রাজশাহীতে কমেনি করোনার সংক্রমণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী মহানগরী

রাজশাহী মহানগরী

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেনি। সীমান্তবর্তী এ জেলায় এখন প্রতিদিন সংক্রমণ ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এ জেলায় করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও আমে ঝুলে আছে লকডাউন। বাগানে বাগানে থাকা আম পেড়ে বাজারজাত করার কারণে লকডাউন দিতে পারছে না প্রশাসন। তবে দু’দফা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।

এখন বিকাল ৫টা হলেই দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত থাকছে এই বিধিনিষেধ। বিকাল ৫টার পর থেকে পুলিশ তৎপর হচ্ছে যেন রাস্তাঘাটে কেউ না থাকেন। রাতে এ কড়াকড়ি চোখে পড়ছে আরও বেশি। কোথাও কোথাও রাতে লাঠি হাতে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। প্রথম দুদিন জেলা প্রশাসাক আব্দুল জলিল নিজেই রাস্তায় নামেন নির্দেশনা মানাতে। পুলিশের বড় কর্মকর্তারাও থাকছেন মাঠে।

তাই বিকাল ৫টার পর ফাঁকা হতে শুরু করে নগরীর রাস্তা। সন্ধ্যার পর রাস্তায় যানবাহন চলাচল কমে যাচ্ছে। চায়ের দোকানের আড্ডা না থাকায় অনেকটা নীরবতা নেমে আসছে শহরে। তবে সারাদিনের চিত্রটা খুবই অস্বাভাবিক।দিনভর শহরে মানুষের হুড়োহুড়ি লেগেই আছে। ফলে কমছে না সংক্রমণ। ফলে হাসপাতালেও এখন রোগীর তীব্র চাপ, বাড়ছে মৃত্যুও।

সারাদেশে চলমান লকডাউনের মধ্যে গত ২ জুন প্রথম রাজশাহীতে বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন। সেদিন বলা হয়, সন্ধ্যা ৭টায় বন্ধ করতে হবে দোকানপাট। কিন্তু পরে রাজশাহী ১৪ দল লকডাউনের দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেয়। এর প্রেক্ষিতে পরদিন ৬ জুন সভা করে জেলা প্রশাসন। সেদিন বিধিনিষেধ আরও দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে বিকাল ৫টা করা হয়। সভা শেষে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, দুই-আড়াই হাজার কোটি টাকার আমের কারণে রাজশাহীতে লকডাউন দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বিধিনিষেধ বাড়িয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সেদিনই বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেন, দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে মানুষের জীবনের চেয়ে আমের দাম বেশি। রাজশাহীতে সাত দিন লকডাউন দেওয়া উচিত। দেবুর এ কথা উপলব্ধি করা যায় দিনে রাজশাহী শহরের চিত্র দেখলে। দিনের বেলা এখন নগরীর ভয়ঙ্কর চিত্র। বাজারগুলো লোকে লোকারণ্য থাকছে। বাজার, মাঠ, বিপনী বিতার, খাবার হোটেল সবখানেই উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। আর বিধিনিষেধ কার্যকরে রাতে মাঠে থাকছে প্রশাসন।

আর সকাল হলেই মানুষ আবার বাজারমুখী। বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সাহেববাজার, গণকপাড়া, রেলগেট, লক্ষ্মীপুর, শালবাগান, রেল স্টেশন, বাস টার্মিনালসহ নগরীর প্রতিটি এলাকাতেই মানুষের ভিড়। কুরিয়ার সার্ভিসের সামনেও লেগে থাকছে জটলা। সেখানেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে যানজটও। মানুষও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেক ক্রেতা-বিক্রেতাকেও মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে। টিসিবির পণ্য কিনতেও মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। মঙ্গলবার র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট প্রক্রিয়ায় করোনা পরীক্ষা ছাড়া টিসিবির পণ্য দেওয়া না হলেও বুধবার আগের মতই পরীক্ষা ছাড়াই পণ্য দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার এলাকায় সবচেয়ে বড় শপিংমল আরডিএ মার্কেট ও তার আশপাশের দোকানগুলোতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে ঠাসাঠাসি করে। সেখানে দোকানিদের মুখে মাস্ক থাকছে না। তবে সেখানে ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখা গেছে। একটু ভিতরে এগোতে সব বিক্রতার মাস্কই দেখা গেছে থুতনিতে। কারও কারও আবার মাস্কই নেই। এসব দোকানে একটু ছাড়িয়ে ভিতরে পা ফেলার জায়গা নেই। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যের সবচেয়ে আশঙ্কাজনক চিত্রের দেখা পাওয়া গেছে মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজার এলাকায়। এ বাজারের খুব কম বিক্রেতার মুখেই মাস্ক দেখা গেছে। মাস্ক না পরার কারণ হিসেবে জিজ্ঞেস করতেই তারা বলে উঠছেন, গরমের কারণে তাঁরা মাস্কটি খুলে রেখেছেন। সবজি কিনতে আসা ক্রেতার মুখেও মাস্ক ছিল না।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্কই টিকা। মাস্ক পরা আর স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া করোনা থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। অনেকে দুবার টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে তাঁরা মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে খুব শিগগির আরও কঠোর বিধিনিষেধ আসবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বিশেষ বিধিনিষেধ রয়েছে। এ সময়ে কাউকেই বাইরে থাকতে দিচ্ছেন না। তবে দিনের বেলায় তারা স্বাভাবিকভাবে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন। কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত এলে আরও বেশি কড়াকড়ি করা হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, মানুষ নির্দেশনা মানছেন না। তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে। বিকালের পর কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করা হচ্ছে।

   

