তিতাস গ্যাসকে ভেঙে ছোট করার কাজ চলছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্যাস বিতরণের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)-কে ভেঙে আলাদা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান।

শনিবার (৫ জুন) এনার্জি এন্ড পাওয়ার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে তিনি এমন তথ্য জানান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।

আনিছুর রহমান বলেন, বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকাজুড়ে তিতাস গ্যাসের কার্যক্রম বিস্তৃত। একদিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে শেরপুর, আরেকদিকে ভৈরব থেকে কেরানীগঞ্জ। এতো বিশাল এলাকা কোনোভাবেই বর্তমান কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এ কারণেই আমরা তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করতে চাই।

সভায় কিভাবে তিতাসকে বিভক্ত করা যায়, তা জানতে খাত বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চান জ্বালানি সচিব। এসময় উপস্থিত পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক খোন্দকার সালেক সুফি জ্বালানি সচিবকে জানান, ২০০২ সালে পেট্রোবাংলার এক প্রতিবেদনে তিতাস গ্যাসকে ঢাকা মেট্রো, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী, ময়মনসিংহ তিনটি ভাগে বিভক্ত করার একটি সুপারিশ তারা করেছিলেন। জ্বালানি মন্ত্রণালয় চাইলে সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে বলে পরামর্শ দেন তিনি।

জবাবে জ্বালনি সচিব বলেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগও অন্তত তিনভাগে তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জ্বালানি সচিব।তিতাস গ্যাসের আওতায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। আর ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইনের ওপর সবচেয়ে বেশি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধে অভিযান চলছে। যেহেতু বৈধ-অবৈধ সংযোগ মিলে গেছে, আমরা এখন উৎসে লাইন কেটে দিচ্ছি। এতে বৈধ গ্রাহকের কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে তারা আমাদের সহায়তা করছেন। এক্ষেত্রে গ্যাস কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। শুধু বদলি না, বিভাগীয় ব্যবস্থা, প্রয়োজনে ফৌজদারী মামলা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এসব কাজ কঠিন, তবুও আমরা করছি। যেকোনো উপায়ে আমরা গ্যাসের অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করবো। আর কেরানীগঞ্জে গ্যাসের লাইনের ওপর স্থাপনা অপসারণেও আমরা ব্যবস্থা নিবো। যেহেতু এটা জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা। এক্ষেত্রে আমরা তার সহায়তা নিবো।

এই মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। আমি নিজে কয়েকবার আবাসিকে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছিলাম, তিনি না করে দিয়েছেন। এমনকি সচিবদের আবাসনে গ্যাস সংযোগও নাকচ করে দিয়ে এলপিজি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান আনিছুর রহমান।

মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন টিজিটিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসে কি পরিমাণ অবৈধ লাইন রয়েছে তা চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। এ বিষয়টি এখন তিতাস গ্যাস এবং জ্বালানি বিভাগের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনো প্রকার হিসাব ছাড়াই অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান চালাতে হচ্ছে আমাদের। অনেক এলাকায় বৈধ লাইনের পর ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অবৈধ লাইন চলে গেছে। এসব এলাকায় কিছু বৈধ গ্রাহক থাকলেও তাদের অনেকে লাইন চালুর পর একবারও বিল জমা দেননি। গজারিয়া এলাকায় প্রতিদিন ১৫ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হয়, যার মধ্যে সাড়ে ১৩ লাখ ঘনফুট গ্যাসের বিল আমরা পাইনা। কেবল নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সরবরাহ করা গ্যাসের মধ্যে ছয় থেকে সাত কোটি ঘনফুট গ্যাসের বিল আমরা পাচ্ছিনা।

 বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশিন (বিইআরসি)-এর সদস্য (গ্যাস) মকবুল-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, বাসাবাড়িতে ৭৮ ঘফুট গ্যাস সরবরাহের বিপরীতে ৯৭৫ টাকা বিল সংগ্রহ করে তিতাস। বাস্তবতা হচ্ছে আদায় করা বিলের বিপরীতে ৪০ থেকে ৪৫ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। অর্থ্যাৎ বাকি গ্যাসটা হিসাবের আওতায় থাকে না, যা হচ্ছে অবৈধ গ্যাস। আর যতদিন এই অবৈধ গ্যাস থাকবে, ততদিন অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা যাবে না। এ সমস্যা সমাধানে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত প্রিপেইড মিটার আর ইভিসি মিটার চালু করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শঙ্কর মজুমদার, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী, জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্, সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. নাসির উদ্দিন, বিইআরসির সাবেক সদস্য আবদুল আজিজ খান এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান।

   

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টা না পেরোতে আবারো ১১ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। এ নিয়ে বর্তমানে ২৮৫ জন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে টেকনাফের জীম্বংখালী সীমান্ত দিয়ে ৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি ৮ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেন। 

এর আগে গতকাল রাতে টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে কোস্ট গার্ডের কাছে ১৩ জন বিজিপি সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে কোস্টগার্ড বিজিপি সদস্যদেরকে বিজিবি'র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে (১১ বিজিবি) হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গতকাল ১৩ জন এবং আজকে ১১ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা সবাই বিজিবি হেফাজতে আছে।   

;

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫২ জন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চার জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট সাতজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট এক হাজার ৮২৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং জন ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাস মনে হয়: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা কর্মীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সার্কাস মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসন খানি' নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বানর যেমন নাচে সার্কাসে বিএনপি নেতা কর্মীর কার্যক্রম সে রকম ভাবেই ফুটে উঠে। কোনো কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ধরনা দেয়। বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা সেখানেই। চেয়ে চেয়ে তারা মিটিং নেন, বিদেশিদের সাথে আলোচনা করেন। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোন বিদেশি তাদের ক্ষমতার আসনে বসাতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক এ দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হয়েছে। ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার খল নায়ককে (জিয়াউর রহমানকে) নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ অপচেষ্টার ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সে বিতর্কের কবর রচনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। খালেদা জিয়া পহেলা বৈশাখ পালনে বাধা দিয়েছিলেন। তবে শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ছুটি ঘোষণা দিয়েছেন। ভাতা চালু করেছেন। সংস্কৃতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা তা সব স্থানেই প্রশংসিত।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আছে উল্লেখ করে বলেন, নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অর্জন বিশ্বে বিরল।

;

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;