নওগাঁয় কথা কাটাকাটির জেরে নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় কথা কাটাকাটির জেরে নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যা

নওগাঁয় কথা কাটাকাটির জেরে নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যা

নওগাঁ শহরের ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভেতর কথা কাটাকাটির জেরে নৈশ প্রহরী আতাউরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মো. বাদল (৩৫)কে ঢাকার আমিন বাজার ও আতিউর রহমান ওরফে শীতলকে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সিআইডির রংপুর ও খুলনা বিভাগের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শেখ নাজমুল আলম বলেন, ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের নৈশ প্রহরী আতাউর রহমান ও রেস্টুরেন্টের সহকারী বাবুর্চি মো. বাদল প্রতিদিন একসঙ্গে ঘুমাতেন। কিন্তু ঘটনার পরদিন ২৯ মে সকালে রেস্টুরেন্টের প্রধান বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম রেস্টুরেন্টে এসে দেখেন সেখানে তালা ঝুলছে। ডাকাডাকির পরও রুমের দরজা না খোলার এক পর্যায়ে রুমের বাইরে চাবি পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এরপর দরজা খুললে মেঝেতে নৈশ প্রহরী আতাউর রহমানের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে তিনি দ্রুত রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে জানান ও থানায় খবর দেন। ওই ঘটনার পর থেকে সহকারী বাবুর্চি বাদল আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর তাকে সাভার উপজেলার আমিন বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাদল জানায়, ঘটনার দিন (২৮ মে) রাতে প্রধান আসামি শীতলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আতাউরের। এক পর্যায়ে শীতল ও তার সহযোগীরা চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় আতাউরকে বাদল ও শীতলসহ কয়েকজন মিলে রেস্টুরেন্টের তিন তলায় নিয়ে একটি কক্ষে তালা দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার সময় আরও ৪-৫ জন উপস্থিত ছিল। তবে বাদল জানায় যে, তিনি শীতল ছাড়া অন্য কারোর নাম জানে না।

বিজ্ঞাপন

ডিআইজি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শীতল ও সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে আতাউরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় বাদলও তাদের সহযোগী ছিল। তবে হত্যার পেছনে বিশেষ কোনো একটি উদ্দেশ্য রয়েছে কি-না সেটি আমরা তদন্ত করে জানাতে পারব। এই হত্যায় জড়িত বাকিদের নাম পেয়েছি। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আসামিদের নওগাঁ জেলার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পেছনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।