটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা বলে দাবি করেন তানিয়া আক্তার। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে আলাপ করতে চাইলে শারীরিকভাবে অসুস্থ দাবি করে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

;