গাজীপুরের কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে পাওয়ার ট্রান্সফরমারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ১০ মেগাওয়াটের ট্রান্সফরমারে যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটে এসে পাশের ফ্যাশন পয়েন্ট নামে পোশাক কারখানার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততোক্ষণে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

কোনাবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত তাপে ১০ মেগাওয়াট পাওয়ার ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। এখান থেকে শুধু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।

কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আশরাফ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

;

টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফের বাহারছড়ায় কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি দল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নস্থ কচ্ছপিয়া ঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালীন কচ্ছপিয়া ঘাট সংলগ্ন ঝাউবনে কতিপয় ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড এর আভিযানিক দল কর্তৃক তাদেরকে টর্চ লাইট ও বাঁশির মাধ্যমে থামার সংকেত প্রদান করা হয়। তারা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঝাউবনের অভ্যন্তরে ১টি বস্তা ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত বস্তাটি তল্লাশী করে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা ও ১টি দেশীয় অস্ত্র (রাম দা) জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

;

জব্বারের বলীখেলার নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথার ওপর বৈশাখের কাঠফাটা রোদ। সেটি উপেক্ষা করে ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ের চারপাশ ঘিরে অসংখ্য দর্শকের হৈ-হুল্লোড়। রেফারির বাঁশি বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো শক্তির লড়াই। দাঁতে দাঁত চেপে, মাথায় মাথা লাগিয়ে শুরু হলো বাঘা শরীফ ও রাশেদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।

ঘামে ভিজে, রোদে পুড়ে অস্থির। তবু যেন ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’। কিন্তু থামতে যে হবেই! ৩১ মিনিটেও কেউ কারও পিঠ রিংয়ের বালুতে ছোঁয়াতে পারেনি। তবে শেষমেশ আর না পেরে হার মেনে নেন রাশেদ বলী। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক এই বলীখেলা পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।

১১ রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে রেফারি বাঘা শরীফের হাত উঁচিয়ে বললেন, ‘ওই এবারের আবদুল জব্বার বলীখেলার চ্যাম্পিয়ন’। মন ভাঙলেও মেনে নেন কুমিল্লারই আরেক বলী রাশেদ।

একটা সময় জব্বারের বলীখেলা মানেই ছিল কক্সবাজারের দিদার বলীর হাতে ট্রফি। রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন দিদার ২০১৭ সালে অবসরে যাওয়ার পর থেকে আসল দ্বৈরথটা হচ্ছে জীবন ও শাহজালালের মধ্যে। ২০১৯ সালের বলীখেলায় ফাইনালে জীবনকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন শাহজালাল। পরেরবার শিরোটা পুনরুদ্ধার করেন জীবন। এরপর গতবার শোধ নেন জীবন। তবে এবার দুজনেই নাম প্রত্যাহার করেন।

যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলাটিও বসে এখানে। কিন্তু করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। এরপর গত বছরও এই মেলা হয়নি একই কারণে। এবারও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় তিন বছর পর বলীখেলা দেখল নগরবাসী।

এবার আবদুল জব্বারের বলীখেলায় অংশ নিতে ৮৪ জন বলী নিবন্ধন করেন। তাদের মধ্যে ২৫ বছরের তরুণ যেমন ছিল, তেমনি ছিলেন ৭০ বছরের বলীও। প্রথম রাউন্ডে শখের বশে খেলতে আসা বলীরা অংশ নেন। এরপর হয় চ্যালেঞ্জ রাউন্ড। এই রাউন্ড থেকেই জয়ী হয়ে বাঘা শরীফ, রাশেদ, রাসের ও সৃজন চাকমা যান সেমিফাইনালে।

সেমিফাইনাল শেষে ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ। ফাইনালে দুই দুরন্ত বলীর লড়াইয়ে এক প্রস্থ নাটকও হলো। ২০ বাই ২০ হাতের চতুর্ভুজ আকৃতির রিংয়ে শক্তির লড়াইয়ে কেউ কাউকে ফেলতে পারছিলেন না। দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাক্কাধাক্কিও হলো।

পিঠ নিচে ফেলতে না পারলেও অবশ্য বাঘা শরীফ বারবারই পরাস্থ করেন রাশেদতে। খেলার ১১ মিনিটের মাথায় রাশেদ বলে উঠতে না পেরে সরে দাঁড়ান।

কুমিল্লার হোমনা বাসিন্দা বাঘা শরীফ মাংস বিক্রেতা। কাজের ফাঁকে যে টুকু অবসর মিলে তার পুরোটা দেন বলীখেলায়। কুমিল্লার অন্যতম সেরা বলী হিসেবে পরিচিতি আছে তার। সেজন্য তার নাম হয়ে দাঁড়ায় বাঘা শরীফ।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাঘা শরীফ বলেন, প্রথমবারের মতো অংশ নিলাম। আর প্রথমবার অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হলাম। যারা সুযোগ করে দিয়েছেন। সামনের আসরগুলোতে আরও শিরোপা চাই।

;

দুই দপ্তরের অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুই দপ্তরের অডিট আপত্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই দুই দপ্তরের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এমপি। কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান, মো. মুজিবুল হক, মো. জাহিদ মালেক, ফজিলাতুন নেসা, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নূর মোহাম্মদ, আখতারউজ্জামান, এস. এ. কে একরামুজ্জামান, মো. রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট নম্বর ৩৫/২০২১ এ অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নং- ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮ এবং ০৯ এর বিষয়ে আলোচনা ও প্রমাণক সাপেক্ষে নিষ্পত্তিসহ অনাদায়ী অর্থ আদায়পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের রিপোর্টভুক্ত অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলোর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষ্পত্তির জন্য প্রমাণকসহ মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরণের পরে সিএজি কর্তৃক নিষ্পত্তির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সিএজি কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, খাদ্য অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিজিডিএফ কার্যালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;